১ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা-5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়
১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার আইডিয়া
সব ধরনের ব্যবসা করতে বড় অংকের পুঁজির প্রয়োজন হয় না। মাত্র ১ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে বেশ ভালো মানের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত আলোচনা :
অনলাইনে পোশাক ও অলংকার বিক্রির ব্যবসা : মানুষ ইদানিং আধুনিক পোশাক এবং অলংকার বেশি পছন্দ করছে। আপনি পাইকারি মার্কেট থেকে নিজের পছন্দ মত কিছু সুন্দর পোশাক কিনে অনলাইনে একটি পেজ খুলে বিক্রি করতে পারবেন।
প্রথমে কম পুঁজি নিয়ে আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। প্রথমদিকে খুব ছোট পরিসরে শুরু করে পরে মূলধন জোগাড় করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ব্যবসা বড় করতে পারবেন।
অনলাইন নার্সারি এর ব্যবসা : বর্তমানে শহরের সৌখিন মানুষজন ঘর সাজিয়ে রাখার জন্য গাছপালার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আপনার যদি বাগান করার মতো ছোট জায়গা থেকে থাকে তাহলে সেখানে নার্সারি করতে পারবেন।
ফেসবুকে একটি পেজ খুলে সেখানে আপনার গাছের সুন্দর কিছু ছবি আপলোড করে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে আপনি গাছ বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন।
ফাস্ট ফুডের দোকান : মাত্র ১ লাখ টাকা বা তার কম মূলধন ব্যবহার করে আপনি ছোট পরিসরে ফাস্টফুডের দোকান দিতে পারবেন। স্টুডেন্ট বাজেটের ভেতর কিছু মুখরোচক খাবার আপনি আপনার দোকানে বিক্রি করতে পারবেন।
তবে এই ব্যবসা করার আগে অবশ্যই আপনাকে কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমতি নিতে হবে। কাঁচামাল সরবরাহের জন্য সঠিক স্থান ঠিক করতে হবে। যেহেতু ফাস্ট ফুডের দোকান একটু লাভজনক তাই এখান থেকে আপনার সফল হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসা : বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হলে ক্যাটারিং সার্ভিস এর সাহায্য নেওয়া হয়। অফিস, আদালত ছাড়া বিভিন্ন ইভেন্টে খাবার সার্ভিস প্রধানের মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসা বড় করতে পারবেন। ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসা শুরু করার জন্য ১ লাখ টাকার কম পুঁজির প্রয়োজন।
এই ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে বড় সাইজের কিছু হাড়ি পাতিল এবং সুদক্ষ রাধুনি জোগাড় করতে হবে। ক্যাটারিং সার্ভিস এর মাধ্যমে আপনি পরিচিতি অর্জন করতে পারলে ব্যবসা খুব দ্রুত বড় করা সম্ভব।
চা শিঙারা দোকান : বর্তমানে ছোট পরিসরে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে চা সিঙ্গরার দোকান অন্যতম। কারণ এখানে ১২ মাসই ব্যবসা জমজমাট থাকে। যে কোন স্টুডেন্ট চাইলে সামান্য পুঁজি নিয়ে চা সিঙ্গারার দোকান করতে পারবেন।
ফলের জুসের স্টল : মৌসুম ভিত্তিক বিভিন্ন ফলের জুস বিক্রি করতে পারলে বেশ লাভবান হওয়া যায়। তবে ফলের জুসের স্টল সাধারণত শহরে বেশি দেখা যায়। ফলের জুসের স্টল দেওয়ার জন্য আপনার ভাড়া লাগবে ৫০-৭০ হাজার টাকা।
সার্ভিসিং সেন্টার : বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এবং মোবাইল ফোন যেখানে মেরামত করা হয় তাকে সার্ভিসিং সেন্টার বলা হয়। আপনি যদি ইলেকট্রনিক ডিভাইস মেরামতে দক্ষ না হন তাহলে ছোট একটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনি সার্ভিসিং এ দক্ষ হয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
মুদির দোকান : যাদের কাছে নগদ ১ লক্ষ টাকা রয়েছে তারা অনায়াসে মুদি দোকান এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। পজিশন অনুযায়ী একটা দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে কম মালামাল দিয়ে বিক্রি শুরু করতে পারেন।
পরবর্তীতে ব্যবসা বড় হওয়ার সাথে সাথে আপনি আরো মালামাল ক্রয় করে আপনার দোকান বড় করতে পারবেন। মুদির দোকান থেকে ১২ মাসই ইনকাম করতে পারবেন।
