পুরাতন ঘি এর উপকারিতা-ঘি খাওয়ার উপকারিতা

আপনারা যারা পুরাতন ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। যার মধ্যে আমারা ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ুন। 

শীতকালে আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত ঘি খেয়ে থাকেন। কিন্তু ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। আমরা আজকের আর্টিকেলে ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।  
সূচিপত্র 

পুরাতন ঘি এর উপকারিতা 

পুরাতন ঘি এর উপকারিতা অনেক রয়েছে।ঘি তৈরি করে সেটিকে কয়েক বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হলে তাকে পুরাতন ঘি বলা হয়। ভারতের অনেক স্থানীয় ব্যক্তি ঘি তৈরি করে সেটিকে পাত্রে রেখে মটির নিচে পুতে রাখেন দীর্ঘ সময়ের জন্য। বলা হয়ে থাকে যে ঘি তো বেশি পুরনো সেই ঘি নাকি ততো বেশি দামী। 

এমনকি ভারতের অনেক স্থানে ১০০ বছরের বেশি পুরনো ঘি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে প্রাচীন কাল থেকে ঘি এর ব্যবহার বিধি লক্ষ্য করা যায়। এমনকি প্রাচীন বৈদ্যরাও বিভিন্ন চিকিৎসা ক্ষেতে এই ঘি ব্যবহার করতেন। ঘি আমাদের জন্য একটি পজিটিভ সুপার ফুড। এর গুণাগুণ নিয়ে নিচে দেওয়া হলো- 

  • পুরাতন ঘি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কোষের বৃদ্ধির জন্য এবং যোগাযোগের প্রবাহকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। 
  • অনেক পুরান ঘি একজিমা কিংবা শরীয়সিস এর সমস্যা ভেতর থেকে দূর করতে সাহায্য করে থাকে। পেপটিক আলসার, আলসারেটিক পোলাইটিস, পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে এই পুরাতন ঘি। 
দীর্ঘদিন যাবত ঘি সংরক্ষণ করার ফলে অনেক ঘি সময় ঘি এর ঘ্রানের কিছুটা তারতম্য দেখা যায়। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি পুরনো ঘি তেও নতুন স্বাদ খুঁজে পাবেন। 

ঘি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ঘি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। প্রতিটা জিনিস এ যেমন উপকার রয়েছে তেমন এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। ঘি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। যেমন- 

  • হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত ঘি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 
  • ঘি থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি। সেগুলোকে শরীরে ভালোমতো শোষণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। 
  •  চোখের সমস্যা দূর করে চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। 
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে ঘি খেলে হয়তো বা অনেক মোটা হয়ে যায় কিন্তু না। নিয়মিত ব্যায়াম ও ডায়েট এর সাথে সাথে যতটুকু প্রয়োজন শরীরের হিসেব করে ততটুকু পরিমাণ খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় না। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ঘি থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • ঘি তে রয়েছে ফেটি অ্যাসিড এবং ল্যারিক অ্যাসিড যা আপনার শরীরকে এনার্জি জোগাতে ও শরীরকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। 
  • ঘি তে রয়েছে প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার। যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে এবং আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে পারে। 
ঘি খাওয়া অপকারিতা
  • অনেক বেশি পরিমাণে ঘি খাওয়ার ফলে রক্তে কোস্টরেল পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাতে অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। 
  • যারা উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বেশি পরিমাণে ঘি খাওয়া ঠিক না। 
  • অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরের চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে। সেদিকে খেয়াল রেখে খাওয়াটাই শ্রেয়। 
  • এই সুপার ফুড যখন বেশি পরিমাণে খাওয়া হবে তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। একবারে অনেক পরিমাণে ঘি খেলে পেটের সমস্যা যেমন - পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা হতে পারে। 
  • যারা অলরেডি ডায়াবেটিস এর সমস্যার গড়ে গেছেন তাদের জন্য ঘি এড়িয়ে চলা উচিত। তাছাড়া ঘি ডায়াবেটিস এর রোগীদর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। 
  • যারা অনেক সময় ধরে বসে বসে কাজ করেন তেমন হাঁটাচলা করেন না তাদের ক্ষেত্রে ঘি এড়িয়ে চলা উচিত। 
পুরাতন ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। 

বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার উপকারিতা 

বাচ্চাদের জন্য ঘি খাওয়া একটি পুষ্টিকর অভ্যাস এবং বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। যেমন -

  • ঘি একটি উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাদ্য। এটি শিশুদের দ্রুত শক্তি প্রদান করে, যা তাদের ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়। 
  • ঘি এর মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাট অ্যাসিড মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। এটি স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • ঘি পাচনতন্ত্রকে উন্নত করে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। এটি অন্তে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর। 
  • ঘি বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলসের শোষণ বাড়ায়, বিশেষ করে দ্রব্যে দ্রবীভূত ভিটামিন থাকে। 
  • ঘি ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য উন্নতি করে। 
  • ঘি খাওয়া শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। 
  • ঘি শরীরে হরমোনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 
  • ঘি শরীরের সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কারণ এটি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যোগ করে এবং শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। 
  • ঘি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে ফলে শিশুরা বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণে আগ্রহী হয় এবং সঠিক পুষ্টি পেতে পারে। 
পুরাতন ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব শীতে ঘ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। 

শীতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা

শীতে ঘি খাওয়ার শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী কারণ এটি শীতকালে ঠান্ডার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঘি একটি তাপ উৎপাদন খাদ্য, যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শীতকালীন অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। 

এর মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। ঘি এর অ্যান্টইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শীতকালে সর্দি,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এছাড়া ঘি ত্বকের ময়েশ্চারাইজ করে শীতে ত্বক শুকানোর সমস্যা কমায় এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

শীতকালে ঘি খেলে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তাই শীতে ঘি খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এটি পরিমিত পরিমাণ গ্রহণ করা উচিত কারণ অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় ঘি খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ঘি খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হতে পারে যা মা এবং শিশুর জন্য বেশ কিছু উপকারিতা প্রদান করে। ঘি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি যা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। ঘি খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় যা গর্ভাবস্থায় সাধারণত দেখা দেয়া কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 
শিশুর বিকাশে সহায়ক ওমেগা ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের সঠিক গঠণ এবং বিকাশে ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ঘি খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যা গর্ভাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঘি খাওয়ার সময় অতিরিক্ত সেবন অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করে যা ওজন বাড়াতে পারে৷ সব মিলিয়ে গর্ভাবস্থায় ঘি খাওয়া মা শিশুর স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে সাহায্য করে। 

দিনে কতটুকু ঘি খাওয়া উচিত 

দিনে কতটুকু ঘি খাওয়া উচিত তা বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থা, বয়স, শারীরিক এবং খাদ্যভ্যাসের উপর নির্ভর করে। 

সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য ১থেকে ২ চামচ ঘি প্রতিদিন খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর বলে ধরা হয়। এটি শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাওয়া উচিত। যাদের কোলেস্টেরল বা হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের জন্য ঘি কম পরিমাণ খেতে হবে। 

ঘি ক্যালোরি সমৃদ্ধ তাই এটি খাদ্যভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করার সময় অন্য চর্বির উৎসের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। শিশুদের জন্য ১থেকে২ চামচ ঘি যথেষ্ট এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য একই পরিমাণ নিরাপদ। অতিরিক্ত ঘি খাওয়া শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করে যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই পরিমাণ মতো ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 

প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা 

প্রতিদিন আমরা যদি যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ঘি গ্রহণ করি তাহলে শারীরিক দিক থেকে অনেক উপকার পাবেন। ঘি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে খনিজ পদার্থগুলো শোষণে সহায়তা করে। 

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে : পেট ফোলা, গ্যাসের সমস্যা সমাধানে ঘি দারুণ কাজ করে থাকে। খাবার হজমে সহায়তা করে থাকে।

শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে : ঘি থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি তেমনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শরীরে পুষ্টির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি : ঘি থেকে আমরা ওমেগা, ফ্যাটি এসিড পেয়ে থাকি যা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে : আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন ঘি খেলে হয়তো বা মোটা হয়ে যায় কিন্তু না। নিয়মিত ব্যায়ম ও ডায়েট এর সাথে সাথে যতটুকু প্রয়োজন শরীরের হিসেব করে ততটুকু পরিমাণ খেলে আপনি সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান পেয়ে যাবেন। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : ঘি থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন পেয়ে থাকি। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে : ঘিতে রয়েছে প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের হারান যৌবন ফিরিয়ে আনে। 

