গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা ১০টি

অনেক গর্ভবতী মা জানতে চায় যে, গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে না? তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারবেন। গর্ভবতী মায়েরা গরুর কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

অধিকাংশ গর্ভবতী মায়েরা গরুর কলিজা খেতে পছন্দ করে। কারণ এটি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং অনেক পুষ্টি রয়েছে। কিন্তু এর ক্ষতিও রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া উপকারী সম্পর্কে জানতে সম্পর্কে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

সূচিপত্র 

গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি 

গরুর কলিজা বা লিভার অনেক পুষ্টিকর খাদ্য, যা বিশেষ করে মেয়েদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। তাদের শরীরের ভিটামিন এ, আয়রন এর চাহিদা পূরণ করে থাকে। আর এগুলোর উৎস হলো কলিজা, যার কারণে অনেক গর্ভবতী মায়েরা পুষ্টি পাওয়ার আশায় অতিরিক্ত পরিমাণ কলিজা খেতে থাকে। যার ফলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস কলিজা খাওয়া যাবে না। প্রথম তিন মাসে ভ্রণের অঙ্গগুলি গঠণ হয়ে থাকে। এজন্য এ সময় অতিরিক্ত ভিটামিন-এ খাওয়ার কারণে জন্মগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুর এক বা একাধিক জন্মগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

তিন মাস পূর্ণ হয়ে গেলে এরপর সুস্থ মায়েরা সপ্তাহে দুইবার ৭৫ গ্রাম করে কলিজা খাওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মুরগির কলিজা খেলে ভালো হয়। কেননা গরু, খাসির কলিজার তুলনায় মুরগির কলিজার মধ্যে রেটিনল কম থাকে যার কারণে ক্ষতি কম হয়। 

যেসব গর্ভবতী মায়েরা অপুষ্টি জনিত সমস্যায় রয়েছেন, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রথম তিন মাস পূর্ণ হয়ে গেলে তারপর প্রতি সপ্তাহে ৭৫ গ্রাম করে কলিজা খাওয়া যেতে পারে। এজন্য ভিটামিন-এ এর চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি আয়রন এবং অন্যান্য ভিটামিন খনিজ লবণ এর চাহিদা পূরণ করবে।

যে কোন প্রাণীর লিভার, সেটা হতে পারে পশুর বা মাছের যার মধ্যে উচ্চমাত্রার রেটিনল রয়েছে। রেটিনল হলো টেরাটোজনিক উপাদান, যদি একজন গর্ভবতী মা গ্রহণ করে সেই ক্ষেত্রে ভ্রণের ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় যেকোনো ধরনের কলিজা খাওয়া থেকে সাবধান হতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় গরুর ভুড়ি খাওয়া যাবে কি 

গরুর মাংসের তুলনায় গরুর ভুরি যদি একজন গর্ভবতী মা খায়, সেক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হতে পারে। কারণ এর মধ্যে কিছু ক্ষতিকর বস্তু রয়েছে, যা গরুর মাংসের চেয়ে বেশি ক্ষতি করে। আর গরুর ভড়ির উপকার হয়েছে খুবই কম। 

এর মধ্যে থাকে জিংক, সেলেনিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। যা তার শরীরের জন্য উপকার করে থাকে। তবে গর্ভবতীর জন্য এই ভুড়ি বিপদজনক হতে পারে। 

গর্ভবতী নারীদের এই সময়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে এবং তাদের হার্ট খুবই কম কাজ করে। এই কলিজার মধ্যে সেলেনিয়াম থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। এতে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বাচ্চার হার্টবিট কমে যেতে পারে। এজন্য পরিমাণ মতো খেতে হবে, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে খেলে নিরাপদ বেশি। 

গরুর ভুড়ির মধ্যে দুই ধরনের চর্বি রয়েছে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট আরকটি হলো ট্রান্সফার ফ্যাট। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা ১.৩ গ্রাম এবং ট্রান্সফার্ডের মাত্রা ০.২ গ্রাম থাকে। এর কারণে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি রয়েছে। এ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলা যদি গরুর ভড়ি খায় তাহলে স্বাভাবিক ওজনের চাইতে বেশি হতে পারে। 

তবে গর্ভবতী মহিলা গরুর ভুড়ি খেতে পারবে পারবে পরিমাণ মতো বা অল্প পরিমাণে। তবে খাওয়ার আগে ভালো করে পরিষ্কার ও সিদ্ধ করে নিতে হবে। কেননা গরুর কলিজায় প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার কারণে আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি দেখা দিতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খেলে কি হয় 

গরু, ভেড়া ও ছাগলের মাংস এর মধ্যে কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে, যা গর্ভবতী নারীদের অনেক উপকার হয়৷ এছাড়াও সন্তান নেওয়ার পূর্বে চিন্তা করা উচিত যে, তার স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যে সকল খাবার খাওয়া প্রয়োজন সেসব খাবার তালিকা তৈরি করা। এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন গর্ভবস্থায় লাল মাংস বা গরু, ভেড়া, ছাগলের মাংস খাওয়া যেতে পারে। 

এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, লাল মাংসের গুণাগুণ ও পুষ্টি নিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাদারগণ শুরু করেছেন। লাল মাংস খাওয়ার কারণে নারীদের গর্ভধারণ ক্ষমতা বাড়তে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, লাল মাংস এমন কিছু উপাদান আছে যা সত্যি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

গবেষকরা বলেছেন সারা বিশ্বে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্তির স্বল্পতার কারণে নারী -পুরুষ খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা কম থাকে কিন্তু আরও একটি গবেষণায় আবার বলা হয়, নারী পুরুষের প্রজনন সংক্রান্ত জটিল সমস্যা আছে এবং নারীদের হঠাৎ করে গর্ভপাত হওয়া, ভ্রনের জটিলতা দেখা যায়। 

গরু, ভেড়া ও ছাগলের মাংস এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ সেলেনিয়াম থাকে যা প্রাপ্তবয়স্কদের প্রজননের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন বি৬ অনেক দরকার হয়ে থাকে। কারণ এগুলো হরমোনের স্বাভাবিক ক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারে। তাই এসব লাল মাংস ভিটামিন বি৬ এর চাহিদা পূরণ করে। 

এজন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রে বা উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়ে থাকে যে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সপ্তাহে যেন ৫০০ গ্রাম রান্না করা লাল মাংস খেয়ে থাকে। তারা সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ বার এই খাবার রান্না করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে গরু, ভেড়া, ছাগল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। 

তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, এই ধরনের মাংসের মধ্যে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল গর্ভাবস্থায় শরীরের বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে, এই মাংস খাওয়া যাবে না। এটা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনি খেতে পারেন। 

গর্ভবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না 

ইতোমধ্যে আমরা গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি না এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন জানবো গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া যায় না। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে : 

অল্প সিদ্ধ মাছ : গর্ভাবস্থায় অনেকে মাছ খেতে পছন্দ করে, এজন্য মাছ খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কেননা রান্না করার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন মাছ কাচা না থাকে। অল্প সিদ্ধ না হয় কারণ অল্প সিদ্ধ হলে এতে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর জীবাণু জটিল অসুখ তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে নোরো ভাইরাস, লিস্টেরিয়া ইত্যাদি ধরনের জীবাণু শরীরে ক্ষতি করতে পারে। 

কম সিদ্ধ মাংস : আপনি যদি মাংস কম সিদ্ধ করেন এতে শরীরে ভীষণ ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইটস থাকে যেমন টেক্সোপ্লাজমা ই কলি লিস্টরিয়া ইত্যাদি ধরনের। এইগুলো থাকার কারণে সংক্রমণের থেকেই স্টিল বার্থ অসুখ, চোখের সমস্যা, মৃগী রোগ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। 

কম সিদ্ধ ডিম : যদি আপনি কম সিদ্ধ ডিম খান তাহলে শরীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য শরীরের মধ্যে আপনার সালমনেল্লা নামক ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। এর কারণে ব্যাকটেরিয়া জ্বর, বমি, পায়খানা, পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা গর্ভবতী মহিলার জন্য ক্ষতিকর। 

কফি পান : অনেকেই কফি পান করতে পছন্দ করে কিন্তু গর্ভাবস্থায় অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে হবে। কেননা এই সময় ২০০ মিলিগ্রামের বেশি চা বা কফি খাওয়া যাবে না। এতে ক্ষতি হতে পারে। শিশুর ওজন কম হতে পারে। 

এসময় আরো একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তাহলো অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস খাওয়া যাবে না। এতে ভ্রনের অ্যালকোহল সিনড্রোম হওয়ার সম্ভবনা থাকে এবং জন্মের পর শিশুর হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় গরুর মগজ খাওয়া যাবে কি না 

গরুর মগজ আমাদের শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী তা আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে গরুর মগজের উপকারীতা আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় গরুর মগজ খাওয়া উপকারীতা সমূহ নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে -

  • ভিটামিন হিসাবে গরুর মগজ খাওয়া যেতে পারে। এতে ভিটামিন বি টুয়েলড রয়েছে যা আমাদের মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করে। 
  • শরীরের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে গরুর মগজ। এতে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশ ভালো হয়। 
  • নখ, চুল এবং হাড়ের বৃদ্ধি তরান্বিত করতে গরুর মগজ কাজ করে। চুলকে গোড়া থেকে শক্ত করতে হাত এবং পায়ের নখ শক্ত রাখতে সাহায্য করে। 
  • চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গরুর মগজ সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সমাধান করে এবং ভবিষ্যতে দৃষ্টিশক্তির সম্মুখীন না হওয়ার প্রবণতা কমে যায়। 
  • রক্তসল্পতা দূর করতে সাহায্য করে গরুর মগজ। শরীরের রক্ত স্বল্পতা পূরণ করতে খুব বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
তাই আমাদের উচিত যতটা সম্ভব গরুর মগজ সংগ্রহ করে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে রাখা এবং উপরের উল্লেখিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা। 

গর্ভবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না 

গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ফল খাওয়া নিরাপদ নয়। অনেক ফল শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, আবার অনেক ফল প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বের করে দিতে পারে। তাই ফলের বিরূপ প্রভাব এবং সেগুলো খাওয়া নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন : 

