লটকন খাওয়ার উপকারিতা-গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা

আজকের আর্টিকেলের মূল টপিক হলো গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি লটকন খেতে পছন্দ করেন তাহলে আজকের এই পোস্ট সম্পন্ন পড়ুন। কারণ আপনারা এই আর্টিকেলে লটকন লটকন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

লটকন টক মিষ্টি জাতীয় খুব উপকারী একটি ফল। এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। পাশাপাশি এটি গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য খুব উপকারী। তাহলে চলুন লটকনের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানে নেওয়া যাক। 

সূচিপত্র 

লটকন খাওয়ার উপকারিতা 

লটকন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কারণ লটকন ফলে রয়েছে অনেক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক লটকন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত -

  • শরীরিক দুর্বলতা দূর 
  • বুক ধরফর দূর করে 
  • হাত পায়ের ব্যথা দূর করে 
  • পায়ের তালু ফাটা রোধ করে 
  • ঠোঁট ফাটা রোধ করে 
  • রক্ত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ 
  • ক্যান্সার ঝুঁকি কমায় 
  • খাদ্য শক্তির ভালো উৎস 
  • কোষ খোলার সুস্থতা
  • প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • বমি বমি ভাব দূর করে 
  • মানসিক অবসান দূর করে 
  • তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম 
  • শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে 
  • ডায়রিয়া দূর করে 
  • ক্ষুধামন্দা দূর করে 
লটকনের উপকারিতা বিশ্লেষণ করা হলো -
  • লটকন ফলে রয়েছে নানান খনিজ উপাদান যা আমাদের শরীরে নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। 
  • লটকন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যা আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করে। এজন্য যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা লটকন খেতে পারেন। 
  • লটকন ফলে রয়েছে B1 একটি কার্বোহাইড্রেট কে শক্তিতে রূপান্তর করে এবং স্নায়ু ভালো রাখে। এছাড়া আমাদের নার্ভ সিস্টেমকে ভালো রাখে। মন ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ড ভালো করে। 
  • লটকনে রয়েছে রিবোফ্লাভিন। এইটা চোখের জন্য অনেক ভালো। এইটা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং আমাদের মাথা ব্যথা কমায়। এছাড়া পুষ্টি শোষণের সাহায্য করে এবং শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে পারে। 
  • খাদ্য শক্তির একটি ভালো উৎস হলো লটকন ফল। কারণ এটি আমাদের খাদ্য শক্তি পূরণের সাহায্য করে। আর কাঁঠাল তুলনায় এতে খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়। 
  • লটকন ফলে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড ও এনজাইম। যা দেহ গঠন ও কোষ কলার সুস্বাস্থ্যের কাজ করে। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
  • লটকনে কিছু পরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট পাওয়া যায়। লটকনের প্রোটিন যার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। আর ফ্যাটি আমাদের শরীরের তাপ উৎপাদন করে। মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটায়। 
  • লটকন ফল গা গলানো বা বমি বমি ভাব দূর করে। পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। 
  • তাছাড়া গরমের দিনে তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম। কারণ লটকন ফলে রয়েছে অনেক জলই অংশ যা গরমের সময় দেহে তৃষ্ণা মিটায়। 
  • লটকন ফলের পাতা ও শিকড় খেলে দেহের অসুখ দূর হয়ে থাকে। 
আজকের আর্টেকেলের আলোচনার বিষয় হলো গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব লটকন খাওয়ার অপকারিতা নিয়ে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন। 

লটকন খাওয়ার অপকারিতা 

লটকন ফলে অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য অনেক প্রয়োজন। কিন্তু তার মাঝে আমাদের খাবর ভুলের কারণে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। 

তাছাড়া কিছু কিছু মানুষের জন্য এই ফলটি খাওয়া উচিত না। লটকন ফল যদি আপনি বেশি মাত্র খেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষতি হতে পারে। 
  • লটকন ফল বেশি খাওয়ার ফলে ক্ষুধা মন্দা সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • খালি পেটে লটকন খেলে আপনার সমস্যা হতে পারে এজন্য কিছু খাওয়ার আধা ঘন্টা পর লটকন ফল খাওয়া উচিত। 
  • অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে লটকন ফলের সাথে দুধ খাওয়া উচিত না। এইজন্য এক ঘন্টা আগে বা পরে কোন দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার খেতে হবে। 
  • লটকন ফল খেতে হবে সকালে। কারণ সন্ধ্যার পরে এই ফল খেলে গ্যাস ও এসিডিটি হতে পারে। 
তাহলে তো আপনার বুঝতে পেরেছেন লটকন ফলের উপকারী বেশি কিন্তু অপকারীতা খুবই কম। এজন্য আপনার খাবার টেবিলে অবশ্যই লটকন ফল রাখতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি না

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কিনা। আসলে গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্রোনিয়াম, প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। 