ঘি খাওয়ার উপকারিতা 

পুরাতন ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার মধ্যে  আমরা আলোচনা করব ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। 
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। 
  • ঘি থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান ও ভিটামিন পেয়ে থাকি যা আমাদের শারীরিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 
  • আমাদের মধ্যে অনেকেরই চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকি। ঘি আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • ঘি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়। 
  • বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে আমরা বিভিন্ন রকমের মিনারেল ও ফ্যাটি এডিস পেয়ে থাকি যা ঘি খেলেও পাওয়া যায়। 
  • আমরা অনেক সময় ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগি, ঘি নিয়মিত খেলে ত্বক ভালো রাখতে ও মুখের ঘা ভালো করতে সাহায্য করে। 
  • মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে ঘি। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা হতে মুক্তি মিলে অনেকটা। 
  • বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
  • ঘি থেকে আমরা বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি যা আমাদের প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। 
পুরাতন ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব  প্রতিদিন কতটুকু ঘি খেলে ওজন বাড়ে তা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। 

প্রতিদিন কতটুকু ঘি খেলে ওজন বাড়ে? 

প্রতিদিন ২ থেকে ৩ চামচ ঘি খেলে ওজন বাড়ে। ঘি একটি সুষম খাবার হাওয়ায় প্রোটিনের মাত্রা বাড়ানোর কারণে ওজন বৃদ্ধি হবে। কিন্তু এর পাশাপাশি সঠিক নিয়ম মেনে ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি ওজন বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। 

গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা 

প্রতিদিন গরম ভাতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে আমরা অনেক উপকারসহ নানা রোগ থেকে মুক্তি পাবো। গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে -
  • শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। 
  • ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে চোখ ও ব্রেইন ভালো রাখে। 
  • পানি শূন্যতা দূর করে শরীরের আর্দ্রতা বাড়িয়ে দেয়। 
  • হজমশক্তি বৃদ্ধি করে৷ 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। 
  • হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। 
পুরাতন ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব  ঘি দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। 

ঘি দিয়ে রূপচর্চা

ঘি তে ভিটামিন এ এবং ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে এক অসাধারণ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে যা রূপচর্চার কাজে আসে। ঘি খেলে ত্বকের হাইড্রেশন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ত্বক শুষ্ক হয় না। গোসলের আগে ত্বকে হালকা ঘি দিয়ে মুখ ঘষলে ভালো ফল পাবেন। এছাড়া দিনে একবার গরম ভাতের সাথে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরের ভেতর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ কমিয়ে ত্বককে নরম ও সুন্দর করবে।

ঘি এর পুষ্টি উপাদান 

ঘি তে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য উপকারি চমৎকার সব পুষ্টি উপাদান। এই উপাদানগুলো আমাদের সুপারফুডের ন্যায় কাজ করে। 

ভিটামিন এ : ভিটামিন এ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

ভিটামিন কে : ভিটামিন কে শরীরের রক্ত জামাট বাধতে সাহায্য করে থাকে। 

ভিটামিন ডি : ভিটামিন ডি শরীরের বিভিন্ন ব্যাথা কমাতে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। 

ব্যাটাইরিক এসিড : এই এসিড আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। 

ব্রেইন টনিক : এটি আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শিশুদের ব্রেইন ডেভেলাপ এর জন্য দারুণ উপকারি। 

এছাড়া ঘিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, আয়রনসহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। ঘিতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীর কে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। 

লেখকের মন্তব্য 

পুরাতন ঘি এর উপকারিতা এবং ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। যার মধ্যে আমরা আরো আলোচনা করেছি ঘি এর পুষ্টি উপাদান, ঘি দিয়ে রূপচর্চা,গরম ভাতের সাথে ঘি খাওয়ার উপকারিতা, ঘি খাওয়ার উপকারিতা, প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা, বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় ঘি খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। 

আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url