১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

মানুষের গায়ের রং ফর্সা বা কালো হওয়ার মূল কারণ হলো মেলানিন নামক পদার্থ। এই মেলানিন নামক পদার্থটি শরীরে যত বেশি থাকবে তার গায়ের রং তত কালো হবে। আজ আমরা এই আর্টিকেলে এর মাধ্যমে জানব মাত্র ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

প্রকৃতিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই গায়ের রং ফর্সা ও উজ্জ্বল করে নেয়া যায়। আমরা আজকের আর্টিকেলে ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

সূচিপত্র 

১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় 

আপনি যদি ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। 

উজ্জ্বল চকচকে ও ফর্সা গায়ের রং সকলেরই প্রত্যাশা। তবে প্রাকৃতিকভাবে কারো কারো গায়ের রং ফর্সা আবার কারো কারো গায়ের রং শ্যাম বর্ণের বা কালো হয়ে থাকে। যারা কালো তারা চায় তাদের রঙ উজ্জ্বল করতে। এক্ষেত্রে অনেকই বিভিন্ন কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে মুখের ক্ষতি করে ফেলে। 

আমরা জানা মতে পৃথিবীতে এমন কোন প্রোডাক্ট বা খাবার নেই যা এক রাতে ফর্সা করে দিবে আপনাকে। তবে ধৈর্য ধরে যদি আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন এবং ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা হতে শুরু করবে।

এছাড়াও প্রাকৃতিক অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে আপনি ফর্সা হতে পারেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে আপনি অল্প সময়ে ত্বক ফর্সা করতে পারবেন। 

কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় 

আপনি যদি জানতে চান কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় তাহলে আপনি আর্টিকেলের এই পর্বটি পড়তে থাকুন। কারণ আমারা এই অংশে আলোচনা করব কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

টক জাতীয় ফল : সব ধরনের টক জাতীয় ফলই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যে সকল ফলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে সেই ফলগুলো বেশি উপকারী। 

ডিম : ডিম খেলে শরীরে পুষ্টি পায়, হার ভালো থাকে তা আমরা সবাই জানি। তবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ডিম খাওয়ার ফলে তা হয়তো আমার জানি না। নিয়মিত ডিম খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। 

সালাদ : ত্বকের সতেজতা ও স্বাস্থ্যজ্জল রাখতে ফাইবার ও এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রয়োজন। কারণ এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত সালাদ খাওয়া দরকার। 

গ্রিন টি : সালাদের সাথে গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হয়েছে। গ্রিন টি আপনার চেহারার কালো দাগ বা বলিরেখা পড়া থেকে বিরত রাখবে৷ 

পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। যা আপনার চেহারার জন্য খুবই উপকারী। পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। 

৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় 

আপনি যদি ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ুন। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ৩ দিনের মধ্যে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। 

চকচকে ফর্সা সকলেই হতে চায়। যে কারণে ত্বকের যত্নে কেউ অবহেলা করে না। আজ একটা ফেসপ্যাক সম্পর্কে জানবো। এই প্যাকটি ব্যবহার করার ফলে তিন দিনে আপনার ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করে পারবেন। চলুন জেনে নেই ফেস মাস্কটি সম্পর্কে। 

৩ দিনে ত্বক ফর্সা করতে হলুদ ব্যবহার করা সহজ এবং কার্যকর উপায়। হলুদের ফেসপ্যাক তৈরি করতে ২ চা চামচ হলুদ গুড়ো সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর মুখে প্যাকটি লাগিয়ে নিন । ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মাত্র তিন দিনে আপনার ত্বক হবে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ফর্সা ও চকচকে। 

১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় 

আপনি যদি জানতে চান কিভাবে মাত্র ১ মাসে ফর্সা হতে পারেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব মাত্র ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাত্র এক মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। 

আপনি হয়তো বিভিন্ন উপকরণ এর মাধ্যমে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন  তবে আজ আমি আপনাদের জানাবো প্রাকৃতিক একটা উপকরণ দিয়ে ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। সেই উপকারটি হল থানকুনি পাতা যা আমরা কমবেশি সকলেই চিনি। থানকুনি পাতা যে একটা ঔষধ গাছ সে-সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। 

থানকুনি পাতা অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে আজকে শুধু আমি জানাবো ১ মাসে কিভাবে থানকুনি পাতার মাধ্যমে ফর্সা হতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে থানকুনি পাতা সংগ্রহ করতে হবে এরপর তা ভালোভাবে ধুয়ে ব্লেন্ডা করে নিতে হবে। 

