ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা ও অপকারিতা ১০টি
ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা
ভিটামিন ই এর অপকারিতা
- ত্বকে প্রয়োগ করা হলে, ভিটামিন ই সম্ভবত বেশিরভাগ মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।
- শ্বাস নেওয়ার সময় ভিটামিন ই বিপজ্জনক হতে পারে। ই সিগারেট এবং ভিটামিন ই অ্যাসটেট ধারণকারী অন্যান্য ভ্যাপিং ডিভাইসের ব্যবহার কিছু ভোক্তার ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতির সাথে যুক্ত।
- ভিটামিন ই রক্তপাতের ব্যাধি বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনার যদি রক্তপাতের ব্যাধি থাকে তবে ভিটামিন ই সম্পূরক গ্রহণ করা এড়িয়ে চলা উচিত।
- এর ঝুঁকি ক্ষতিকর দিকক্রমে পরিমাণ গ্রহণের সময় বাড়তে পারে। ভিটামিন ই যারা উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ই গ্রহণ করেন তাদের স্বাস্থ্য খারাপ তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ার।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, চোখের তলায় কালি তুলতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই কার্যকরী। শুস্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও ফেস মাস্কের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মুখে মাখা যায়।
ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতে উপকারী ভিটামিন ই ক্যাপসুল।এটি অ্যান্টি-এইজিং ক্রিম হিসেবেও ব্যবহারযোগ্য।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট প্রতিবেদনে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যবহারের পদ্ধতি ও গুণাগুণ জানিয়েছে।
- ত্বকে ভিটামিন ই তেল মালিশ করলে ত্বকের গঠণ স্বাস্থ্যকর হয়, উজ্জ্বলতা বাড়বে।
- নখের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আর্দশ। ক্যাপসুল খুলে তার ভিতরের তেল নখ ও এর চারপাশে ভালোভাবে মাখাতে হবে।
- রোদে পোড়া ত্বকে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হলে কুলিং ক্রিমের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ওভার নাইট ক্রিম হিসেবে বেশ কার্যকর। আপনি যে ওভারনাইট ক্রিম ব্যবহার করেন, তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করলে বেশি উপকার হবে।
- চুল ও মাথার ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল প্রয়োগ করে দুই-তিন ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। কুসুম গরম পানি ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার না করা ভালো। এই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হলে তা দই, মধু, লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো
চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই চুল পড়া রোধ করতে পারেন, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনার চুলে চকচকে যোগ করতে পারে এবং একটি স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বককে সমর্থন করতে পারে।
চুল পড়া লোকদের উপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিকে উন্নত করে। ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন ত্বকের উপরিভাগে একটি প্রতিরক্ষামূলক বাধা তৈরি করে তেল উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় রাখে। Evion 400 ক্যাপসুলের মতো ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট চুলের গুণাগুণ এবং গঠণ উন্নত করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই নাইট ক্রিম : আপনার পছন্দের নাইট ক্রিম বা হালকা বেবি ক্রিম নিন। এবার এই কৌটায় ১-২ টি ক্যাপসুলের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই ক্রিম রেগুলার ব্যবহারে আপনি এক্সট্রা ভিটামিন ই গুণাগুণ পাবেন। একই ভাবে আপনার প্রিয় বডি লোশনেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
কুনই আর হাঁটুর কালো দাগ দূর করতে : দীর্ঘ দিনের পুরনো স্কিন ড্যামেজের দাগ দূর করতে ভিটামিন ই এর তুলনা নেই। আপনার কনুই আর হাঁটুতে কালো দাগ থাকলে রেগুলার ১টি ক্যাপসুলের তেল নিয়ে বা মুখে ব্যবহার করার পর অতিরিক্ত তেল কনুই আর হাঁটুতে দিতে পারেন। ২-৩ সপ্তাহের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
গোলাপি ও মসৃণ ঠোঁট পেতে : মুখে, হাতে, পায়ে লাগিয়ে যেটুকু তেল থাকবে সেই তেলের ফোঁটাটা ঠোঁটে ভালো ভাবে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। কালো, ফাটা ঠোঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার পছন্দের লিপবাম বা ভ্যাসলিনের সাথে ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে সেটা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারবেন।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে : অনেকেই আছেন যারা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে খাটি বাদাম তেল ব্যবহার করেন। তার সাথে যদি ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে নেন তবে খুবই কম সময়ে ভালো ফল পাবেন।
ব্রনের দাগ বা পক্সের দাগ থাকে তবে রেগুলার সেই দাগে ১-২ ফোঁটা করে ভিটামিন ই তেল লাগিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে একটু হলেও দাগটা হালকা হবে। এ ধরনের দাগ হালকা করতে ভিটামিন ই তেল খুবই উপকারী।