জামা কাপড়ের ছোট দোকান : যে কোন মার্কেটে একটি ছোট দোকান ভাড়া করে আপনি আপনার জামা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনার দোকান ভাড়া ও মাল কিনতে ১ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি অনলাইন ভিত্তিক পরিচালনা করতে পারেন আবার অফলাইনেও করতে পারবেন। তবে যেভাবে করুন না কেনো বর্তমানে জামা কাপড়ের ব্যবসা লাভজনক।
ছোটখাটো ফার্মেসি ব্যবসা : ফার্মেসি ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। যদি গ্রাম অঞ্চলে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ১ লাখ টাকার মধ্যে সম্ভব। আর যদি শহরে করতে চান তাহলে পুঁজি কিছুটা বেশি লাগবে।
দুধের সাপ্লাই ব্যবসা : ভালো মানের গরুর দুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনার আশেপাশে যদি ভালো মানের দুধ পাওয়া যায় তাহলে আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সেই দুধ ডেলিভারি করতে পারবেন।
খাবার পানি সাপ্লাই এর ব্যবসা : শহরে বা গ্রামে অনেকেই বিশুদ্ধ খাবার পানি জোগাড় করতে পারে না। আপনার আছে যদি খাবার পানির ব্যবস্থা থাকে তাহলে খুব সামান্য টাকার বিনিময়ে পানি সাপ্লাই করতে পারবেন।
আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হলো ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব 5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়
5000 টাকার ভেতর আপনি অনলাইন ও দোকানের ব্যবসা করতে পারবেন। অনলাইন ব্যবসা আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। যেমন :
গাছের ব্যবসা : এখনকার সময় অনলাইনে গাছ বিক্রির ব্যবসা অনেকেই করছে। আপনি এই ব্যবসাটি করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। এ ব্যবসা করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকের মাধ্যমে পেজ খুলে সেটিতে আপনি গাছ বিক্রি করতে পারবেন।
মধু ব্যবসা : মধু অনেক কাজেই আমরা ব্যবহার করি। মধু আমাদের অনেক উপকার করে। যারা মধু নিজে চাষ করে তাদের থেকে সংগ্রহ করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক পেজে খুলে মধুর ছবি, ভিডিও আপলোড করতে হবে। এরপর থেকে আপনার কাছে অর্ডার আসবে।
গুড়ের ব্যবসা : গুড় গ্রাম বাংলার ঐতিহাসিক জিনিস। খেজুরের গুড় আপনি নিজের গাছ লাগিয়ে বা বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে বিক্রি করতে হবে। এভাবে ব্যবসা করে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ভাজাপোড়ার ব্যবসা : মজা করে খেতে ভালো লাগে তেলে ভাজা জিনিস। বেগুনি, পেয়াজু, সিঙ্গারা, পুরি ইত্যাদি জিনিস দিয়ে দোকান চালু করতে পারবেন। সবকিছু পণ্য কিনতে যা খরচ হয় তা থেকে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
কালায়ের রুটির ব্যবসা : শীতের দিনে গরম গরম কালাই রুটি খেতে অনেক ভালো লাগে। যদি মরিচ পাঠা থেকে এবং বিভিন্ন ধরনের ভর্তা থাকে। এ ব্যবসা করতে এক দুই হাজার টাকা হলে হয়ে যায়। এই ব্যবসা করে মাসে আপনি ১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
শরবতের ব্যবসা : শরবত খেলে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। লেবুর শরবত, আখের শরবত ইত্যাদি রাস্তায় বের হলে দেখা যায়। এই ব্যবসা করে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হলো ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়
ব্যবসা শুরু করতে হলে বড় পুঁজির প্রয়োজন। বড় ব্যবসা শুরু করতে বড় পুঁজি লাগে ছোট ব্যবসার জন্য অল্প টাকা দিয়ে শুরু করা যায়। সামান্য পুঁজি দিয়ে সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে লাভজনক ব্যবসা শুরু করা যায়। যেমন:
- পান-সুপারি
- ঘরে তৈরি খাবারের ব্যবসা
- পোশাক বিক্রি
- মাস্ক,ব্যাগ ও অন্যান্য ছোট পণ্য
- অনলাইনে পুরনো বই বিক্রি
- শরবত বিক্রি করা
- স্ক্রীন এন্ড হেয়ার কেয়ার ব্যবসা
- আচার বিক্রি
- আর্ট এন্ড ক্রাফট ব্যবসা
- ঝালমুড়ি বিক্রি
- বাদাম বিক্রি
- পিঠা বিক্রি
৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা
