এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব-মেয়েদের পার্ট টাইম 2025

আপনি যদি এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গা এসেছেন। কারণ আমরা আজকের এই আর্টেকেলে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আরও থাকবে কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব,মেয়েদের পার্ট টাইম জব, রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম জব, ঢাকা মোহাম্মদপুরে পার্ট টাইম জব, ঢাকায় পার্ট টাইম জব ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন। 
সূচিপত্র 

এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব 

এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব বা স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জবগুলোর বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। এসএসসি পাসের পর সাধারণত আমাদের কলেজ লাইফ শুরু হয়। আর কলেজে ওঠার পর প্রত্যেকেরই পড়াশোনার খরচ বেড়ে যায়। 

প্রত্যেক বাবা মা তাদের সন্তানের পড়াশোনার খরচের জন্য পর্যপ্ত পরিমাণে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সংসারে অভাব থাকার কারণে বেশি পরিমাণে টাকা দেওয়া সম্ভব হয় না। এজন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করার কথা ভাবতে হয়। 

তাই এসএসসি পাস করে ঘরে বসে না থাকে পার্ট টাইম জব করে আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব পার্ট টাইম জব এসএসসি পাসের পর করতে পারবেন :

কনটেন্ট রাইটিং : কনটেন্ট রাইটিং হলো স্টুডেন্টদের জন্য একটি সেরা অনলাইন জব। আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে খুব কম সময়ে ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে পারেন। তাহলে আপনি এভ কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। 

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে প্রচুর ওয়েবসাইট, ব্লগ রয়েছে যেগুলোতে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা অনলাইনে তাদের বিভিন্ন পণ্যের জন্য কনটেন্ট রাইটার এর দ্বারা লিখিয়ে নিয়ে থাকেন। 

এক্ষেত্রে আপনার কন্টেন্ট রাইটিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি রাইটিং এর কাজ করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। আজকাল প্রচুর পরিমাণ ছাত্র ছাত্রীরা এই কাজ করে ইনকাম করছেন। আপনি যদি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় দিয়ে কনটেন্ট লেখার কাজ করতে পারবেন। 

ওয়েবসাইট বানিয়ে :ওয়ার্ডপ্রেস একটি সি এম এস মানে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যার মাধ্যমে কোন প্রকার কোডিং ছাড়াই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ছাড়া ওয়েবসাইট বানানো যায় সহজেই। 

আপনি যদি খুব সহজেই ওয়েবসাইট বানানোর উপায় ইউটিউব দেখে শিখতে নিতে পারবেন। ওয়ের্ডপ্রেসে রয়েছে হাজার হাজার ফ্রি থীম। এই থীম দিয়ে আপনি অনেক সহজে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। 

তারপরে তা আপনি Fiverr, Upwork, Peopleperhour, freelancer ইত্যাদি সাইটে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু  করুন। এখানে কাজের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। আপনি শুরুর দিকেই ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানানোর কাজ করে ভালো  টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি : ফ্রিল্যান্সিং জগতের সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর একটি হলো ডাটা এন্ট্রি। এই কাজটি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং কাজের তুলনায় একটু সহজ নতুন 
ফ্রিল্যান্সারের পছন্দের তালিকায় থাকে। 

ডাটা এন্ট্রির কাজ সহজ হলেও এই কাজেও কিছু বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। যেমন বিভিন্ন টুলের ব্যবহার জানা ছাড়া টাইপিং স্পিড ভালো থাকতে হবে। মূলত যারা সামান্য দক্ষতা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান তাদের জন্য ডাটা এন্ট্রি কাজ ভালো হবে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন :গ্রাফিক্স ডিজাইনিং একটি সৃজনশীল কাজ। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে দক্ষ তারা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাজ পেতে পারেন। পোস্টার, ব্যানার, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ডিজাইন করার মতো বিভিন্ন কাজ করে আয় করতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং : বর্তমান সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি। অনলাইনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া কল্পনা করা যায় না। 

ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।ডিজিটাল মাকেটিং এর বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

ওয়েবসাইট : আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে মানুষ ওয়েবসাইট সম্পর্কে তেমন কিছু জানতো না। কিন্তু বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট এর গুরুত্ব এবং ওয়েবসাইট থেকে ইনকামের ব্যাপারে অনেক বৃদ্ধি হচ্ছে। গুগল থেকে মানুষ ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে। 

তাই ওয়েবসাইট এর বিষয়ে যদি দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স ছাড়া একটি ওয়েবসাইট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। 

ভিডিও এডিটিং : ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ভিডিও এডিটিং কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর ভিডিও এডিটিং করে সহজেই প্রচুর  ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে কমবেশি সকল কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তারা ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করে থাকে এবং সেই ভিডিও এডিট করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খোজ করে থাকেন।

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং জেনে থাকেন তাহলে তাদের ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাদের চ্যানেলগুলোতে পণ্যর প্রচার পরিচালনা করার জন্য ভিডিও বানিয়ে থাকে। সেই ভিডিওগুলো এডিট করার প্রয়োজন হয়। তারা ভিডিও এডিটিং করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যালারি দিয়ে থাকে। 

