শীতকালে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি-তেহেরপুরী পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি ২০২৫

আপনি যদি শীতকালে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে পিঁয়াজ চাষ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি, শীতকালে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি, বিঘা প্রতি পেঁয়াজের ফলন, মুড়ি কাটা পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
সূচিপত্র 

ভূমিকা 

পেঁয়াজ বাংলাদেশের একটি অর্থকরী মসলা ফসল ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্য। দেশের প্রায় সব অঞ্চলে পেঁয়াজের চাষ হয়। পেঁয়াজের পাতা ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের বছরে যেটুকু পেয়াজ বীজের চাহিদা তার অত্যন্ত নগণ্য অংশই সরকারি ও বেসরকারি বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যোগান দিতে পারে। ফলে বীজের পুরো সরবরাহ ব্যবস্থাটাই কৃষক নিজে উৎপাদন করে। তাই ভালো বীজের জন্য অবশ্যই উন্নত বীজ উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। 

শীতকালে পেঁয়াজ চাষের সময় 

শীতকালে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকলটি পড়ুন। 

পেয়াজ চাষের সময় :অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজ মাতৃকন্দ রোপণের উপযুক্ত সময়। বেশী আগাম করলে পুষ্পদন্ডের কদমে ফুলের সংখ্যা অনেক কম হয়। আবার বিলম্ব মানে ডিসেম্বর মাসে রোপন করলে গাছের বৃদ্ধি হ্রাস পায় ও কদমে ফুল কম আসে, পেঁয়াজ ব্লচ রোগ, কালবৈশাখী ঝর ও শিলাবৃষ্টিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
তাই অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজের মাতৃকন্দ রোপণের উপযুক্ত সময়। জমিতে ২৫ সেন্টিমিটার দুরত্বে ৫-৬ সেন্টিমিটার গভীর নালা টেনে ২০ সেন্টিমিটার দুরত্বে কন্দ রোপন করা উত্তম।
চারা রোপন :৩/৪ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করা হয়। ১৫*১০ সেন্টি মিটার দূরত্বে চারা রোপন করা হয়। বর্ষার সময় ১ মিটার চওড়া ও ১৫ সেন্টিমিটার উচু বেড তৈরি করে চারা রোপন করা হয়। দুই বেডের৷ মাঝে ৩০ সেন্টিমিটার চওড়া পানি নিকাশের নালা রাখা হয়। ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা লাগানোর উপযোগী হয়। 
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা : জমিতে রসের অভাব থাকলে সেচ দিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে যাতে বৃষ্টির পানি দাড়াতে না পারে সেজন্য পানি নিকাশ নালা রাখতে হবে।জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে৷ সেচের পর জমি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে৷ পেঁয়াজের কন্দ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফুলের কুড়ি দেখামাত্র ভেঙে দিতে হবে। 
রোগ ও পোকামাকড় : থ্রিপসএ পোকা ছোট কিন্তু পাতার রস চুষে খায় বিধায় গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে। সেকারণে ক্ষেতের মধ্যে পাতা বিবর্ণ দেখলে কাছে গিয়ে মনোযোগ সহকারে দেখা উচিৎ তা না হলে ফলন অনেক কমে যাবে।পোকা আকৃতিতে খুব ছোট। স্ত্রী পোকা সরু, হলুদাভ। পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ গাঢ় বাদামী। বাচ্চা সাদা বা হলুদ। এদের পিঠের উপর লম্বা দাগ থাকে। 
নীল বা সাদা রংয়ের আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্ষেত্রে মাকড়সার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ পোকা দমন করা সম্ভব। আক্রমণ বেশি হলে এন্ট্রাপিড ১ মিলি / বায়োট্রিন গাছে ৭ থেকে ১০ দিন পরপর স্প্রে করতে হবে। 

উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজ চাষ 

শীতকালে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকলটি পড়ুন। আপনি যদি জানতে চান উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আমরা উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজ সম্পর্কে অনেক কিছু ধারণা নিয়ে থাকি। 