৩০ হাজার টাকায় পুঁজি নিয়ে আপনার পছন্দের ব্যবসা করতে পারবেন। বর্তমানে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি লাভজনক ১০টি ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো। যেমন :
- ফুড ভ্যান ব্যবসা
- ফলের ব্যবসা
- ফুলের দোকানের ব্যবসা
- মোবাইল সার্ভিসিং
- মোমবাতি তৈরির ব্যবসা
- মৌমাছি পালন
- কবুতর পালন
- আগরবাতি তৈরির ব্যবসা
- চা পাতার ব্যবসা
- পাইকারি পণ্যের ব্যবসা
কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যায়
একটি ছোট ব্যবসা শুরু করা অপ্রতিরোধে মনে হতে পারে। আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হলো ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা যার মধ্যে আমরা আলোচনা করব কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যায়। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
- বিজনেস আইডিয়াস ব্রেনস্টর্ম করুন
- বাজার গবেষণা পরিচালনা করা
- ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
- ব্যবসার কাঠামো নির্বাচন
- ব্যবসা নিবন্ধন
- লাইসেন্স ও পারমিট প্রাপ্ত
- নিরাপদ তহবিল
- ব্যবসায়িক একাউন্ট প্রতিষ্ঠা করুন
- ব্যবসা বাজারজাত করুন
- কর্মচারী নিয়োগ করুন
১৫ লাখ টাকায় ব্যবসা
নিচে আমরা ১৫ লাখ টাকার কয়েকটি ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যদি আপনি পরিশ্রম করেন এবং সময় দেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে সফলতা লাভ করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক :
ফাস্টফুড ব্যবসা : আধুনিকতার যুগে আমাদের দেশের মানুষ ও এখন ফাস্টফুডের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। বিশেষ করে শহরে ফাস্টফুড একটি জনপ্রিয় খাবার। ব্যাপক চাহিদা থাকার পাশাপাশি এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।
খাবার হোটেল : শহরের মানুষেে সব সময় কাজেকর্মে ব্যস্ত থাকে। তারা ঠিকমতো রান্না করে খেতে পারে না। এজন্য বর্তমান সময়ে খাবারের হোটেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ট্রাভেল এজেন্সি : বর্তমান সময়ে একটি আধুনিক ব্যবসা হলো ট্রাভেল এজেন্সি। চাহিদা বেশি থাকায় ব্যবসাটির ফলাফল ভালো। প্রতিনিয়ত মানুষ বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাচ্ছে।
তাদেরকে ঘিরে আপনি একটি ঠ্রাভেল এজেন্সি খুলতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলো আপনার কাস্টমারদের সাথে ভালো ব্যবহার করা। কোনভাবে অসৎ আচরণ করা যাবে না।
ইট-বালু ব্যবসা : সারা বছর জুড়ে চাহিদা থাকা একটি ব্যবসা হলো ইট-বালুর ব্যবসা। মানুষের ঘরবাড়ি পাকা করতে, রাস্তা-ঘাট নির্মাণের কাজ এবং বিভিন্ন সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ইট, বালুর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আর ব্যবসাটি অনেক লাভজনক বটে। এজন্য আপনি সরাসরি কোন ইটের ভাটার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। সেখান থেকে পাইকারি দরে ইট কিনে নিতে পারেন।
গার্মেন্টস ব্যবসা : দেশ ও বিদেশে বাজারজাত করার মধ্যম হলো গার্মেন্টসের ব্যবসা। আমাদের দেশে যেমন গার্মেন্টসের পণ্যসামগ্রীর খুব বেশি চাহিদা রয়েছে।
গার্মেন্টস পণ্যসামগ্রী বিদেশে ও রপ্তানি করা যায়। এজন্য আপনি ১৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রথমে ছোট পরিসরে একটি গার্মেন্টস খুলতে পারেন। পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিভিন্ন মার্কেটে বা দোকানে আপনার গার্মেন্টসের তৈরি পণ্য বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য :
আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হলো ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করেছি ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়, ১৫ লাখ টাকা ব্যবসা, 5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়, ছোট ব্যবসা শুরু করার উপায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
আমাদের আজকের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমারা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url