গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা - পেয়ারার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারীতা
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা সম্পর্কে সকল অজানা তথ্য।
আরো আলোচনা করা হয়েছে সকালে খালি পেটে পেয়ারা খেলে কি হয়, পেয়ারা খেলে কি ওজন বৃদ্ধি পায়, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা, পেয়ারা খেলে কি গ্যাস হয় এবং গর্ভাবস্থায় যেসব ফল খাওয়া যাবে না তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
সূচিপত্র
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
পেয়ারা এমন একটি ফল যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিচে গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে -
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মেটাবলিজম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ : গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতীর রক্তচাপ বেড়ে যায় তাহলে পেয়ারা এক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় পেয়ারা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও হেমোরয়েড দূর করে : হরমোনের গতি স্লথ হয়ে পড়ায় গর্ভবতী মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও হেমোরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি : গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। যার ফলে বুক জ্বালাপোড়া, গা গোলানো সমস্যার সমাধান হয়৷ গর্ভাবস্থায় অ্যালকালাইন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ নিয়ে থাকে। পেয়ারা অ্যালকালাইন প্রকৃতির হওয়ায় এটি পেটের অ্যাসিড উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। এক হাজার জনের মধ্যে এক জন মহিলার ক্যান্সার হতে পারে। পেয়ারায় এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার মোকাবিলায় সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নতি : ভিটামিন-এ তে সমৃদ্ধ থাকায় পেয়ারা অন্ধত্ব রোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি গর্ভস্থ ভ্রণ ও মায়ের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। অন্যান্য ফলের মতো পেয়ারা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে অনেক রোগের শিকার হতে পারেন। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম সমস্যা হতে পারে। যদি পেয়ারা বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে গেলে তরল গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে নিন।
সর্দি-কাশির আশঙ্কা : যাদের প্রায় সর্দি-কাশির সমস্যা রয়েছে তাদের পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়। কারণ পেয়ারা ঠান্ডা হয়ে থাকে। এটি বেশি খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি হতে পারে।
পেট খারাপ হতে পারে : পেয়ারা বেশি খেলে পেটে খারাপ হতে পারে। এটি শরীরে হজম সিস্টেম খারাপ প্রভাব ফেলে এবং হজম শক্তি দুর্বল হতে শুরু করে।
পেট ফুলে যায় : বেশি পরিমাণে পেয়ারা খেলে পেট ফাপা হতে পারে। আসলে এই ফলের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি থাকে যা ফ্রুক্টোজ হিসেবে পরিচিত। আমাদের শরীরে ফ্রুকটোজ হজম শক্তি ও শোষণ করতে সাহায্য করে।
দাঁতে ব্যথা : অনেক মহিলা পাকা পেয়ারা বেশি সুস্বাদু মনে করে তবে কাচা পেয়ারা খাওয়ার ফলে দাঁত ব্যথা বা অন্য কোন দাঁত জনিত রোগ হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগিদের : ডায়াবেটিস রোগিদের পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়। পেয়ারা রক্তে শর্করাকে হ্রাস করে৷ যেসব গর্ভবতী মহিলার শরীরে ডায়বেটিস হয় এবং পেয়ারা খেতে চায় তাহলে প্রথমে চিনির পরিমাণ পরিক্ষা করতে হবে।
পেয়ারা খেলে কি গ্যাস হয়
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে যার মধ্যে এখন আমরা আলোচনা করব পেয়ারা খেলে গ্যাস হয় নাকি এই বিষয়ে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফ্রুক্টোজ যা আমাদের হজম করতে অনেক সময় লাগে। এই জন্য কেউ যদি বেশি পরিমাণে পেয়ারা খায় তাহলে তা হজম করতে তার অনেক সময় লাগবে যার ফলে পেট ফোলা ভাব, পেট ফাপা বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এইজন্য অতিরিক্ত মাত্রায় পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়।
পেয়ারা খেলে কি ওজন বাড়ে
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি। যার মধ্যে আমরা এখন আলোচনা করব পেয়ারা খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় নাকি এই বিষয়ে। পেয়ারাতে বেশি পরিমাণে ক্যালরি নেই। তাই অন্যান্য খাবারের তুলনায় নিয়মিত পেয়ারা খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় না। উল্টো কেউ যদি নিজের ওজন কমাতে চাই তাহলে তার অন্যান্য খাবারের তুলনায় বেশি পরিমাণ পেয়ারা খাওয়া উচিত। কারণ পেয়ারাতে ক্যালরি এবং গ্লুকোজ এর পরিমাণ অত্যন্ত কম।
আমারা জানি অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের ওজন বাড়ে। যেহেতু ক্যালরির পরিমাণ অত্যন্ত কম সেহেতু অন্যান্য খাবারেে তুলনায় কেউ যদি নিয়মিত পেয়ারা খায় তাহলে খুব দ্রুত তার ওজন কমাতে পারবে।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া উপকারিতা
কলা বিভিন্ন গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল।এর পুষ্টগুণ অধিক।এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা-আমিষ,ভিটামিন এবং খনিজ।কলা ক্যালারির একটি ভাল উৎস।এতে কঠিন খাদ্য উপাদান এবং সেই সাথে পানি জাতীয় উপাদান সমন্বয় যে কোন তাজা ফলের তুলনায় বেশি।
একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালারির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজ হজমযোগ্য শর্করা। এই শর্করা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। গবেষকরা জানান, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করতে দেহে পটাশিয়ামের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও দেহে পটাশিয়ামের আর্দশ উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে উপকারিতা।
গর্ভবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়
- শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে মুড়ি অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার৷ গর্ব অবস্থায় শিশু ও মা যদি মুড়ি খায় তাহলে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। এছাড়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- মুড়িতে থাকা ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ফাইবার গর্ভবতি মা ও শিশু উভয়ের হাড়ের গঠণের জন্য খুব ভালো ভূমিকা পালন করে৷
- গর্ভবতি মহিলার শরীরে এনার্জি অনেক কমতে থাকে। আর এনার্জি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে মুড়ি অত্যন্ত উপকারী এবং সহজলভ্য খাবার।
- গর্ভাবস্থায় বড় সমস্যা হলো বমি বমি ভাব। এই সমস্যা দূর করতে মুড়িয়ে ভূমিকা অপরিসীম। গর্ভবতী মেয়ে যদি মুড়ি খায় তাহলে তার এই বমি বমি ভাব দূর হবে।
- মুড়িতে এসিডের পরিমাণ অনেক কম থাকার কারণে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে শরীরে অনেক ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। মুড়ির মধ্যে বিভিন্ন রকমের খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url