১ মাউস এবং কীবোর্ড দিয়ে একাধিক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করার নিয়ম

আপনার কি একাধিক কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আছে? কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ আপনি কি একই সময়ে একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় বিভিন্ন কীবোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করেন? আপনার উত্তর যদি হ্যা হয় তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য আলাদিনের দানব হয়ে উঠতে পারে। কারণ এখন থেকে আপনি একটি মাউস, কীবোর্ড দিয়ে একসাথে একাধিক পিসি নিয়ন্ত্রণ বা ব্যবহার করতে পারবেন। 

মাউস - কি -বোর্ড
একটি মাউস দিয়ে একাধিক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। পাশাপাশি মাউস কি,মাউসের কার্যকারিতা, কি -বোর্ড কি, কি-বোর্ডের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা আপনাদের পরবর্তী সময়ে কাজে দিবে। 
সূচিপত্র 

কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ 

এটি করার জন্য, প্রথমে আপনাকে ১.২ এমবি সাইজের একটি ছোট সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে।ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড করুন। 

কোন কম্পিউটারের মাউসকে ডানদিক, বামদিক কিংবা যেকোনো দিকে একবারে শেষ প্রান্তে নিয়ে আসি তখন একটা জায়গায় গিয়ে মাউস পয়েন্টরটি থেমে যায়।অর্থাৎ মাউস  পয়েন্টারটি মনিটরের সীমা অতিক্রম করে যেতে পারেনা।কিন্তু আপনি যদি আপনার সার্ভার পিসির দুইপাশে দুইটা ক্লায়েন্ট পিসি রেখে তাদেরকে synergy দিয়ে সংযুক্ত করে যেতে পারেন।কিন্তু আপনি যদি আপনার সার্ভার পিসির দুইপাশে দুইটি ক্লায়েন্ট পিসি রেখে তাদেরকে synergy দিয়ে সংযুক্ত করেন তাহলে তিনটি মনিটর মাউস পয়েন্টারের জন্য একক ক্ষেত্রে হিসাবে কাজ করবে।আমি আগেই বলেছি যদি কম্পিউটারগুলো একেকটা আলাদা আলাদা অপারেটিং সিস্টেমের হয় তবুও একই কাজ করবে। এখন আপনি যদি একটি কম্পিউটারের ক্লিপবোডের কোন ডাটাকে অপর কম্পিউটারে পেস্ট করতে চান তাহলে মাউস পয়েন্টারটেকে শুধু সরিয়ে উক্ত কম্পিউটার স্ক্রিনে নিয়ে গিয়ে পেস্ট করলেই কাজ হয়ে যাবে।

যা যা প্রয়োজন হবে   

  • একটি কম্পিউটারকে সার্ভার এবং অপরগুলোকে ক্লায়েন্ট হিসাবে সংযুক্ত করতে হবে।
  • synergy সফটওয়্যারটি ইনস্টল থাকতে হবে।একই লোকাল নেটওয়ার্ক কম্পিউটারগুলোসংযুক্ত থাকতে হবে।

মাউস কি?

হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ইদুরের মতো দেখতে কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস হলো মাউস,একে পয়েন্টিং ডিভাইসও বলা হয়। মাউস,কিবোর্ড এর সাহায্য ছাড়াই একটি কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।১৯৬৩ সালে ডগলাস মাউস আবিষ্কার করে। কম্পিউটারের সিপিইউ সাথে মাউসের সংযোগ দেওয়ার জন্য একটি তার থাকে,তবে বর্তমানে মাসগুলো ওয়ারলেস কানেকশনে ব্যবহার করা হয়। 

মাউস যেভাবে কাজ করে 

আগের মাসগুলোতে,মাউসের নিচের দিক একটি বেরিং এর মত বল থাকতো,যেটা চতুর্দিকে ঘুরতে পারত।সেই বেরিংটিকে যখন যেদিকে ঘুরানো হতো তখন মাউসের পয়েন্টার সেদিক নড়াচড়া করতো।

কিন্তু বর্তমানের মাসগুলোতে আর বেরিংয়ের ব্যবহার হয় না। বর্তমানের মাউসগুলোতে একটি এনকোডিং ডিস্ক থাকে।সেই ডিস্ক এর মধ্যে অনেকগুলো ছিদ্র থাকে, এবং মাউস এর নিচের দিকে একটি এলইডি এবং সেন্সর থাকে। যখন আপনি মাউস নড়াচড়া করবেন, তখন মাউসের সেই এলইডি এবং সেন্সর সেটা বুঝতে পারে।

