জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম ও ১০টি উপকারীতা

জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমারা অনেকেই ভালোমতো জানি না। আর এই সিরাপটি শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারীতা দিয়ে থাকে। আজকের এই পোস্টে জিংক কি সিরাপ এর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য আলোচনা করা হবে। 

আপনারা যদি জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। জিংক সিরাপ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন। 

সূচিপত্র 

ভূমিকা 

আমরা অনেকে আছি যারা জিংক সিরাপ খেয়ে থাকি। তবে এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানিনা। অনেকে আবার এই সিরাপ এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই। তাদের জন্য আমারা আজকের এই পোস্টটিতে জিংক সিরাপ সম্পর্কিত সকল কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

এই জিংক সিরাপ আমাদের অনেক উপকার করে থাকে বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য জিংক সিরাপ খুবই উপকারী একটি কার্যকরী সিরাপ যেটি বাচ্চাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের উপকার করতে পারে। জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

জিংক বি সিরাপ খাওয়া নিয়ম 

সাধারত জিংক বি সিরাপ হচ্ছে খুবই ভালো একটি ঔষধ মানব দেহের জন্য। জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম আপনাদের   খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। কারণ এই জিংক সিরাপ হচ্ছে শিশুদেরকে বেশি পরিমাণে খাওয়ানো হয়ে থাকে। এই জিংক সিরাপ কোনভাবেই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ খায় না ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়ে থাকে। 

কারণ কোন কোন বাচ্চা আছে যাদের দেখা যায় যে শারীরিক বিকাশের সমস্যা হয়ে থাকে তবে জিংক সিরাপ খাওয়ালে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে এই জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম কিন্তু কোন মানুষই জানে না। তাইতো তাদের উদ্দেশ্যে এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে এই জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম। যেমন- 
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই সিরাপ খাবেন। 
  • প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ২ চামচ দিনে ১ থেকে ২ বার খাবেন। 
  • শিশুদের ক্ষেত্রে ১ চামচ দিনে ১ থেকে ২ বার খাওয়াবেন। 
উপরে আমরা জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনার জন্য অনেক কাজে দিবে। 

জিংক সিরাপ এর উপকারিতা 

উপরে আমরা জিংক সিরাপ এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে এসেছেন। এখন আমরা জিংক সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জিংক সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই - 
  • আপনার শরীরে যদি ডায়রিয়া হয়ে থাকে তাহলে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে জিংক সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে যখন তীব্র ডায়রিয়া দেখা দেয় তখন তাদের জন্য জিংক সিরাপ ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে শিশুদের প্রতিদিন ২০ মিলিগ্রাম জিংক সিরাপ সেবন করলে ডায়রিয়া সমস্যা সমাধান হবে। 
  • জিংক সিরাপ আমাদের শরীরে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যেসব মহিলা অথবা ছেলেদের হরমোনের নিয়ন্ত্রণের থাকে না তারা নিয়মিত জিংক সিরাপ গ্রহণ করতে পারেন। যার ফলে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। 
  • আমরা সকলে জানি জিংক আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং ত্বকের ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে। সাধারণত চিকিৎসকরা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত নিরাময় করতে জিংক ট্যাবলেট অথবা সিরাপ প্রেসক্রিপশন করে থাকে। কারণ জিংক রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে। 
  • তাছাড়া জিংক সিরাপ মুড ভালো রাখতে সহায়তা করে। অনেকেরই মধ্যে অবসাদগ্রস্ত ও বিষণ্নতা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। 
  • শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য জিংক সিরাপ খুবই উপকারী। এটি আমাদের শ্বাস কষ্ট দূর করতে সাহায্য করে। 
  • জিংক সিরাপ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। যার ফলে আপনারা দৃষ্টি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। 
  • তাছাড়া শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ঘটানোর জন্য অনেক মায়েরাই জিংক সিরাপ খাওয়ায়ে থাকেন। তাছাড়া ডাক্তারা গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে থাকে। 
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হলো জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।  আশা করি আপনারা তাহলে জিংক সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন। 

শিশুদের ক্ষেত্রে জিংক সিরাপ এর উপকারিতা 

আপনার হয়তো এতক্ষণ জিংক সিরাপের উপকারিতাগুলো জেনেছেন। তবে আপনার এখন শিশুদের ক্ষেত্রে জিংক সিরাপ এর উপকারিতা কি সেটা জানা উচিত। চলুন এবার আমরা জেনে নেই শিশুদের জিংক সিরাপ এর উপকারিতা। 
  • শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায়। 
  • বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। 
  • শিশুদের মেধা শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। 
  • ক্ষুধা  ও অরুচি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • বিভিন্ন ধরনের ক্ষত দূর করতে সাহায্য করে। 
  • শিশুদের ক্ষেত্রে তীব্র ডায়রিয়া হলে সেটা নির্মল করে। 
  • দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। 
  • শিশুদের শরীরে জিংকের ঘটিত পূরণ করে থাকে। 
  • তাছাড়া ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণ করে জিংক সিরাপ। 
তাহলে বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাদের ক্ষেতে জিঙ্ক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং  এর উপকারিতা সম্পর্কে। এটি আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন জিংক সিরাপ ভালো হবে সেটা নিয়ে বাচ্চদের খাওয়াতে পারেন।

