খেজুরের গুড় খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারীতা

আপনি যদি খেজুরের গুড় খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা খেজুর গুড় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

নিম্নে আমরা খেজুরের গুড় খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা, খেজুরের গুড় খাওয়ার অপকারিতা, খেজুরের গুড়ের দাম, চিনি ও গুড়ের মধ্যে পর্থক্য, খেজুরের গুড় খেলে কি ওজন বৃদ্ধি পায়, খেজুর গুড়ের ইংরেজি নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। 
সূচিপত্র 

ভূমিকা

খেজুরের গুড়ের রঙ, গন্ধ এবং স্বাদ অনন্য। যেহেতু শীতকালে মূলত এই গুড়টি আহরণ করা হয়ে থাকে। তাই হরেক রকমের পিঠা-পুলিতে এর ব্যবহার লক্ষণীয়। এছাড়া খেজুর গুড়ে বা নলেন গুড়ের সন্দেশ এবং রসগোল্লা বেশ সুস্বাদু। এতে উপস্থিত আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে। নারীদের অনেক রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। 

এছাড়া যাদের হজমে সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন অল্প পরিমাণে খেজুর গুড় খাদ্যভ্যাসে রাখতে পারেন। এতে আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের মতো নাছোড়বান্দা রোগ ধীরে ধীরে দূর করে। যেসব খাবার আমাদের লিভারের জন্য ভালো তাদের মধ্যে অন্যতম এই খেজুর গুড়। এতে খনিজ লবণ থাকায় আমাদের হাড়ের গঠণ মজবুত করে, ত্বক ভালো রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপের সমস্যা দূর করে।

খেজুরের গুড়ের খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা

আমরা যারা খেজুরের গুড় খাই, তারা শখের বসেই খাই। কিন্তু এই গুড়ের যে অনেক উপকারিতা রয়েছে তা ঠিকমতো আমরা জানি না। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য উপকারিতাগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো -

হজমের সমস্যা দূর করে : খেজুরের গুড়ে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম জাতীয় খনিজ উপাদান রয়েছে যা হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এতে উচ্চমাত্রার কম্পোজিট কার্বহাইড্রেট রয়েছে যা সাধারণত চিনির চেয়ে খাবারের দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এক চামচ গুড় খেলে এর ফাইবার উপাদান মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয় এবং বদহজমের সমস্যা করে। 

খেজুর গুড়ের অপকারিতা 

কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। ঠিক তেমনি খেজুরের গুড় বেশি পরিমাণে খেলে কিছু ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখতে পারবেন। যেমন -

শরীরের ওজন বেড়ে যাবে : যেহেতু প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে ৩৮৫ ক্যালরি শক্তি রয়েছে তাই অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাবে। যাদের ওজন বেশি এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই পরিমিত পরিমাণ খাওয়া উচিত। 

রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় : প্রতি ১০ গ্রাম খেজুরে প্রায় ৭.৫ গ্রাম চিনি রয়েছে। এই চিনি স্বাস্থ্যকর হলে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাবে। ফলে আমরা ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি, কিডনি বা চোখের রোগ ইত্যাদিসহ নানা রোগের সম্মুখীন হবো। 

হজমের সমস্যা তৈরি হয় : সরাসরি তৈরি হওয়া গুড় খেলে আপনার ডায়রিয়া জনিত সমস্যা হতে পারে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগেও ভুগতে পারেন। এজন্য আমাদের কিছুসময় বা ১ থেকে ২ দিন পর খেলে তেমন সমস্যা হবে না। 

জীবাণু সংক্রান্ত : যদি গুড় তৈরি করতে যেয়ে প্রস্তুতপ্রণালী কিছু ভুল হয় বা অন্য জায়গা থেকে কিনলে সেই জায়গা যদি স্বাস্থ্যকর না হয় তাহলে সেই গুড় জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। তাই একসাথে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আমাদের স্বাস্থ্যহানি বা বিভিন্ন শরীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। 

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হয় : যদি অনেক গরমে বেশি পরিমাণ গুড় খেয়ে থাকেন, তবে উচ্চ রক্তচাপের কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।এজন্য প্রচন্ড গরমে সেবন না করাই উত্তম। 

আমাদের জন্য খেজুর যেমন উপকারি, খেজুরের গুড় তেমনি উপকারী। আমরা খেজুর সবসময় জন্য সংরক্ষণ করতে পারি না। কিন্তু খেজুরের গুড় সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব। এই গুড় আমাদের খাবারের স্বাদ অনেক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। 

খেজুরের গুড় খেলে কি ওজন বাড়ে

খেজুরের গুড় প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা সাধারণত চিনি থেকে কম ক্যালরি বহন করে। এই চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়। ফলে আমারা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি। নিয়মিত চায়ের সাথে বা গরম পানির সাথে সাধারণ চিনির পরিবর্তে খেজুরের গুড় খেলে আমাদের হজম সুবিধা হবে, পুষ্টি শোষণে সহায়তা হবে৷ এতে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