থানকুনি পাতা ব্লেড করার পর যে রসটা বের হবে সেই রসটা আপনি প্রতিদিন সকালে একগ্লাস করে খাবেন। এভাবে যদি আপনি নিয়মিত এক মাস ধরে এই রস খেতে পারেন তাহলে নিজের পরিবর্তন নিজেই দেখতে পারবেন। একমাস এই থানকুনি পাতার রস খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে। 

৫ মিনিট ফর্সা হওয়ার উপায় 

আপনি যদি ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব মাত্র ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাত্র ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। 

আজকে যে ফেসিয়ালটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেই ফেসিয়ালটি করে আপনি মাত্র ৫ মিনিটেই ফর্সা হতে পারেন। যে কোন পার্টি, বিয়ে বাড়ি বা বেড়াতে যাওয়ার জন্য ৫ মিনিটের এই ফেসিয়ালটি খুবই কার্যকর হবে।

প্রথম পর্যায়ে লাগবে এক টেবিল চামচ চিনি। কারণ চিনি স্কিনকে এক্সপোলিয়েট করে। স্কিনে স্ক্রাবিং করতে সাহায্য করে। চিনির সাথে মেশাতে হবে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ কাঁচা দুধ। তিনটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। চিনি সামান্য দানাদার থাকা অবস্থায় স্ক্রাবটি মুখে স্ক্রাবিং করতে হবে। মুখ ভালোভাবে ধুয়ে দেখবেন ত্বক গ্লো করছে। 

দ্বিতীয় পর্যায়ে যা করতে হবে তাহলো, হাফ চা চামচ হলুদ নিতে হবে। এরপর নিতে হবে ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ টেবিল চামচ বেসন। এরপর দিতে হবে দুই চামচ দুধ বা গোলাপ জল আর এক চা চামচ লেবুর রস, হাফ চা চামচ ফেয়ার এন্ড লাভলী ক্রিম। সবগুলো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিলে তৈরি হয়ে যাবে ত্ব ফর্সাকারি উপটান ফেইস মাস্ক। ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। দেখতে পাবেন অল্প সময়ে মধ্যে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে। 

রাতারাতি ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় 

উজ্জ্বল ফর্সা ত্বকের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে সবারই। রাতারাতি গায়ের রং ফর্সা করতে বেছে নেই বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশ্রিত ক্রিম যা ত্বকের ক্ষতি করে। এসব ক্ষতিকারক ক্রিমের উপর ভরসা না করে প্রাকৃতিক উপায়ে এর সমাধান করুন৷ জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিক উপাদানে রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে -

হলুদ : রাতে ঘুমাতে যাওয়া আগে হলুদের একটি ফেইস প্যাক লাগাতে পারেন। ১ চা চামচ হলুদ গুড়ার সঙ্গে সমপরিমাণ ওটমিল, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। 

পাকা পেঁপে : পাকা পেঁপে ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাখলে তা প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে ব্লিচ করে৷ এতে মুখের দাগছোপ দূর হবে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। 

ডাবের পানি : ডাবের পানি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের জেল্লা ফেরাতে, কালো ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। 

টক দই : ত্বকের রং ফর্সা করতে টক দই ও লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করুন। এটি দারুণ কাজে আসবে। 

পুরো শরীর ফর্সা করার উপায় 

আপনি যদি পুরো শরীর ফর্সা করতে চান তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ুন। কারণ এই অংশে আমরা পুরো বডি ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

নিয়মিত ব্যায়ম : নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের সবচেয়ে সাধারণ এবং দ্রুত ফর্সা হওয়ার একটি প্রাকৃতিক উপায়। ক্যার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম যেমন ড্রাইভিং, জগিং, সাইক্লিং ইত্যাদি শারীরিক ফর্সা করার জন্য সহায়তা করে  

স্বাস্থ্যকর খাবার : প্রোটিন, ফল, সবজি, গাড়দিয়ে আমিনো এসিড, ক্যালশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরে ফর্সা করতে সাহায্য করে। 

স্বাস্থ্যকর নিদ্রা : প্রতিদিন পর্যাপ্ত নিদ্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেতে পারে শরীরের ফর্সা এবং স্বাস্থ্যের জন্য। যখন আপনি সম্পূর্ণ নিদ্রা পান, তখন শরীর ত্বরান্বিত হয়, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং পুরো শরীর সুস্থ হতে সাহায্য করে। 

এই উপায়গুলো পুরো শরীরে ফর্সা তৈরি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ফুল বডি ফর্সা করতে বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তারজন্য আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

