দুলহান তেল ব্যবহার করার নিয়ম। সুপার ভ্যাসমল এর উপকারিতা 2025
দুলহান ব্যবহারের নিয়ম
সাদা চুল কালো করার উদ্দেশ্য না থাকলে দুলহান তেল কালো চুুলে ব্যবহার করা যাবে। তবে সাদা চুলকে কোন তেল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে কালো করা জন্য দুলহান ব্যবহার করতে হবে।
ব্যবহার বিধি : চুল ধুয়ে শুকিয়ে নিন, এখন চুলে দুলহান কেশ কালো ভাল ভাবে লাগান এবং চিরুনি বা ব্রাশের সাহায্যে আঁচড়িয়ে নিন। এই ভাবে পরপর দুই দিন পর্যন্ত ব্যবহার করুন। আপনার চুল প্রাকৃতিক কালো, নরম এবং সুন্দর হয়ে যাবে।
আজকের আমাদের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হলো দুলহান তেল ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব দুলহান কেশ কালা সাইড এফেক্টস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
দুলহান কেশ কালা সাইড এফেক্টস
দুলহান তেলের দাম
- ৮০ মিলি বোতল এর দাম ২২০-২৩০ টাকা
- ১০০ মিলি বোতল এর দাম ১৫০-১৬০ টাকা
- ৭৫ মিলি বোতল এর দাম ১৫০ টাকা
দুলহান কেশ কালা অরিজিনাল এর দাম ১০০ মিলি মাত্র ১৭০ টাকা। তবে স্থান ভেদে দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে দুলহান কেশ কালা হেয়ার কালার কপি বা বাংলাদেশি এর দাম ৭৯.০০ টাকা মাত্র।
সুপার ভ্যাসমল তেল এর ব্যবহার
সুপার ভ্যাসমল তেল সাধারণত চুলের কালার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত চুলকে কালো করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। সুপার ভ্যাসমল এর ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো-
পরিষ্কার চুল : প্রথমে চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে।
মিশ্রণ তৈরি : প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী সুপার ভঢাসমল পাউডার বা ক্রিম একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। মিশ্রিত করার জন্য পানি বা নির্দেশিত উপাদান যোগ করতে হবে।
চুলে প্রয়োগ : হেয়ার ব্রাশ বা হাত দিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সমানভাবে মিশ্রণ লাগান। পুরো চুল সমানভাবে লাগানোর পরে চুল ভালোভাবে সজ্জিত করুন।
প্রতিক্ষা : ২০-৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী সময় বাড়াতে বা কমাতে পারবন।
পরিষ্কার করুন : সময় শেষ হলে চুল ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চাইলে ব্যবহার করুন।
আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হলো সুপার ভ্যাসমল এর উপকারিতা সম্পর্কে। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব সুপার ভ্যাসমল এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
সুপার ভ্যাসমল এর উপকারিতা
সুপার ভ্যাসমল কেশ কালা তেল ভিত্তিক চুলের রং বাদাম, আলমা হিবিস্কাস দিয়ে। আমলা, জাসুন্দ এবং বাদামের ভালোত্বের সাথে তেল ভিত্তিক চুলের রং ভারতের অন্যতম শীর্ষ হেয়ার কালার।
আমলা, হিবিস্কাস এবং বাদামের ভালোত্বের সাথে তেল ভিত্তিক চুলের রং। এটি একটি সহজ, সরাসরি অ্যাপ্লিকেশন পণ্য এবং ব্যবহার করা খুব সহজ।
- ভ্যাসমল তেল চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত ব্যবহারে এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- এটি মাথার ত্বককে আদ্র রাখবে এবং শুষ্ক স্ক্যাল্প থেকে মুক্তি দেয়।
- ভ্যাসমল তেলের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং খুশকি দূর করে।
- চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- নিয়মিত ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক রঙ দীর্ঘদিন ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
- আয়ুরপ্রাশ এবং বাদামের প্রোটিন দিয়ে তেল ভিত্তিক তরল চুলের রং
- চুলের রঙের উপর ভিত্তি করে তেল
- কোন মিশ্রণ প্রয়োজন
- রঙ করার জন্য প্রাকৃতিক অক্সিজেন ব্যবহার করে।
- আয়ুরপ্রাশ এবং বাদাম প্রোটিনের গুণাগুণ রয়েছে।
দুলহান তেল এর উপকারিতা
- চুলকে কালো ও আকর্ষণীয় করবে।
- এটি আপনার চুলের সকল সমস্যা দূর করবে।
- এটি সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাকৃতিক চুলের বৃদ্ধির তেল।
- নিয়মিত ব্যবহারে নতুন চুল গজায়।
চুলে দুলহান দিলে কি চুল লম্বা হয়
আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে দুলহান তেল ব্যবহার এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। যার এই অংশে আলোচনা করব দুলহান তেল এর উপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
দুলহান তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারে, তবে এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। এর প্রধান উপাদানগুলো চুলের গোড়াকে পুষ্টি জোগায়, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুলে নিয়মিত ব্যবহার চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এর সঠিক ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে দুই বার এই তেল ব্যবহার করতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য এক রাত মাথায় দিয়ে রাখতে হবে।
ক্যাস্টর অয়েল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
সরাসরি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে অসুবিধা হল, লটি ভীষণ ঘন এবং চিটচিটে। তাই ক্যারিয়ার অয়েলে মিশিয়ে এটিকে মুখে লাগাতে পারেন। ক্যারিয়ার অয়েল হিসেবে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েলের মধ্যে যে কোন একটা বেছে নিতে পারেন। তেল ব্যবহারের আগে ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এই তেলে রয়েছে বাইসোনোলিয়েক অ্যাসিড। এটি এক ধরনের ফ্যাটি এসিড। যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে। ত্বকে কোন রকম সংক্রমণ রোগ হলে তাও প্রতিরোধ করতে পারে।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা বলিরেখা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। চোখ, নাখ এবং ঠোঁটের চারপাশের স্পর্শকাতর অংশগুলোতে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা থাকে। তাই পুরো মুখে ক্যাস্টর অয়েল না মাখলেও এই নির্দিষ্ট স্থানে মাখা যেতে পারে।
এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। যার ফলে এই তেল ব্যবহারে জ্বালা, পোড়া, ফোলা ভাব কমতে থাকে।
ফাটা ঠোঁটের জন্য বিশেষ উপকারি তেলটি। লিপস্টিক ও লিপগ্লসে এই তেলের ব্যবহার রয়েছে। যা ঠোঁট ফাটার সমস্যায় না লাগিয়ে এই তেলটি ব্যবহার করতে পারবেন তবে সরাসরি না লাগিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো।
লেখকের মন্তব্য :
আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল দুলহান তেল ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে। তার পাশাপাশি চুলের যত্ন দুলহান তেলের উপকারীতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের আজকের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url