গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা ও শর্তসমূহ ২০২৫

গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা ও সুদের হার সম্পর্কে জানতে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু লোন পদ্ধতিগুলো একটু জটিল হওয়ার কারণে এবং লোন পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে আমরা অনেক ঋণ গ্রহণ করতে পারি না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমর গ্রামীণ ব্যাংকের লোক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

তাই আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলে গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে  আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে যেমন- গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের ধরণ, গ্রামীণ ব্যাংক লোন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার এসকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

সূচিপত্র  

গ্রামীণ ব্যাংক কয় ধরনের ঋণ দেয় 

গ্রামীণ ব্যাংক যে ধরনের লোন দেয় তা জানতে আমাদের সম্পন আর্টিকেলটি পড়ুন। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের মানুষদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন স্তরের জন্য বিভিন্ন রকমের ঋণ এর ব্যবস্থক করেছে। নিচে গ্রামীণ ব্যাংক যে সকল ঋণ প্রদান করে থাকে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

ক্ষুদ্র ঋণ : গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ পদ্ধতিগুলো মধ্যে সর্বপ্রথম এবং জনপ্রিয় ঋণ হচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ। গ্রামীণ ব্যাংকের এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রক্রিয়া করা সহজ। যেকোন পেশার মানুষ এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে এবং গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ পদ্ধতি অনুযায়ী সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকলে এই ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

তবে ক্ষুদ্র ঋণের কিছু শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো সঠিকভাবে পূরণ না করলে আবেদনকারী লোন পাবে না। কোন কৃষক যদি ভূমিহীন হয়ে থাকে তবুও তাকে ঋণ প্রদান করা হবে। আপনি যদি ক্ষুদ্র ঋণ এবং গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পর্যায়ে যোগাযোগ করতে হবে। 

কৃষি ঋণ : গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের মানুষদের কথা চিন্তা করে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছেন। দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে গ্রামীণ ব্যাংক কতৃপক্ষ বিভিন্ন কৃষিকাজের জন্য ঋণ প্রদান করে। যার কারণে কৃষক পর্যায়ে মানুষ খুব সহজেই তাদের কৃষি কাজের জন্য ঋণের আবেদন করতে পারে৷ 

  • জমি কিনতে বা বর্গা নেওয়ার ক্ষেত্রে। 
  • কৃষি কাজের জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে।
  • বীজ, সার, কীটনাশক ক্রয় করতে। 
  • মৎস্য চাষ, পশু পালন এবং কৃষিভিত্তিক আরো অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে। 
হাউজিং লোন : মানুষের সামাজিক চাহিদাগুলো হচ্ছে খাদ্য, বস্তু, বাসস্থান, শক্ষা, চিকিৎসা তাই গ্রামীণ ব্যাংক মানুষের চাহিদাগুলোর কথা চিন্তা করে বাসস্থান এর জন্য হাউজিং লোন প্রদান করে থাকে। এই হাউজিং লোন প্রোগ্রামে ব্যাংক হাউজিং লোনের আওতায় টিনশেড বাড়ি নির্মাণের জন্য ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ করে থাকে। ঋণের মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং সেটি সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। 

পশু সম্পদ ঋণ : বাংলাদেশের অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার কৃষকদের সাধারণত পশুপালন এর উদ্দেশ্যে এবং ক্রয়ের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক পশু পালন লোন প্রদান করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক পশু সম্পদ ঋণ প্রদান করার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ যেন পশু পালন করতে পারে এবং উন্নয়ন করতে পারে। কোন কোন পশুপালনের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক পশু পালন লোন প্রদান করে থাকে সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো -
  • গরু পালন 
  • হাস মুরগী পালন 
  • ভেড়া পালন
  • ছাগল পালন 
  • মাছ পালন 
তবে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতিতে গ্রামীণ ব্যাংক পশু পালন ঋণের জন্য অবশ্যই গ্রহীতাকে ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং পশুপালন সম্পর্কে ১ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