এসব উপাদান গর্ভাবস্থায় শরীরের রক্ত উৎপাদন করে এবং গর্ভের বাচ্চার হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। লটকনে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে। 
  • গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের ভিটামিন সি এর চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। কারণ এসময় গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করে। 
  • লটকনে প্রচুর পরিমাণে চর্বি, আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। যা খেলে মানসিক অবসাদ দূর হয়। গর্ভাবতী মা খুব সহজে দুর্বলতা অনুভব করবে না। 
  • লটকন ফল খাবার রুচি বাড়ায়। আর গর্ভাবস্থায় মায়েদের খাবার রুচি হারিয়ে যায় এজন্য লটকন ফল তাদের খাবার রুচি বাড়ায়। 
  • একটি লটকনে কুয়ায় খাদ্য শক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। এতে ক্যালরি আছে কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ। সেজন্য গর্ভাবস্থায় ক্যালরি চাহিদা পূরণ করতে লটকন একটি আদর্শ ফল। 
  • লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড ও অ্যানজাইম। যা গর্ভের বাচ্চার দেহের গঠণ ও কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। 
  • গর্ভাবস্থার সময় অনেক মহিলাদের বমি হয় অনেক বেশি কিন্তু লটকন খাওয়ার ফলে অনেকটা কমে যায়। কারণ লটকন ফল বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। 
  • লটকনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি, যার মধ্যে ভিটামিন B1 আছে ১০.০৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন B2 আছে ০.২০ মিলিগ্রাম। লটকন ফলের খাওয়ার দিক দিয়ে খুবই সুস্বাদু। 
আজকের আর্টেকেলের আলোচনার বিষয় হলো গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব লটকনের বিচি খেলে কি হয় তা নিয়ে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।   

লটনকের বিচি খেলে কি হয় 

লটকন একটি মৌসুমী ফল। শুধুমাত্র বর্ষাকালে লটকন পাওয়া যায়। লটকন খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগ যেমন - ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

শুধু লটকন ফল না লটকনের বিচি মানব দেহের জন্য বেশি উপকারী। গনোরিয়া রোগের প্রতিষেধক হিসেবে একটি কাজ করে। 

আজকের আর্টেকেলের আলোচনার বিষয় হলো গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব লটকনের দাম কত তা নিয়ে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন। 

১ কেজি লটকনের দাম কত 

এত সবকিছু জানার পরে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন যে লটকন গর্ভবতী মাকে খাওয়াবেন। তখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে প্রতি কেজি লটকনের দাম কত বা লটকনের বাজার মূল্য কেমন হতে পারে। কেননা আগে থেকে দাম সম্পর্কে ধারণা থাকলে কেনার সময় সুবিধা হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ প্রতি কেজি লটকনের দাম কত টাকা করে। 

বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলা লটকন চাষের জন্য বিখ্যাত। বর্ষা মৌসুমে লটকন বেলাবো উপজেলায় চাষ করা হয়ে থাকে। যেখানে স্থানীয় বাজারে পাইকারি মন প্রতি ২৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। যা খুচরা বাজারে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তাছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় এর দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে। 

লটকন এর ইংরেজি নাম

লটকন টক জাতীয় সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল। আপনাদের অনেকের কাছেই অনেক পছন্দের। আপনারা অনেকেই মাঝে মাঝে জানতে চান তাহলে লটকনের ইংরেজি নাম কি। 

লটকনের ইংরেজি নাম হচ্ছে Burmese Grap এবং বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea Motleyana

লটকনের পুষ্টি উপাদান সমূহ দেখে নিন 

লটকন টক মিষ্টি খুব সুস্বাদু একটি ফল। অনেকেই এই ফলটি খেতে পছন্দ করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক লটকনের পুষ্টি উপাদান সমূহ সম্পর্কে -
  • ভিটামিন সি 
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • পটাশিয়াম 
  • অ্যাইনো এসিড
  • ভিটামিন বি 
  • খনিজ
গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার সর্তকতা:
লটকনের নানা গুণ থাকা শর্তে কিছু সর্তকতা মেনে চলতে হবে। এক সঙ্গে বেশি লটকন খাওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞের মতে তারা বলেন বেশি লটকন খেলে ক্ষুধা মন্দা হয় যা গর্ভাবস্থায় মারাত্মক ক্ষতি করে। 

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারীতা

ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন বি, আয়রন এবং ফোলেট গর্ভবতীদের জন্য একটি আর্দশ খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত সমস্যা দূর করে এবং গর্ভে থাকা নবজাতকের শক্তি সরবরাহ করে। এছাড়া ড্রাগন ফলে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের বিকাশ করে। ম্যাগনেসিয়াম মহিলাদের পোস্ট-মেনোপজাল বিভিন্ন জটিলতা দূর করতে সাহায্য করে। 

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ওমেগা ৩ এর ঘাটতি দেখা দেয়। নিয়মিত ড্রাগন ফলে থাকা খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভবতী মায়েদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে পারে। 

ড্রাগন ফল এমন একটি খাবার যেখানে গর্ভাবস্থায় খেলে ক্ষতিকর বা অনিরাপদ এমন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন খাওয়ার উপকারিতা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। গর্ভাবস্থায় মায়ের খাবার তালিকায় ড্রাগন ফল রাখতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়া কিছু উপকারিতা প্রদান করতে পারে। তবে এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিমিতি বজায় রাখা উচিত এবং কোন সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। করমচা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ যা গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য এবং ভূণের বিকাশের জন্য সহায়তা করে। 

করমচা ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। ভিটামিন সি গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। করমচা আয়রন সমৃদ্ধ যা গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠণে সাহায্য করে। 

আয়রনের অভাবের কারণে অ্যানিমিয়া হতে পারে। যা গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। করমচায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাস থাকে, যা মায়ের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়া পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে সঠিক পরিমাণ এবং সতর্কতা অবলম্বন করে খাওয়া উচিত। 

আমাদের মন্তব্য :

গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার মধ্যে আমরা লটকন ফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের কাজে আসবে। 

আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url