জ্বর মাপার থার্মোমিটার এর দাম কত ২০২৪

জ্বর মাপার থার্মোমিটারের দাম সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টে থার্মোমিটার দাম কত ও জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটার দাম কত তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

Photo

শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ডাক্তারগণ সাধারণত থার্মোমিটার ব্যবহার করে। বর্তমান সময়ে আপনি নিজেই থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপতে পারেন। তবে থার্মোমিটার কেনার আগে থার্মোমিটার দাম কত তা জানতে হবে। 

সূচিপত্র 

জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটারের দাম

২০২৪ সালের বর্তমান বাজারে নতুন এবং সর্বশেষ আপডেট মডেলের জ্বর মাপার থার্মোমিটার হচ্ছে ডিজিটাল থার্মোমিটার। জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার সহজ, ফলে এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার ব্যাপক। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটার এর দাম প্রায় ২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। তবে মোটামুটি ভালো মানের জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটারগুলো ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটারের দাম মূলত থার্মোমিটারের ব্র্যান্ড, ফিচার, ফাংশন, স্থান ও বিক্রেতা ভেদে দাম কম বেশি হয়। 

জ্বর মাপার থার্মোমিটার দাম কত ২০২৪

জ্বর মাপার থার্মোমিটার সাধারণত দাম ২০২৪ সালে ন্যূনতম ১১০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। এরমধ্যে থেকে আপনি আপনার বাজেট এবং পছন্দমত থার্মোমিটারটি ক্রয় করতে পারবেন। জ্বর মাপার থার্মোমিটার সাধারণত থার্মোমিটারের ধরন এর উপর নির্ভর করে দাম কত হবে। তবে আপনার যদি বাজেট ১৫০ বা তার কম হয় তাহলে সব থেকে নরমাল মানের থার্মোমিটার ক্রয় করা যাবে। 

নরমাল থার্মোমিটার এর দাম 

নরমাল বা এনালগ থার্মোমিটারের দাম ২০২৪ সালে ২০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মত। নরমাল থার্মোমিটার এর মধ্যে এমন কিছু থার্মোমিটার পাওয়া যায়। যার মূল্য কম হলেও ভালো সার্ভিস পাওয়া যায়। যার মূল্য প্রায় ২৫০ টাকা বা তার কম। 

পারদ থার্মোমিটার এর দাম 

পারদ থার্মোমিটারগুলোর দাম ২০২৪ সালে প্রায় ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। এই থার্মোমিটার গুলো সাধারণত সবচেয়ে কম দামের হয় যা অতীতে এর ব্যবহার বেশি ছিল। 

বাংলাদেশে আজকে থার্মোমিটারের দাম কত ২০২৪ 

প্রত্যেক ব্যান্ডের, মডেলের থার্মোমিটার এর দামের ভিন্নতা আছে। বাংলাদেশে ২০২৪ এ আজকে থার্মোমিটারের দাম নিচে দেওয়া হলো- 

রেপড থার্মোমিটার এ ধরনের থার্মোমিটারের দাম ১০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। মেডিকেয়ার ব্যান্ডের থার্মোমিটারের বর্তমান বাজার মূল্য ১৫০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা প্রায়। লাইভ স্কেল উন্নত মানের থার্মোমিটারের দাম ২০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা প্রায়৷ 

জ্বর মাপার থার্মোমিটার কোথায় কিনব

বর্তমানে এলাকাভিত্তিক বড় ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি আছে যেগুলোতে একাধিক মডেলের সকল থার্মোমিটার বিক্রি করে। এছাড়া সুপার শপ, বিশ্বস্ত অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে থার্মোমিটারের বিভিন্ন অফার দিয়ে থাকে। আপনারা চাইলে যেকোনো দোকান বা অনলাইনে জ্বর মাপার থার্মোমিটার পছন্দমতো ক্রয় করতে পারবেন। 