জমি তৈরি রোপণের ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পূর্বে হালকা গভীর ১৬ থেকে ২০ সেন্টিমিটার করে ৫ -৬টি চাষ ও মই দিতে হবে। পেঁয়াজের শিকড় মাটিতে ৬-৭ সেন্টিমিটার বেশি নীচে যায় না। তাই জমি গভীর করে চাষ করার প্রয়োজন হয় না৷ আগাছা বেছে, মাটির ঢেল ভেঙে ঝুরঝুরে সমান করে জমি তৈরি করে পেঁয়াজ লাগাতে হবে। 

তাহলে আমাদের পেঁয়াজ চাষের লাভবান হওয়া সম্ভব। পেঁয়াজ চাষ করে অনেকেই লাভবান হতে পেরেছেন। আপনারা যদি পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

বিঘা প্রতি পেঁয়াজের ফলন

শীতকালে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আজকের এই পোস্ট। যেখানে আপনি পেয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমর  আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে বিঘা প্রতি পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। 

বিঘা প্রতি পেঁয়াজের ফলন স্থান ও চাষ পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে কিছুটা আলাদা হতে পারে। তবে বিঘা প্রতি ১৩০-১৪০ মণ হিসেবে ফলন পাওয়া যায়। অনেক সময় ফলন এর থেকে কম বা বেশি হতে পারে। 

পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন পদ্ধতি 

বীজ উৎপাদনের জন্য কিছুটা ঠান্ডা পরিবেশের প্রয়োজন হয়। শীতকালে পেঁয়াজের পুষ্পদন্ড বের হয়, কদমে অধিক সংখ্যক ফুল আসে এবং ফলন বৃদ্ধি পায়। উৎকৃষ্ট ও অধিক ফলনের কন্দ থেকে বীজ উৎপাদন পদ্ধতি সবচেয়ে উপযোগী হওয়ায় আমাদের দেশে সাধারণত কন্দ থেকে বিজ উৎপাদন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। 

শীতকাল অথবা গ্রীষ্মকালীন ফসল থেকে পেঁয়াজের মাতৃকন্দ নির্বাচন করা হয়। সাধারণত ১৫-২০ গ্রাম ওজনের কন্দ বীজ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে উত্তম। অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজের মাতৃকন্দ রোপণের উপযুক্ত সময়। 

মুড়ি কাটা পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি 

শীতকালে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকলটি পড়ুন। একেকটি পেঁয়াজের ওজন ৪০ থেকে ৯০ গ্রাম। কোনটির ওজন আরও বেশি। রং টকটকে লাল। মূলত রবি মৌসুমে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজের চাষ শুরু হয়। চলতি রবি মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় মরি কাটা পেঁয়াজ চাষ বেশি হয়৷ ৫০% বেশি জমিতে ফরিদপুর জেলাবাসি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ফরিদপুর জেলার মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য উর্বর। 

হালি, দানা ও মুড়িকাটা এই তিন প্রকার পেঁয়াজ উৎপাদন করেন জেলার চাষিরা। মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করার জন্য চাষিরা ক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন, সেচ দিচ্ছেন কেউ আবার প্রস্তুতকৃত চারা রোপন করছেন। চাষীরা জানালেন, অনেকেই খেত প্রস্তুত করেছে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরে কারণ সে বছর পিঁয়াজের দাম ভালো পাওয়া যায়। 

সরকারি আবাদের লক্ষ্যমাত্তাকে ছাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের রোপন করা হয়। আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের অনুকূলে থাকলে এবার ভালো লাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান। 

বিনা চাষে পেঁয়াজ চাষ 

আপনারা যদি জানতে চান বিনা চাষে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না বিনা চাষে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি কিভাবে করতে হয়। বিনা চাষে পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রথমত কোনো চাষ দিতে হয় না৷ সার ও সেচ করতে কম সময় লাগে। এতে পেঁয়াজ চাষের জন্য খরচ কম হয়ে থাকে এবং লাভজনক হয়ে থাকে। 

নিচু জমির পানি যখন ঠিক নভেম্বর মাসে শেষের দিকে নিচু জমির পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ভেজা জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেন কৃষকরা৷ এরপর খড় অথবা আগাছা দিয়ে পেঁয়াজের বীজ ঢেকে দেওয়া হয়। নিচু জমিতে বিনা চাষে পেঁয়াজ চাষ করতে খরচ কম হয়। এজন্য কৃষকদের মধ্যে বিনা চাষে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয়। 