ফ্রিল্যান্সিং :ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশে অনলাইন ইনকাম  করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। Fiverr,Freelancer এর মতো বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন বিভিন্ন কাজ করে ভালো ইনকাম করা সম্ভব। 

গ্রাফিস ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং,ভিডিও এডিটিং সহ নানা ধরনের কাজের জন্য ক্লায়েন্টরা ফ্রিল্যান্সা খুজে থাকেন। শুরুতে কম দামে কাজ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন ও রিভিউ পাওয়ার পর ধীরে ধীরে ইনকাম বৃদ্ধি পায় । তবে সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, নিয়মিত কাজ করতে হবে । 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং :সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমানে  অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম  করার অন্যতম জনপ্রিয় একটি উপায়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোতে  বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশন করে ভালো ইনকাম করা যায় । 

এজন্য একটি নিদিষ্ট মার্কেটে ফোকাস করে সেই সম্পর্কিত পেজ গ্রুপ বা চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এরপর টার্গেট অডিয়েন্সদের আর্কষণীয় কন্টেন্ট দিয়ে এনগেজ করতে হবে। কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের পাশাপাশি পেইড প্রমোশনের মাধ্যমে রিচ বাড়ানো যায়। 

বিভিন্ন ই কমার্স সাইড,প্রোডাক্ট রিভিউ অ্যাফিলিয়েড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।  সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে সফলতা পেতে ধৈর্য,পরিশ্রম ও কৌশল প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখা এবং আপডেটেড থাকা জরুরি। তবে শুরুতে বেশি ইনকাম না হলেও ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতার সাথে সাথে আয়ও বৃদ্ধি পায়। 

কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব 

আপনারা যারা কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব করতে চান তারা অবশ্যই কোম্পানিগুলোতে চাকরির খোঁজ করবেন। বিভিন্ন আইটি কোম্পানিতে কল সেন্টারের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিস কাস্টমার সেন্টারেও কল সেন্টারের কাজ দেওয়া হয়। 

কল সেন্টারে কাজ হলো কাস্টমারদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান দেওয়া। কল সেন্টারে কাজ করতে হলে অবশ্যই কথা বলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে হবে এবং কল সেন্টার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে সার্ভিস প্রদান করতে হবে। 

  • কাস্টমারদের সমস্যা সমাধান, তথ্য প্রদান এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়। 
  • বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে কাস্টমারদের জানানো এবং বিক্রি করার চেষ্টা করা।
  • কল সেন্টার কাজের পাশাপাশি কিছু কোম্পানি অনলাইন চ্যাট সাপোর্ট এজেন্ট নিয়োগ করে থাকে।
  • কল সেন্টারে পার্ট টাইম জবে ফ্লেক্সিবল শিফট হিসেবে দিন, সন্ধ্যা বা রাতে বিভিন্ন শিফটে কাজ করা যায়। বেশিরভাগ কল সেন্টার ২৪/৭ খোলা থাকে। 
  • গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। 
  • কল সেন্টারে পার্ট টাইম জবে বেশিরভাগ কোম্পানি কাজের আগে ট্রেনিং দিয়ে থাকে তাই আগের অভিজ্ঞতা না থাকলে কাজ করতে পারবেন।
  • গ্রাহকদের সাথে ধৈর্য সহকারে কথা বলতে হবে এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকতে হবে। 
  • কল সেন্টারে কাজ সাধারণত কম্পিউটার ও ফোন ব্যবহার করে করা হয় তাই বেসিক ধারণা থাকতে হবে। 
এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব ঢাকা মোহাম্মদপুরে পার্ট টাইম জব নিয়ে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন। 

ঢাকা মোহাম্মদপুর পার্ট টাইম জব 

আপনারা যারা ঢাকা বা মোহাম্মদপুর থাকেন তাদের নিশ্চয়ই ঢাকা মোহাম্মদপুর পার্ট টাইম জব সম্পর্কে জানার জন্য আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। আপনি যে স্থানে থাকুন অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকেই অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। উপরের দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকেও অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই অবশ্যই পোস্টের উপরে এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলে ঢাকা মোহাম্মদপুর পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। 

পার্ট টাইম জব ঢাকা ২০২৫ 

অনেক কোম্পানি কাস্টমার সার্ভিস এজেন্ট নিয়োগ করে যেখানে ফোন বা চ্যাটের মাধ্যমে কাস্টমারের সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এতে সাধারণত শিফট অনুযায়ী কাজ করা হয়। যদি কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকে তবে পার্ট টাইম টিউশন করাতে পারবেন। 

তাছাড়া Chegg, Tutor.com এর মতো অনলাইন টিউটরিং প্লাটফর্মে কাজ শুরু করতে পারবেন। এটি বাড়িতে বসেই করা যায় এবং প্রতি ঘন্টায় ইনকাম করা সম্ভব। অনেক বড় শপিং মল, সুপার শপ বা ব্র্যান্ডেড স্টোরে পার্ট টাইম সেলসম্যান নিয়োগ করে। সেখানে সেলস ম্যান বা কাস্টমার কেয়ারের চাকরি করতে পারবেন। যার ফলে কাজের অভিজ্ঞতা বাড়বে যা ভবিষ্যতে উপকারে আসবে। 