জিংক সিরাপ এর অপকারিতা 

জিংক সিরাপ এর পাশ্ব প্রতিক্রিয়া বলতে তেমন কিছু নেই। তবে আপনি যদি পরিমাণ মতো না খাওয়ার বদলে অধিক পরিমাণে সেবন করেন তাহলে পাশ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণ মতো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। আর যদি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করেন তাহলে কি কি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় চলুন তা জেনে নেই -
  • অনেকের ক্ষেত্রে অধিক পরিমান সেবন করার ফলে ঘন ঘন বমি হতে পারে। 
  • এছাড়া আবার ডায়েরিয়া দেখা দেয় অধিক পরিমান সেবন করলে। 
  • মানব শরীরে পাকস্থলী সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • অধিক পরিমাণে সেবন করার ফলে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত করতে পারে। 
আপনার শরীরের জন্য কতটুকু জিংক সিরাপ খাওয়া উচিত সেটা ডাক্তারের কাছে দেখাতে হবে। তাই আপনারা নিয়মিত অবশ্যই নিয়ম মেনে সঠিক মাত্রায় জিংক সিরাপ গ্রহণ করবেন। 

জিংক সিরাপ এর দাম কত 

আপনারা কি জিংক সিরাপ এর দাম কত এ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। জিংক সিরাপ সাধারণত অনেক ধরনের কোম্পানির পাওয়া যায়। তবে সাধারণত আনুমানিকভাবে ১৫০ মিলি জিংক সিরাপের দাম ৪০ টাকা। এছাড়া আরেকটি কোম্পানি রয়েছে যেটির ১০০ মিলি জিংক সিরাপের দাম ৫০ টাকা। আর ২০০ এমএল এর দাম ১১০ টাকা। তবে আপনি এগুলো অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন। আর যদি আপনি ভালোভাবে দাম জানতে চান তাহলে বাজারে ফার্মেসিতে যোগাযোগ করতে পারবেন। 

জিংক সিরাপ এর ডোজ

জিংক সিরাপ মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী একটি সিরাপ। তবে এই সিরাপ প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চা পর্যন্ত সবাই খেতে পারে। তবে বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানো হয় কারণ ছোট বাচ্চাদের শরীরিক বিকাশ না হলে এই জিংক সিরাপ খুবই কার্যকরী। জিংক সিরাপ এতটা সম্পন্ন যে বাচ্চাদের শরীরিক বিকাশ থেকে মুক্তি দিতে পারে। 

তবে এই জিংক সিরাপ শিশুদের ক্ষেত্রে আলাদা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা। প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের একরকম হয়ে থাকে আবার শিশুদের একরকম ডোজ হয়ে থাকে। তবে এটি দেখেশুনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাদের খেতে হবে তাহলে ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন। জিংক সিরাপ এর ডোজ 
ডোজ ১ : প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে ২ চামচ প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার খাবেন। 
ডোজ ২ : শিশুদের ক্ষেত্রে ১ চামচ প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার খাওয়াবেন। 

জিংক সিরাপ এর কার্যকারিতা - জিংক বি সিরাপ এর কাজ 

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং  এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আমারা আজকের এই পোস্টে জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,  উপকারিতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

  • যাদের মুখে খাবারের রুচি কম তারা জিংক সিরাপ খেতে পারেন এটি খুবই কার্যকরী। 
  • তাছাড়া আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জিঙ্ক খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। 
  • আপনি যদি শরীরে পানির শূন্যতা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই জিঙ্ক সিরাপ খেতে পারেন। 
  • বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এবং স্বাস্থ্যে সঠিক বজায় রাখার জন্য জিংক সিরাপ খাওয়াতে পারেন। 
  • জিংক সিরাপ ব্যবহার করার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা যায়। 
  • এছাড়া এটি হজমে সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 
  • জিংক সিরাপ ব্যবহার করে তীব্র ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। 
  • ক্ষতস্থানে দ্রুত শুকিয়ে যায় জিংক সিরাপ এর কারণে। 
  • শিশুদের মানসিক বিকাশ করতে সাহায্য করে থাকে। 
  • বাচ্চাদের শরীরির বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। 
  • জিংক সিরাপ সাধারণত দেহে ভিটামিন বি ও জিংক এর ঘাটতি পূরণ করে। 
তাহলে আশা করি আপনারা এতক্ষণে জিংক সিরাপ এর কার্যকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পরেছেন। 

লেখকের মন্তব্য 

জিংক সিরাপ মানব দেহের জন্য এবং শিশুদের জন্য খুবই ভালো একটি সিরাপ। তাই এটা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বা ছোট বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কোনভবে

 অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবে না কারণ এর পাশ্ব প্রতিক্রিয়া কিছু আছে। আমরা আমাদের আজকের এই পোস্ট জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url