এগুলো স্কিন আর হেয়ার কেয়ারে তথা রূপচর্চার ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার কিছু কার্যকর। এতে করে কিছু না বুঝে শুনে ক্যাপসুল না খেয়ে ভিটামিন ই উপকার আপনি পাবেন।
আর যদি খেতেই চান তবে ক্যাপসুল না খেয়ে ভালো সুষম খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই শরীরে দেয়ার চেষ্টা করুন। শাক সবজি, বাদাম, ডিম ইত্যাদি বেশি করে খান। ত্বক আর চুল তো ভালো থাকবেই আর কোন ঝুঁকিও নিতে হবে না।
ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- বমি বমি ভাব
- মাথা ঘোরা
- মাথাব্যথা
- দুঅবলতা
- ক্লান্তি
- ঝাপসা দৃষ্টি
- ডায়রিয়া বা আলগা মল
- পেটে খিঁচুন
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দাম কত
- E-cap 400 এর দাম ৯৪.৫০ টাকা
- E-Gel Ds 400 এর দাম ৫.৫৪ টাকা
- Evit এর দাম ৯ টাকা
- Lifil-E 400 এর দাম ৫.৮৫ টাকা
- Nature-E 400 এর দাম ৬.৩০ টাকা
- Ovit-E 400 এর দাম ৫.৪২ টাকা
- Vitamax-E 400 এর দাম ৬.৩০ টাকা
- Evitacap 400 এর দাম ৬.৩০ টাকা
- Ecovit 400 এর দাম ৫.৪০ টাকা
- E-Soft 400 এর দাম ৫.৪০টাকা
- Inovit E এর দাম ৫.৪০ টাকা
ভিটামিন ই ত্বক ফর্সা করে
Vitamin E Capsule এর কাজ
ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানের দ্রুত সমাধানের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ওপর ভরসা। বাহ্যিকভাবে ত্বকে এর ব্যবহারেই নজরকাড়া দ্যুতি পেতে পারেন। পাশ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ত্বকে ভিটামিন ই এর ব্যবহারে বিভিন্ন কাজ যেনে নেওয়া যাক।
অনেকেই আছেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজের খেয়াল খুশিমতো এক মাস কিংবা দুইমাস ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া শুরু করে থাকে। যা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। কেননা এতে শরীরে নানা ধরনের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই বাহ্যিকভাবে এটি ব্যবহার করেই আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
- আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত না হয়, তবে ই ক্যাপসুলে থাকা তেল মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। আর যদি ত্বক তৈলাক্ত হয় তবে তেলের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন।
- মুখের ক্রিম বা বডি লোশানের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ই ক্যাপসুল। এটি আপনার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নাইট ক্রিমের বিকল্প হিসেবে এই পদ্ধতি ভালো কাজ করে।
- দীর্ঘদিনের ত্বকের পুরনো দাগ যেমন হাতের কনুই বা হাঁটের গাঢ় কালো দাগ দূর করতে সপ্তাহে তিন দিন ভিটামিন ই ক্যপসুলের তেল সে স্থানে ব্যবহার করতে পারবেন।
- চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে চাইলে খাঁটি বাদাম তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। এতে বলিরেখা দূর হয়। ভিটামিন ই এর উপকারিতা আপনাকে দীর্ঘ সময় তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
- গোলাপি আর মসৃণ ঠোঁট পেতে লিপবাম বা ভ্যাসলিনের সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল ম্যাসাজ করুন। কয়েক দিনের মধ্যে দাগ হালকা হতে শুরু করবে।
- অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ভিটামিন ই রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি অকাল রোগ ঠেকাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা
- বয়সকে ধরে রাখতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
- ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা, টান পড়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতেও এটি অনেক উপকারী।
- ই ক্যাপ নিয়মিত খেলে ত্বকে সানবার্ন কমে যায়।
- ভিটামিন ই ক্যাপ চুল পড়া দূর করতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
- হাড়ের সমস্যা রোধ করে। এমনকি বন্ধত্বের সমস্যা রোধ করতেও এটি সাহায্য করে।
- নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে শরীরের কোষগুলো ধীর গতিতে ক্ষয় হয়, যা আপনাকে অন্যদের তুলনায় বেশি সুন্দর করে তোলে।
- ভিটামিন ই হৃদ রোগের সম্ভবনা কমায়।
- চর্মরোগ এমনকি অ্যালঝাইমার্স রোগ দূর করতে দারুণ কাজ করে ভিটামিন ই ক্যাপ।
ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়ার নিয়ম
- হার্টের সমস্যায় : ৪০০-৮০০ প্রতিদিন
- প্রাপ্ত বয়স্কদের ভিটামিন ই এর অভাবে : ২০০-৪০০ প্রতিদিন
- শিশুদের ভিটামিন ই অভাব : ২০০ আই ইউ প্রতিদিন
- থ্যালাসেমিয়া : ৮০০ আই ইউ প্রতিদিন
- সিকল সেল এনিমিয়া : ৪০০ আই ইউ প্রতিদিন
- চুল ও ত্বকের জন্য : ২০০-৪০০ প্রতিদিন
- বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা : ২০০ ই ইউ প্রতিদিন
ভিটামিন ই এর অভাব
- রক্তশূন্যতা
- কঙ্কাল মায়োপ্যাথি
- অ্যাটাক্সিয়া/ভারসাম্য এবং বক্তৃতা ব্যাধি
- পেরিফেরাল স্নায়ুরোগ
- রেটিনোপ্যাথি (চোখের অবস্থা যা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে)
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি
- স্নায়ু আঘাত
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url