কোল্ড অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করে : খেজুরের মতোই খেজুরের গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের প্রদাহ কমায় এবং অ্যালার্জি রোধ করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই গুড়ে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই শীতকালে বা কারো অ্যালার্জির সমস্যা যেমন নাক বন্ধ হওয়া বা বয়ে যাওয়া, হাঁচি, চোখে জল আসা, গলা ব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি থাকলে খেজুরের গুড় খেলে তা দূর হয়ে যাবে।

শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটায় : আমরা জানি না কিন্তু অনেকেই এমন আছেন, যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। এতে দেখা যায়, আমরা নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হই। এক চা চামচ খেজুরের গুড়ে প্রায় ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে যা শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে রক্তশূন্যতাসহ আয়রনের ঘাটতিজনিত রোগ ব্যধি দূর করতে পারে। গুড়ে থাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি কমায়, কপার লাল রক্ত কণিকা তৈরিতে সহায়তা করে এবং ফোলেট উপাদান আয়রনের পরিবহন এবং সংরক্ষণে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

মহিলাদের জন্য উপকারী : গঠনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে নারীদের এমন কিছু পুষ্টিগুণ প্রয়োজন যা সব ধরনের খাবারে থাকে না। খেজুরের গুড় নারীদের দেহে এন্ডোরফিন্স নিঃসরণ করে যা প্রাকৃতিক উপায়ে মাসিকজনিত ব্যথা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে থাকা আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম মেয়েদের আরও নানা বিশেষ রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। 

হাড় ও বাতের ব্যথা কমায় : খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় খনিজ থাকে যা আমাদের আর্থারাইটিস, জয়েন্টের ব্যথা হাড়ের ব্যথা কমায় এবং ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণ করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দিনে দৈনন্দিন খাবারের সাথে রুটি দিয়ে বা গুড় দিয়ে বানানো মিষ্টি পরিমাণমতো খেলে ভালো ফলাফল পাবেন। 

মুখের ত্বক ভালো রাখে : খেজুরের গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের মুখের ত্বকের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়, মুখের ত্বক ভালো রাখে। এই গুড় আমাদের ত্বকের হাইড্রেটড রাখে, ভিটামিন সি মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি আপনার মুখের শুষ্কতা দূর করতে চান এবং ত্বকের মসৃণ রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত অল্প পরিমাণ হলেও খেজুরের গুড় খেতে হবে। 

লিভার বা যকৃত ভালো রাখে : অন্যান্য খাবারের চেয়ে খেজুরের গুড় আমাদের লিভার ভালো রাখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, লিভারের এনজাইমের মাত্রা উন্নত করে এবং লিভারের ফাংশনকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। 

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় : রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে ক্লান্তিবোধ, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা নানা সমস্যা দেখা দেয়। খেজুরের গুড়ে থাকা ফোরেট এবং আয়রন দেখা দেয়। খেজুরের গুড়ে থাকা ফোরেট এবং আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

চিনি ও গুড়ের মধ্যে পার্থক্য

খেজুরের গুড় খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা নিয়ে আজকের আমাদের এই পোস্ট। আর্টিকেলের এই অংশ আমরা চিনি ও গুড়ের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করব। চিনির বিপরীতে গুড়ের মধ্যে ক্যালোরির পাশাপাশি আয়রন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। যেখানে চিনি শুধুমাত্র ক্যালোরি দেয় পুষ্টি নয়। গুড় প্রক্রিয়াহীন, তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর যেখানে চিনি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। 

চিনি হলো একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি। বাদামি ও সাদা চিনির ক্যালরি খুব কাছাকাছি। যেমন এক টেবিল চামচ বাদামি চিনিতে ১৫ ক্যালরি আর সমপরিমাণ সাদা চিনিতে ১৬.৩ ক্যালরি থাকে। বাদামি চিনিতে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, কপারের মতো প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায়। কিন্তু বেশি প্রক্রিয়াকরণের কারণে সাদা চিনিতে ক্যালরি ছাড়া অন্য কোনো খনিজ উপাদান নেই এবং সালফার থাকায় মানবদেহের জন্য ঝুঁকি থাকে। 

গুড় যেকোনো চিনির তুলনায় স্বাস্থ্যকর। এটি আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ। গুড়ের গ্লাইসেমিক সূচক কম হওয়ার এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে এবং ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। 

