খুশকি দূর করতে সরিষার তেলে ব্যবহারের সঠিক নিয়ম।

খুশকি দূর করতে সরিষার তেলের ব্যবহার সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা সরিষার তেল ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। 

এই আর্টিকেলে আমরা খুশকি দূর করতে সরিষার তেলের, চুলে সরিষার তেল ব্যবহারের নিয়ম, সরিষার তেল ব্যবহারের উপকারীতা, সরিষার তেল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

সূচিপত্র 

খুশকি দূর করতে সরিষার তেল 

চুল নিয়ে চিন্তা নেই এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। সবাই চায় সুন্দর চুলের অধিকারী হতে। বর্তমান সময়ে রুক্ষ চুল অনেকের চিন্তার কারণ। চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায় খুঁজে ফিরেন অনেকে। 

এছাড়া চুল পড়াও অনেকের জন্যই সমস্যার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়াও খুশকি সমস্যা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এ অবস্থায় চুলের জন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকেন। যা অনেক সময় ক্ষতি করতে পারে। এক্ষেত্রে চুলের জন্য সরিষার তেল ভীষণভাবে উপকারী। 

সরিষার তেল ও টকদই : খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেল ও দই ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ সরিষার তেলে দুই চামচ দই মিশিয়ে এই মিশ্রণ চুলে লাগান। এটি চুলে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ ব্যবহারে কয়েক দিনের মধ্যে খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন। 

সরিষার তেল ও অ্যালোভেরা জেল : সরিষার তেল ও অ্যালোভেরা জেল খুশকি থেকে মুক্তি পেতে উপকারী হবে। এটি ব্যবহার করতে ২ চা চামচ সরিষার তেলে সামান্য অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলে লাগান। এবার চুলে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট রেখে দিন। নির্দিষ্ট সময়ের পর জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। 

সরিষার তেল ও মেথি বীজ : চুলের জন্য মেথির বীজ খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। সেই সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে লাগান খুশকি থেকে মুক্তি মিলবে।এটি তৈরি করতে সরিষার তেল গরম করে তাতে মেথি দিন। মেথি দানার রং বদলে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এবার এই তেল চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। 

চুলের যত্নে নারিকেল তেল নাকি সরিষার তেল 

উপমহাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই চুলে সরিষার তেল এবং নারকেল তেল দুটো তেল সমানভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে৷ দুটো তেলেরই রয়েছে বিভিন্ন রকম উপকার। কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না জানলে কোন ভালো ফলাফল আসবে না। 

চুলের যত্নে সরিষার তেল 

আপনি জানলে অবাক হবেন যে সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন রয়েছে। সরিষার তেল আমাদের চুল পড়া কমিয়ে দেয়। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে জিংক, বিটা , ক্যারোটিন,সেলিনিয়াম এবং ওমেগা এসিড। যা আমাদের চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

এছাড়াও চুলে যখন সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় তখন আমাদের মাথার স্কাল্পের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুলে নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে চুল উজ্জ্বল ও নরম হয়৷ 

আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে চুলের সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের মাথার ত্বক এবং চুলের পুষ্টি জোগাতে ও মাথার ত্বকে হাইডেড রাখতে সরিষার তেলের বিকল্প নেই। সরিষার তেলের মধ্যে আন্টিফাঙ্গাস উপাদান রয়েছে যা আমাদের ত্বকের খুশকি দূর করে দেয়। সরিষার তেল আমাদের চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। 

চুলের যত্নে নারিকেল তেল 

চুলের যত্নে নারকেল তেলের কদর বেশি সবসময়। আবার আমরা নারকেল তেলের পাশাপাশি সরিষার তেল মাসাজ করা দরকার। তবে সরিষার তেল দিলে তারপর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করতে হবে যেন চুলের কোন গন্ধ না থাকে৷ 

চুলে ব্যবহার করার মতো বিভিন্ন রকম তেল থাকলেও নারকেল তেল সবচেয়ে বেশি উপকারী। আসলে নারকেল তেল ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যায় না এমন অনেক কম হয়েছে। নারকেল তেল আপনাকে সুস্থ এবং ঘন চুল দেয়, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে, মেকআপ রিমুভ করে, দাঁতের রং সাদা করে। 