পেঁপে : গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷ এতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ভিটামিন থাকলে ফলের ল্যাটেক্স উপাদান প্রসবের নিদিষ্ট সময়ে আগে পেটে টান ধরায়। 

আনারস : আনারসে পুষ্টি উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকলেও গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত উষ্ণ ফল খাওয়া নিরাপদ নয়। অতিরিক্ত আনারস খেলে ডায়েরিয়া হতে পারে, যার ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তবে অনেক ডাক্তারের মতে অল্প পরিমাণে আনারস খেলে উপকার হতে পারে। 

আঙুর : গর্ভাবস্থায় বিশেষত শেষ ট্রাইমেস্টারে আঙুর খেতে মানা করা হয়। কারণ এটি শরীরে গরম করে দেয়। এটি পরিমিত পরিমাণে খেলে তা পুষ্টিকর। 

তরমুজ : গ্রীষ্মকালে তরমুজ আমাদের পছন্দের ফলে হলেও গর্ভাবস্থায় তরমুজ না খাওয়া ভালো। কারণ শরীরে উৎপন্ন টক্সিন বের করে হাইড্রেট করে এর ফলে শিশুর শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে শরীরে চিনির মাত্রা বাড়তে পারে। 

খেজুর : খেজুর স্বাস্থ্যকর এবং এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান আয়রন ও অন্যান খনিজ থাকে। কিন্তু গর্ভবতি মহিলাদের খাওয়া উচিত না। এর অন্যতম কারণ হল শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, কিছু ক্ষেত্রে খেজুর খেলে জরায়ুতে যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। 

এই ফলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের ডায়েটে যে ফলগুলো থাকা উচিত সেগুলো হলো : কমলালেবু, আম, কলা,আপেল ইত্যাদি। খাওয়া আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। 

গরুর মাংস খাওয়া উপকারীতা ও অপকারীতা 

গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান। গরুর মাংস অনেক সুস্বাদু। গরুর মাংসে রয়েছে যেসব উপাদানগুলো তাহলো প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন, আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন বি ৬ ইত্যাদি। গরুর মাংসের উপকারের পাশাপাশি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরুর মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে -

শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক : গরুর মাংস খেলে শিশুর বুদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরিক গঠণ রক্তবর্ধনা ইত্যাদিতে ভূমিকা রাখে। 

প্রোটিন থাকে : গরুর মাংস প্রোটিনের ভালো উৎস রয়েছে। মাংস ছাড়া আর কলিজা মগজ ইত্যাদিতে প্রোটিন রয়েছে এই প্রোটিন থেকে এমাইনো এসিড কাজে লাগে। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে পাওয়া যায় ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন। 

জিংক এর অভাব পূরণ করে : জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

আয়রনের অভাব দূর করে : গরুর মাংসের প্রচুর পরিমাণে আইরন রয়েছে যাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা তারা গরুর মাংস খেলে আয়রনের অভাব দূর করবে। 

উপকারী ভিটামিন : গরুর মাংসে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬ রয়েছে যা শরীরের শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। 

গরুর মাংসের অপকারিতা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গরুর মাংস খাওয়া যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি গরুর মাংস খাওয়া অনেক অপকারিতাও রয়েছে। 

অতিরিক্ত চর্বি: গরু ও খাসির মাংসের প্রচুর পরিমাণের চর্বি থাকে। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই মাংস খাওয়া উচিত। তবে বেশি পরিমাণের খাওয়া যাবে না। গরুর মাংস খেলে মোটা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং ডায়বেটিসের ঝুঁকি থাকে। 

ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় : গরুর মাংস খেলে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর৷ বেশি মাংস খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি মাংস খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 

হৃদরোগ ও স্ট্রোক : অতিরিক্ত পরিমাণ গরুর মাংস খেলে রক্তচাপ হতে পারে। গরুর মাংসে থাকা সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গরুর মাংস খেলে উচ্চ রক্তচাপ পাশাপাশি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মত সমস্যা দেখা দেয়। 

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা : অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

গরুর মাংসে কি এলার্জি আছে 

গরুর মাংসে এলার্জি আছে কিনা তা সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা এই আর্টিকেলে গরুর মাংস খেলে কি এলার্জি হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
  • গরুর মাংসে থাকা চর্বি মানবদেহের নানা ধরনের সমস্যা  সৃষ্টি করে। প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধা মাংস খাওয়ার ফলে যাদের শরীরের এলার্জি রয়েছে তাদের মাংস না খাওয়া ভালো। 
  • গরুর মাংস খাওয়ার ফলে পেট ব্যাথা ও হজম হয় না। 
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। 
  • শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি দেখা দেয়। 
  • এলাঅজির কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায়। 
যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের শরীরে অ্যালার্জি সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের গরুর মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারা। 

লেখকের মন্তব্য 

গরুর কলিজা খাওয়া উপকারী, গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া উপকারী, গরুর মাংস খাওয়া উপকারী, গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না, গরুর মগজ খাওয়া উপকারী, গরুর ভুড়ি খাওয়া উপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন। আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url