সেই সেন্সর থেকে একটি সংকেত মাউসের মাইক্রোপ্রসেসরের চলে যায় এবং সেই সংকেতকে মাইক্রোপ্রসেসর বাইনারিতে রূপান্তর করে।সেই বাইনারি সংকেত মাইক্রোপ্রসেসর কম্পিউটার পাঠায় এবং কম্পিউটার সে অনুযায়ী কাজ করে।
  • মাউস এর প্রকারভেদ
  • অপটিক্যাল মাউস
  • মেকানিকাল মাউস
  • অপ্টোমেকানিক্যাল মাউস
  • ইনফ্রারেড বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কার্ডলেড মাউস
  • ট্র্যাকবল মাউস
  • গেমিং মাউস
  • স্টাইলাস মাউস
  • টাচপ্যাড মাউস
  • কর্ডলেস থ্রিডি মাউস 

মাউসের সঠিক ব্যবহার

মাউসের কাজ সম্পর্কে আমরা অনেকেই বিস্তারিত জানি না। মাউসের কাজের কিছু কথা জানা যাক-

শিফট কি ও ক্লিক 

লেখা সম্পাদনার সব প্রোগ্রামেই নির্দিষ্ট লেখাকে নির্বাচনের সুবিধা দিয়ে থাকে।যদি চান পাতায় লেখার শুধু মাঝখানের কয়েক লাইন নির্বাচন করবেন,তাহলে সেই লেখার লাইনের শুরুতে মাউসের ডান বোতাম চেপে কি বোর্ডার শিফট চেপে কি বোর্ডের শিফট চেপে ধরুন, যেখানে শেষ করবেন,সেখানে গিয়ে মাউসে আরেকবার ক্লিক করলেই নির্দিষ্ট লেখাগুলো নির্বাচিত হয়ে যাবে এবং প্রয়োজনে সেটিকে কাট,কপি করতে পারবেন।

চাকার ব্যবহার

মাউসের চাকা বা স্কল হুইরকে সাধারণত কোনো পাতনকে ওপর নিচে ওঠানামা করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি এই চাকা মাউসের তৃতীয় বোতাম হিসাবে কাজ করে। ওয়েবসাইট দেখার সময় কোনো সংযোগের ওপর মাউস কারসর রেখে স্কল চাকাটি চাপলে সেই সংযোগ আলাদা একটি ট্যাবে খুলে যাবে। কাঙ্ক্ষিত সাইটের কোনো পাতাকে বড় করে জুম দেখতে চাইলে ctrl চেপে মাউসের স্ক্রল ওপর নিচে ঘোরালে সেই পাতাটি পর্যায়ক্রমে ছোট বড় মানে জুম ইন,জুম আউট হতে থাকবে।

ক্লিক করে সিলেক্ট 

কোনো লেখায় দুই ক্লিক করলে সেই লেখাটি নির্বাচন করা যায়। যদি সম্পূর্ণ লেখার প্যারাকে নির্বাচন করতে চান,তাহলে যেকোনো লেখার ওপর পরপর তিনবার ক্লিক করলেই চলবে।অনেক সময় কম্পিউটারে কোনো কাজ সম্পন্ন করতে সতর্কতামূলক বার্তা আসে এবং yes নির্বাচন করতে বলে। ডিফল্ট অ্যাকশন যদি yes হয় তাহলে মাউসের  snap to অপশন ব্যবহার করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাউসের কাসর yes বোতামের কাছে চলে যাবে। এতে করে মাউস না ঘুরিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে এক ক্লিকের প্রয়োজন হবে।

কি- বোর্ড কী?