চুলের জন্য পুষ্টি যোগান দেওয়া মশ্চারাইজ করা এবং কন্ডিশনিং করার জন্য জনপ্রিয় নারকেল তেল। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড এবং নানান ধরনের অ্যামাইনো এসিড। বিশেষ করে আপনার চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা চুলে প্রোটিনের অভাব হয় তখন নারকেল তেল আপনার চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। 

যদি আপনি চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন তাহলে নারকেল তেল হতে পারে এর সঠিক সমাধান। কেননা নারকেল তেল আমাদের চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। আপনার চুল পড়া কম করবে এবং চুল হয়ে যাবে সিল্কি এবং সফট। 

চুলে সরিষার তেল ব্যবহারের নিয়ম 

 খুশকি দূর করতে সরিষার তেলের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন। উপমহাদেশে প্রাচীনকাল থেকে চুলে সরিষার তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। এতেল ব্যবহারে রয়েছে অনেক উপকার। তবে সঠিক নিয়মে এতেল ব্যবহার করতে হবে।

  •  চুলের যত্নে সরিষার তেল প্রচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে চুলে জট পড়া রুক্ষ চুলের রাশিকে নরম ও মোলায়েম করে তোলে এই তেল। ডিপ কন্ডিশনিং করে বলে সরিষার তেলের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও নরম।
  • সরিষার তেল ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন৷ তাহলে বুঝতে পারবেন সরিষার তেল আপনার ত্বকে কোনো সংক্রমণ হতে পারে কিনা। পাশ্ব প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে তবেই চুলে সরিষার তেল দিন। 
  • অয়েল স্ক্যাল্প বা তেলতেলে মাথায় সরিষর তেল একদমই দেবেন না। তাহলে ত্বকের পোরস আটকে গিয়ে চুলের হাইড্রেশন কমে যেতে পারে। 
  • অনেকেই রাতভর তেল মেখে থাকেন।সরিষার তেল সারারাত দিয়ে রাখবেন না। এতে স্ক্যাল্প খুব চিটচিটে হয়ে পড়বে।শ্যাম্পু করার পরও স্ক্যাল্প ভালো পরিষ্কার হবে না। তাই গোসলের আধঘন্টা আগে চুলে সরিষার তেল মাখলেই যথেষ্ট। 
  • সরিষার তেল সবসময় গরম করে চুলে দিন। গরম করলে সরিষার তেল অনেক পাতলা ও হালকা হয়ে যায়। ফলে চুল সহজেই সরিষার তেল শোষণ করে নেয় এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি লাভ করে। 
খুশকি দূর করতে সরিষার তেলের ব্যবহার নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব নতুন চুল গজাতে সরিষার তেল সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন।

নতুন চুল গজাতে সরিষার তেল 

খুশকি দূর করতে সরিষার তেলের উপকার জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন। মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে চুল। মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়ার কারণে পাতলা হয়ে যাচ্ছে মাথার চুল। চুল পড়া বন্ধে নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করা হয়। 

বাদাম তেল : বাদাম চুলকে পুষ্টি করে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই। যা মাথার ত্বকের গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে৷ বাদাম তেলে থাকা অক্সিডেন্ট চুলকে বাহ্যিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে পাশাপাশি ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বাদাম তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন চুলে। 

রোজমেরি তেল : চুলে পুষ্টি জোগাতে রোজমেরি তেল অপরিহার্য। খুশকিসহ মাথার ত্বকের গভীরে থাকা সমস্যা গুলোর সাথে লড়াই করে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে রোজমেরি অয়েল৷ কয়েক ফোঁটা রোজমেরি তেল অন্য যেকোন ক্যারিয়ার অয়েল যেমন নারকেল বা বাদাম তেলে মিশিয়ে নিন। 

ক্যাস্টর অয়েল : কোল্ড-প্রেসড ক্যাস্টর অয়েল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, রিসিনোলিন এসিডসহ আরও বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। নারকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। কয়েক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