এসএসসি পাসে পার্ট টাইম জব নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব ঢাকা রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম জব নিয়ে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন। 

রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি 

রেস্টুরেন্টে ও ফাস্ট ফুড শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম একটি শিল্প। পশ্চিমা দেশগুলোতে রেস্তোরাঁতে একটি পার্ট টাইম জব উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম প্রধান উপার্জন উৎস।

শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেকেই এই কাজ করে ইনকাম করে। বাংলাদেশে খাদ্য শিল্পের সাথে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি করছে। একটি রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একজন শিক্ষার্থী তার নিজের রেস্টুরেন্টে দিতে পারবে।

পার্টটাইম চাকরির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আয় অনেক রেস্তোরাঁয় গ্রাহক সন্তুষ্টির উপর ভিত্তি করে টিপস প্রদান করে। যা একটি সার্ভারের মোট আয়র পরিমাণ বাড়াতে পারে। তাছাড়া এই ধরনের কাজের মাধ্যমে কর্মীর সাধারণত খাদ্য বা পানীয় ছাড় পেতে পারে। পার্ট টাইম কাজের একটি শিফট পরিবর্তন হতে পারে এবং সপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজের চাপ বেশি হতে পারে। 

এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব মেয়েদের পার্ট টাইম জব নিয়ে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন। 

মেয়েদের পার্ট টাইম জব 

মেয়েরা ঘরে বসে পার্ট টাইম জব ও অনলাইন জব করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা লেখাপড়া করেন তারা পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় করার জন্য জব করতে পারবেন। অনেক উপায়ে ঘরে বসে পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। মেয়েদের পার্ট টাইম জবের তালিকা নিচে দেওয়া হলো- 

Content writing : কনটেন্ট রাইটিং হলো মেয়েদের পার্ট টাইম এর জন্য একটি সেরা অনলাইন জব। আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন তাহলে খুব কম সময়ে ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে পারেন। তাহলে আপনি ঘরে বসে কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। 

ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট , ব্লগ রয়েছে যেগুলোতে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন। তাই মেয়েদের পার্ট টাইম জব হিসেবে আর্টিকেল রাইটিং অনেক ভালো কাজ।

Blogging : ব্লগ থেকে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু সব থেকে ভালো এবং বেশি ইনকাম হওয়ার উপায় মূলত তিনটি। ব্লগ থেকে আনিং এর তিনটি উপায় হলো google adsence, Affiliate marketing, product promotion এই তিনটি উপায় বেছে নেওয়ার মাধ্যমে  নিজের ব্লগ থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

Graphics design: গ্রাফিক্স ডিজাইনিং একটি সৃজনশীল কাজ। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয় করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাজ পেতে পারেন। পোস্টার, ব্যানার, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ডিজাইন করার মতো বিভিন্ন কাজ করে আয় করতে পারবেন। 

Affiliate marketing :ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারবেন। Amazon Associates, clickbank, share-sale এর মতো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে আয় করা সম্ভব। আপনার প্রচারমূলক কৌশল এবং লিঙ্কে ক্লিক করার উপর নির্ভরশীল। 

Facebook marketing :ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই প্রতিদিন টাকা ইনকাম করেন চাইলে আপনিও পারবেন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে আপনি রিলিস ভিডিও করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে যেকোনো দর্শনীয় জায়গা ঘুরে ভিডিও করে আপলোড করতে পারবেন। ফেসবুকে আপনি লাইক কমেন্ট ও ফলোয়ার এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। 

Beauty Service :আজকাল মানুষ নিজের সৌন্দর্যটা তুলে ধরার অনেক চেষ্টা করে যার কারণে তারা বিউটি পার্লারে গিয়ে থাকে। আপনি যদি  পার্লারের কাজ জানেন তাহলে আপনি একটা পার্লার দিতে পারেন। আজকাল গ্রামে পার্লারের মাধ্যমে অনেকেই সৌন্দর্য চর্চা করেন। তাই আপনি চাইলে আপনার এলাকায় পার্লার এর দোকান দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। 

Youtubing: ইউটিউবে চ্যানেল খুলেই সাথে সাথে আয় করা যায় না এজন্য কমপক্ষে ১ বছর সময় দিতে হবে। ইউটিউব এর নীতিমালা এবং গুগল এডসেন্স নিয়ম অনুযায়ী। তবে দ্রুত আয় করতে হলে ইউটিউব শর্টস ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে সঠিকভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোডের নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।

লেখকের মন্তব্য :

এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার মধ্যে আমরা আলোচনা করেছি ঢাকা মোহাম্মদপুরে পার্ট টাইম জব, কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব, মেয়েদের পার্ট টাইম জব, ঢাকায় পার্ট টাইম জব ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে  বিস্তারিত আলোচনা। 

আমাদের আজকের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নেন সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url