মেয়েদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম

মেয়েদের গায়ের রং যদি কালো বা শ্যামলা বর্ণের হযে থাকে তারা কিন্তু ফর্সা হতে চাই। মেয়েদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম কোনটি ভালো হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কারণ সবার স্কিন সবকিছুর উপযোগী হয় না তবে ফর্সা হওয়ার জন্য এমন কিছু ডাক্তারি ক্রিম রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। চলুন ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

Himalaya Revitalizing Night Cream : হোয়াইট লিলি এবং টমেটোসহ হিমালয়া রিভাইটালাইজিং নাইট ক্রিস ত্বকের যত্নে গভীরে প্রবেশ করে। এই ক্রিমটি ত্বকে পুনর্ববীকরণ চক্রের মাধ্যমে রাতারাতি কাজ করে। সারা মুখে অল্প পরিমাণে লাগিয়ে বৃত্তাকার গতিতে আলতো ভাবে মেসেজ করুন। 

Olay Natural Whit Beauty All In One Fairness Cream : এই ক্রিমে রয়েছে ট্রিপল ভিটামিন সিস্টেম যা আপনার ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে ত্রিপল ভিটামিন সিস্টেমের সাথে আরও প্রো ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই যা আপনার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। 

Ponds Gold Radiance Youthful Night Repair Cream : এই ক্রিমটি ভিটামিন বি৩ এবং ভিটামিন এ এবং পালমিটেড এফ এর মতো উপাদান রয়েছে ডা আপনার ত্বকের নিজস্ব তারুণ্য উজ্জ্বলতা পুনরুজ্জীবিত করে। ত্বকের কোষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে এই ক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বকে আবার তারুণ্য ফিরে আসে। 

প্রাকৃতিকবভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় 

লেবুর ব্লিচিং এজেন্ট ত্বক ফর্সা করে, তাই ফর্সা রং পেতে লেবু ব্যবহার করা হয়। নিম্ন উল্লেখিত উপায় বা পদ্ধতিতে আপনি নেমে চললে আপনি নিশ্চিত একটি সুন্দর ত্বকের অধিকারী হবেন। 

বর্ষা ও গ্রীষ্মের ঋতুতে জল ও ঘামের কারণে আমাদের ত্বক নিস্তেজ হতে শুরু করে, যা সরাসরি আমাদের গায়ের রঙের ওপর প্রভাব ফেলে।  আপনারও যদি একই সমস্যা থাকে, তাহলে ত্বক ফর্সা করতে লেবু ব্যবহার করতে পারবেন। লেবুর সাহায্যে আপনি সহজেই ঘরে বসেই আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারবেন। মুখে লেবু মাসাজ করলে মৃত কোষ দূর হবে,  ত্বক উজ্জ্বল হবে। 

ত্বক ফর্সা করতে লেবু ও মধু

লেবু ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন ত্বকের উন্নতির জন্য। লেবুর রস ত্বকের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে এবং মধু ত্বকের ময়েশ্চারাইজার অর্থাৎ মোলায়েম করে। 

আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয় তবে তার জন্য এক চামচ মধুতে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করুন। আপনার যদি স্বাভাবিক বা শুষ্ক ত্বক হয় তবে আপনি সমপরিমাণ মধু ও লেবু ব্যবহার করতে পারেন। 

সমপরিমাণ লেবু এবং শসার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্রতিকারটি তৈলাক্ত ত্বকের লোকদের জন্য কার্যকারী কারণ লেবু এবং শসার রস ত্বকের অতিরিক্ত ছিদ্র বন্ধ করে এবং ত্বকের উন্নতিতেও সাহায্য করে।

হাত পা ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায় 

হাত পা ফর্সা করার অনেক প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে হাত পা ফর্সা করতে পারেন। হাতটা ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে - লেবু, লেবুর রস, টক দই, পাকা টমেটো, মধু, এলোভেরা জেল, দুধের সর, কফির গুড়ো, কাচা হলুদ, আলুর রস, শসা, গোলাপজল ইত্যাদি। 

উল্লেখিত উপাদানগুলো নিয়মিত পেস্ট তৈরি করে হাত ও পায়ে লাগিয়ে আলতোভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে অল্প কিছুদিন ব্যবহারের ফলে দ্রুত আপনার হাত পা ফর্সা হবে।যদি আরও ভালো ফলাফল চান তাহলে হাত পা ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম ব্যবহার করুন। আশা করি সেরা ফলাফল পাবেন। 

লেখকের মন্তব্য 

১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকের এই পোস্ট। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মাত্র ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে, ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়, ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়, হাত পা ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায়, ফর্সা হওয়ার ক্রিমের নাম, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url