জলপাই তেল : অলিভ অয়েল ভিটামিন এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই তেল চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করে। অলিভ অয়েল চুল ময়েশ্চারাইজড করে।খুকশির বিরুদ্ধে লড়াই করে, চুলের শুষ্কতা কমায় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 

চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা 

খুশকি দূর করতে সরিষার তেলের ব্যবহার নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার  মধ্যে আমরা আলোচনা করব  চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন।

  • চুলে সরিষার তেল দিলে কিছুটা আঠালো বা ভারীভাব লাগে তবে আপনি যদি কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলেন তাহলে স্বাভাবিক হবে।
  • তবে অনেক সময় দেখা যায় ভালো ভাবে চুল পরিষ্কার না করলে সরিষার তেলের অল্প পরিমাণ গন্ধ অনুভব হয়। 
  • বেশি পরিমাণ তেল চুলে ব্যবহার করলে অনেক সময় চুল কিছুটা উঠতে পারে। তাই যাদের চুলে ব্যবহারে বেশি পরিমাণ চুল উঠছে তারা শুধু সরিষার তেল সরাসরি চুলে না দিয়ে সঠিক নিয়মে এবং সাথে আরো কিছু প্রাকৃতিক উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে অনেক ভকলো উপকার পাওয়া যায়। 
  • সরাসরি এই তেল চোখে ব্যবহার করলে তার ফল খারাপ হতে পারে। একই সাথে ক্ষত স্থানে ব্যবহার করলে তা সমস্যা হতে পারে। 
খুশকি দূর করতে সরিষার তেলের ব্যবহার নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব সরিষার তেল দিয়ে চুলের যত্ন  সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন।

সরিষার তেল দিয়ে চুলের যত্ন 

চুলের যত্নে যেসব তেল সবচেয়ে বেশি উপকারী তার মধ্যে একটি হলো সরিষার তেল। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুলের অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যায়। যদিও বর্তমান সময়ে অনেকেই চুলের যত্নে এই তেলের ব্যবহার জানেন না। তবে বাজারের চটকদার বিভিন্ন তেলের থেকে বরং এই তেল বেশি উপকারী। 

হট অয়েল ট্রিটমেন্ট: চুল ভালো রাখার আরেকটি উপায় হলো হট অয়েল ট্রিটমেন্ট। অল্প পরিমাণ সরিষার তেল গরম করুন এবং মাথার ত্বক এবং চুলে ম্যাসাজ করুন। প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখেন তারপর একটি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই ট্রিটমেন্ট রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং চুলকে গভীরভাবে পুষ্ট করতে পারে।

হেয়ার মাস্ক : পুষ্টিকর হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে অন্যান্য উপকারী উপাদান যেমন - দই বা মধুর সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এটি চুল এবং মাথার ত্বকে ভালোভাবে প্রয়োগ করুন। এরপর আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। যেকোনো শ্যাম্পু দিয়ে ভালোকরে চুল ধুয়ে ফেলুন। 

প্রতিদিনের ব্যবহার : আপনার প্রতিদিন চুলের যত্নেও রাখতে পারেন সরিষার তেল। যাদের চুল শুষ্ক বা রুক্ষ চুল তারা কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল সিরাম হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল পড়া কমবে চুলের রুক্ষতা দূর হবে এবং চুল ঝলমলে উজ্জ্বল হবে। 

সরিষার তেল শুধু চমৎকার রান্নাই হয় না, এটি চুলের যত্নের রুটিনের জন্য একটি শক্তিশালী সহযোগী। এর একাধিক সুবিধা চুলের যত্নের কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চুলের বৃদ্ধি, চুলকে শক্তিশালী করা এবং খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে সরিষার তেলের। তাই আপনার চুলের পরিচর্যায় নিয়মিত রাখুন এই উপকারী তেল৷ 

লেখকের মন্তব্য 

খুশকি দূর করতে সরিষার তেলের ব্যবহার সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার মধ্যে আমরা সরিষার তেলের ব্যবহার ও উপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি। আমাদের আজকের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url