  • উপরে উল্লেখিত সকল প্রকার থার্মোমিটারের দাম ১০০% সঠিকতা আমরা দিতে পারি না। 
  • কেননা আমরা কোন থার্মোমিটার বিক্রি করি না, আমরা শুধু আপনাদের দাম সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। 
  • এছাড়া থার্মোমিটারগুলোর দাম বিভিন্ন কোম্পানি, মডেল, বিক্রেতা, স্থান ভেদে দামের ভিন্নতা হতে পারে। 

জ্বর মাপার থার্মোমিটার অ্যাপ

আপনাকে এমন একটি অ্যাপের কথা জানানো হবে, যাতে আপনার শরীরের তাপমাত্রা চেক করতে পারবেন।এবার জ্বর আসলে ঘরে বসে স্মার্টফোন অ্যাপ দিয়ে তাপমাত্রা চেক করতে পারবেন।
লিংক 

ইনফ্রারেড থার্মোমিটার যেভাবে ব্যবহার করবেন

আমরা সবাই এখন জানি যে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য কাচের থার্মোমিটার না হলেও চলে। একটি ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্র কপালের সামনে ধরলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই যন্ত্রের পর্দায় ত্বকের তাপমাত্রা দেখা যায়। এটিই ইনফ্রারড থার্মোমিটার। 

ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের ব্যবহার এখান সবচেয়ে কার্যকর। আজকাল কপালর তাপমাত্রা ছাড়াও একটি স্ট্যান্ডে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার লাগিয়ে রাখা হয়। কপালের মাঝামাঝি অংশ বা হাতের তালু ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের লেন্স থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে রাখতে হয়। এ ব্যবস্থায় সাধারণত মুখের ভেতরের তাপমাত্রার পার্থক্য হতে পারে। কারণ বাইরের পরিবেশের প্রভাব ত্বকের ও শরীরের ভেতরের প্রকৃত তাপমাত্রা কমবেশি হওয়া স্বাভাবিক। 

থার্মোমিটারের কত হলে জ্বর 

জ্বর মাপার সময় থার্মোমিটারে যে তাপমাত্রা ( ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) আমরা স্বাভাবিক বলে ধরে নিই। আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা পারদ উত্তরোত্তর নামতে শুরু করেছে। কিছুটা উদ্বেগজনক ভাবেই। মহিলাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবে ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। পুরুষদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। 

ডিজিটাল থার্মোমিটারে কত ডিগ্রি 

ডিজিটাল থার্মোমিটারের সাধারণ তাপমাত্রা ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মুখের জন্য থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বগলে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর সাথে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যুক্ত করা হয়। মলদ্বার এর স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে হয়। ফারেনহাইট স্কেলের ৯৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার পদ্ধতি 

ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার সহজ পদ্ধতি থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ এবং সঠিক থার্মোমিটার ব্যবহার পদ্ধতি হলো: 

  • ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহারের পূর্বে থার্মোমিটারের ব্যাটারি লাগিয়ে নিন। 
  • থার্মোমিটারের জ্বর মাপার স্থান বা যে স্থানে পারদ আছে সেইটি হল অ্যালকোহল যুক্ত প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। 
  • ডিজিটাল থার্মোমিটারটি চালু করার পর এর স্কিনে ০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ফারেনহাইট আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। 
  • মুখে ব্যবহার করলে জিব্বার নিচে সাধারণত ৩-৫ মিনিট রাখতে হবে। 
  • বগল এর নিচে ব্যবহার করলে ৫-১০ মিনিট রাখতে হবে। 
  • পায়িপথে যদি ব্যবহার করেন ২-৩ মিনিট সময় লাগে। 
  • সম্পর্ণ হয় গেলে ডিজিটাল থার্মোমিটারের স্কিনে প্রদর্শিত তাপমাত্রা দেখুন। 
  • ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার শেষে পাওয়ার বাটন চাপ দিয়ে অফ করে রাখুন। 

লেখকের মন্তব্য 

আশা করি আপনারা আমাদের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটার এর দাম এবং থার্মোমিটার এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদের আজকের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url