হাইব্রিড পেঁয়াজ চাষ 

হাইব্রিড পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলের নিচের অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড পেঁয়াজ চাষিদের একমাত্র ভরসা বীজ ভালো হতে হবে। 

  • সবচেয়ে বেশি ফলনশীল পেঁয়াজের জাত।
  • পেঁয়াজের ওজন ১২০-১৫০ গ্রাম। ক্ষেত্র বিশেষে ১৭০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
  • শতভাগ পেঁয়াজ হয়। অর্থাৎ প্রতিটি গাছেই সম আকৃতির পেঁয়াজ। 
  • জমিতে সরাসরি বীজ ছিটিয়ে অথবা বীজ তলায় চারা করে ৪০-৪৫ দিনের চারা লাগান।
  • পেঁয়াজের ঘ্রাণ, স্বাদ ও ঝাঁঝ হুবুহু দেশি পেঁয়াজের মতো।
  • কুয়াশা, বৃষ্টি ও রোগবালাই সহনশীল। 
  • ৩-৪ মাস সংরক্ষণশীল এই জাতটি কাঁচা বিক্রির জন্য আর্দশ৷
  • বিঘা প্রতি ১৫০-১৮০ মণ। 
হাইব্রিড পেঁয়াজের জাতের নাম হলো হাইব্রিড পেঁয়াজ রঙ্গিলা ৭। এই জাতটি অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত চাষ করার উপযোগী। 

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের সময় 

বাংলাদেশে মূলত রবি মৌসুমেই পেঁয়াজের আবাদ হয়। তবে সম্প্রতি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেঁয়াজ চাষে উপযোগী মাটি বেলে দোআঁশ। সরাসরি জমিতে বীজ বুনে, কন্দ ও চারা রোপন করে পেঁয়াজ উৎপাদন করা যায়। আবার বীজতলায় বীজ বুনে সেই চারা তুলে রোপন করা যায়৷ গ্রীষ্মকালে জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে পেঁয়াজ রোপন করা হয়। গ্রীষ্মকালীন জাতিগুলোর জন্য বীজ বপন থেকে ফসল উত্তোলন পর্যন্ত ৯৫-১১০ দিন এবং শীতকালীন পেঁয়াজের জন্য ১৩০-১৪০ দিন সময় লাগে। 

তাহেরপুরী পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি 

আপনারা অনেকেই জানেন না তাহেরপুর পিঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। আপনার যদি তাহেরপুরি পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। 

জাতের নাম তাহেরপুরী। আঞ্চলিক নাম তাহেরপুর, প্রতিষ্ঠিত দেশি। জীবনকাল ৮৫ থেকে ৯০ দিন।উৎপাদন প্রতি হেক্টর ১৫ থেকে ২০ টন একর প্রতি। তাহেরপুরি পিঁয়াজের বৈশিষ্ট্য হলো এককন্দ বিশিষ্ট আকর্ষণীয় লাল রংয়ের কলস আকৃতি পেঁয়াজ। পেঁয়াজের ওজন ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম। 

তীব্র শ্বাসযুক্ত দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। জমির আগাছা পরিষ্কার করে ভালোভাবে চাষ মই দিয়ে ৩ মিটার আকারের বীজতলা তৈরি করে এক সপ্তাহ রাখতে হবে। বীজ বপনের পূর্বে আগের দিন সন্ধায় বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন ১ ঘন্টা রৌদ্রে শুকিয়ে তারপর বীজতলায় বপন করতে হবে। 

বীজ বপনের পর ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে। বীজ বপনের পরদিন বেডে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে আপনারা পেঁয়াজ চাষে লাভবান হতে পারবেন। পেঁয়াজ চাষের এটি অন্যতম মাধ্যম। 

লেখকের মন্তব্য 

আজকের এই আর্টিকেলে শীতকালে পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পেঁয়াজ চাষের জন্য মাটি তৈরি থেকে শুরু করে পিঁয়াজ ঘড়ে তোলা পর্যন্ত বিস্তারিত বর্ণনা আমাদের পোস্টে হয়েছে। আপনি যদি এই শীতে পিঁয়াজ চাষ করতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের কাজে আসবে।

আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url