একটি কম্পিউটার কীবোর্ড হল একটি ইনপুট ডিভাইস যা বোতাম বা কী টিপে কম্পিউটার সিস্টেমে অক্ষর এবং ফাংশন প্রবেশ করতে ব্যবহার হয়।এটি পাঠ্য প্রবেশের জন্য ব্যবহার প্রাথমিক ডিভাইস। একটি কীবোর্ডে সাধারণত পৃথক অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ অক্ষরের জন্য কী থাকে,সেইসাথে নির্দষ্ট ফাংশনের জন্য কী থাকে। একটি কীবোর্ড একটি তারের বা একটি বেতার সংযোগ ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত করা হয়। 

বেশিরভাগ কীবোর্ডের একটি খুব অনুরূপ বিন্যাস আছে। অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ অক্ষরের জন্য পৃথক কী গুলোকে সমষ্টিগতভাবে অক্ষর কী বলা হয়। এই কীগুলোর বিন্যাসটি একটি টাইপরাইটারে কীগুলির মূল বিন্যাস থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় বহুল ব্যবহুত লেআউটটিকে বলা হয় QWERTY, উপরের বাম দিক থেকে প্রথম ছয়টি অক্ষরের অনুসারে নামকরণ করা হয়। 

কীবোর্ড এর কাজ কি

কীবোর্ডে সর্বমোট ১০৪ টি কী বা বাটন রয়েছে, তবে কোন কোন কীবোর্ডে ১০৫ ও ১০৮ টি কীও হয়ে থাকে। কম্পিউটারকে input দেয়ার জন্য ও বিভিন্ন ধরনের text টাইপ করার জন্য এই কিগুলো ব্যবহার হয় এবং বাটন command এর ভিত্তিতে এগুলো আবার ৬ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে এবং এর সবগুলো কাজও আলাদা।  
  • function keys
  • Typing keys
  • Control keys
  • Numeric keys
  • Navigation keys
  • Indicator keys

কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি

কীবোর্ড data এন্ট্রি কাজের জন্য প্রয়োজন বা ব্যবহার করা হয়। আমাদের typing করা সকল data  computer এর কাছে সঠিকভাবে কম্পিউটার এর নিকট পৌঁছে দেয়াই হলো কীবোর্ডের কাজ। কিবোর্ড মূলত তিন প্রকার।যথা-
  • Qwerty
  • Dvorak
  • Azerty

কিবোর্ড কীভাবে কাজ করে 

কম্পিউটার এবং তথ্য প্রযুক্তির বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার ইনপুট ডিভাইসটি হলো কিবোর্ড। দৈনন্দিন ব্যবহার করলেও এই কিবোর্ডটি কিভাবে একটি কম্পিউটার ইনপুট সংকত পাঠায় তা জানার গুরুত্ব রয়েছে। 
মাউস - কি -বোর্ড

মূলত একটি কিবোর্ডের মধ্যে কম্পিউটারে ইনপুট সংকেত পাঠানোর জন্য বিভিন্ন রকমের কী ছাড়া নিজস্ব প্রসেসর, রম ও সার্কিট বোর্ড থাকে।কিবোর্ডের সার্কিট বোর্ডের বড় একটি অংশ কিবোর্ড কিপ্যাড অংশের নিচে ছড়িয়ে থাকে।এটিকে কি ম্যাট্রিক্স বলা হয়। সেই সার্কিট বোর্ডটির প্রতিটি কি ক্যাপ এর নিচে একটি করে সুইচ থাকে।কম্পিউটারে কোন কিছু ইনপুট দেওয়ার জন্য আমরা যখনই একটি কী চাপ দেওয়া হয় তখনই সেই সুইচটিতে চাপ পড়ে। এতে করে সার্কিটের ঐ অংশের ভেতর দিয়ে স্বল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।

এই সময় বিদ্যুৎ প্রবাহের সাথে সাথেই কিবোর্ডের প্রসেসর সেই তড়িৎ সিগনালটি ধরে ফেলে এবং রমে সংরক্ষিত ডাটার সাথে তা মিলিয়ে দেখে। রম এর মেমোরি অনুযায়ী নির্দিষ্ট চিহ্ন সম্বলিত কী প্রেস করা হলে,সে অনুযায়ী কী সম্পৃক্ততা আছে, তা যাচাই করে কম্পিউটারে ইনপুট দেওয়ার হয়। যেমন-ctrl and c একসাথে চাপলে, সিলেক্ট করা নির্দষ্ট লেখাটি কপি হয়ে যায়। 

আমাদের মন্তব্য 

আজকের এই পোস্টে আমরা মাউস ও কি -বোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। একটি কি -বোর্ড দিয়ে কিভাবে একাধিক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমার আলোচনা ব্যতিত্ব কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমি আপনাদের সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। 
 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url