খেজুর গুড়ের দাম 

খেজুরের গুড় খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা নিয়ে আজকের আমাদের এই পোস্ট। যেখানে আমরা এখন আলোচনা করব গুড়ের দাম নিয়ে৷ স্থান অনুযায়ী খেজুরের গুড়ের দাম আলাদা হয়ে থাকে। শীতের মৌসুমে খেজুর গুড়ের দাম তুলনামূলক ভাবে কম হয়ে থাকে। খেজুরের গুড় প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা করে হয়ে থাকে। কিন্তু তা স্থান এবং সময়ভেদে কম বেশি হয়ে থাকে। বৃহত্তর রাজশাহী চারঘাট, যশোর ও ফরিদপুর জেলা ব্যাপকভাবে খেজুর গাছের চাষ হয়। খেজুরের ঝোলা গুড় প্রতি কেজি ৫০০ টাকা করে তবে এর কিছু কম অথবা বেশি হতে পারে। বাংলাদেশে তিস্তা ফুড এর ৫০০ গ্রাম  দানাদার ঝোলা গুড় এর দাম ২৭৫ টাকা এবং ১ কেজি দানাদার ঝোলা গুড় এর দাম ৫৫০ টাকা।

গুড় খেলে কি সুগার হয় 

ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধলেই খাওয়াদাওয়া চলে আসে হাজার রকম বাধানিষেধ। কায়িক পরিশ্রম কম করা, অনিয়ম খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে কম বয়সেই শরীরে বাসা বাধতে ডায়াবেটিস। যাপনে পরিবর্তন আনলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই রোগটি। এক্ষেত্রে বিশেষ করে খাওয়া দাওয়া বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন।

একজন ডায়াবেটিস রোগীর আর্দশ খাদ্যের মধ্যে কম গ্লাইসেমিকযুক্ত খাবার থাকা উচিত। কিন্তু গুড়ে খুব বেশি পরিমাণে গ্লাইসেমিক থাকে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি রোগ, হৃদরোগ বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি পুরোপুরি সুস্থ হন এবং আপনার রক্তে শর্করার সমস্যা না থাকে তবে আপনি গুড় চিনির বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন। কিন্তু যদি সুগার থাকে, তবে অবশ্যই গুড় পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। 

আখের গুড়ের উপকারীতা 

খেজুরের গুড় খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা নিয়ে আজকের আমাদের এই পোস্ট। যার মাধ্যমে আপনি খেজুরের গুড়ের পাশাপাশি আখের গুড়ের উপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে আখের গুড়ের উপকারীতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

  • আখের গুড়ে আছে জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। আখের গুড়ে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম ইমিউনিটি সিস্টেমকে মজবুত করে। 
  • জন্ডিস রোগীকে আখের গুড় খাওয়ানো খুব উপকারী। 
  • আখের গুড় অকৃত্রিম মিষ্টির ভান্ডার। শরীরে আখের গুড়ের মিষ্টত্ব কখনো মধূমেহ বা ব্লাড সুগার লেভেল বাড়িয়ে তোলে না। 
  • আখের গুড়ে থাকা ম্যাঙ্গানিজ গলা খুশখুশ, শ্বাসকষ্ট ও এয়ালাজি প্রতিরোধ করে। এটি খেলে ব্রংকিয়্ল মাসেলগুলো আরাম পায়। 
  • আখের গুড়ে থাকা আয়রন শরীরে রক্ত তৈরি করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। 
  • আখের গুড় মাইগ্রেনের ব্যথা সারিয়ে তুলতে দারুণ কাজে লাগে। 
  • আখের গুড় শরীরকে বিষমুক্ত করতে আখের গুড়ে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কাজে লাগে। 
  • আখের গুড় শরীরে তাপ উৎপাদন করে এবং দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। 
  • আখের গুড় নিয়মিত খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
  • আখের গুড় গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। 
উপযুক্ত উপকারগুলো পেতে হলে অবশ্যই আখের খাঁটিগুড় খেতে হবে। কারণ বাজার ভেজাল গুড়ে সয়লাব৷ তাই দেখে শুনে অবশ্যই আখের খাটি গুড় কিনতে হবে। 

খেজুর গুড়ের english 

খেজুরের গুড় খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা নিয়ে আজকের আমাদের এই পোস্টের এই অংশে আমরা আলোচনা করব খেজুর গুড়ের ইংরেজি কি তা সম্পর্কে। গুড় এশিয়া ও আফ্রিকায় তৈরি একটি অপরিশোধিত চিনির পণ্য। আখ কিংবা খেজুরের রস হতে তৈরি করা এক প্রকার মিষ্টিদ্রব্য। 
খেজুরের গুড় এর ইংরেজি Date molasses.

Date syrup is aslo known as date honey, date molasses and debes. Date syrup is made by softening chopped dates in boiling hot water, blending them,boiling and reducing the mixture, then straining out the oits and insoluble parts. 

লেখকের মন্তব্য 

আজকের এই আর্টিকেলে খেজুরের গুড় খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি খেজুরের গুড় খাওয়ার অপকারিতা, খেজুর গুড়ের দাম, খেজুরের গুড়ের ইংরেজি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url