উদ্যোক্তা ঋণ : যদি কেউ মনে করে গ্রামীণ ব্যাংক এর উদ্যোক্তা ঋণ গ্রহণ করতে চায় ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে এবং সেটি সম্প্রসারণ করার জন্য ঋণ গ্রহণ করে থাকে।  মুলধনের কম থাকার জন্য গ্রামীন ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুসরণ করে উদ্যোক্তা ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।উদ্যোক্তারা কোন কোন কাজের জন্য ঋণ পেতে পারে সেটি নিচে তুলে ধরা হলো -
  • ব্যবসার উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়
  • কারখানা নির্মাণ করে পণ্য উৎপাদন বা কারখানার ভাড়া দেয়া 
  • বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি 
  • বিপণন ও সেটির প্রচার
  • কর্মচারী নিয়োগ 
তবে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতিতে গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তা  ঋণের জন্য অবশ্যই গ্রহীতাকে ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। এছাড়া ব্যবসার সম্পর্কে পরিকল্পনা উক্ত ব্যাংক শাখার কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত জানতে হবে।
 
শিক্ষা ঋণ : শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। তাই গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি আরো একটি দরকারি এবং প্রয়োজনীয় ঋণের ব্যবস্থা করেছে। আর সেটি হল গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণ। 
  • মেডিকেলের ছাত্র অথবা ছাত্রী
  • ইন্জিনিয়ারিং ছাত্র অথবা ছাত্রী
  • পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এর শিক্ষার্থী
  • MA/MS/MBA এর শিক্ষার্থী 
এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ১৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণের ব্যবস্থা করেছে। তবে গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণ পাওয়া জন্য শিক্ষার্থির পরিবারের কাওকে অবশ্যই এক বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়মিত সমস্যা হতে হবে। 

আমাদের আর্টিকেলের বিষয় হলো গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে। আমাদের সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সঠিক ধারণা পাবেন। নিচের অংশে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পেতে যেসব কাগজপত্র লাগবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমাদের জানতে হবে লোন পেতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়৷ লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই কাগজপত্র সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ সম্পর্কে জানতে নিচের অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন -
  • শুধুমাত্র শিক্ষা লোন ব্যতীত অন্যান্য সকল লোনের জন্য গ্রহীতাকে অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে। 
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। 
  • যে ব্যক্তি ঋণ নিতে ইচ্ছুক তার অবশ্যই নিজস্ব বাড়ি-ঘর থাকতে হবে। 
  • প্রথমবার কেউ যদি ঋণ গ্রহণ করতে চায় তাহলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাবে।
  • ঋণের জন্য ৫% সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হবে। 
  • নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দিতে হবে। 
  • ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ জমা দিতে হবে। 
আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক লোনের আওতায় যেকোনো একটি লোনের সুবিধা ভোগ করতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র সহকারে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন বা উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় গিয়ে উপস্থিত হতে হবে। 

গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত ২০২৪

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতিগুলোর মধ্যে শিক্ষা ঋণ এর সুবিধা সবচেয়ে বেশি। কেননা যদি কোন মেধাবী শিক্ষার্থী অবস্থায় পড়াশোনা করতে টাকার সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে উক্ত শিক্ষার্থী শিক্ষা ঋণ নিতে পারে। যতদিন না পর্যন্ত তার পড়াশুনা শেষ হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগুলো মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। 

তাছাড়া কৃষকদের জন্য এবং অন্যান্য ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতিগুলো সহজ হওয়ার কারণে তারা খুব সহজেই লোনের আবেদন করতে পারবেন। গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের সুদের হার অনেকাংশে কম। গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণত ঋণ প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে খুবই কম সুদে ঋণ প্রদান করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণত কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ খাতে সুদের হার ৬% নিয়ে থাকে এবং অন্যান্য ঋণের খাত রয়েছে সেগুলো থেকেও সুদের হার ৬% করে নিয়ে থাকে। 

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৪

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের জন্য প্রথমে আপনার নিকটস্থ গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হয়ে তাদের সদস্য হন। তারপর ব্যাংক ম্যানেজারের থেকে লোন আবেদন ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে সেটি পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করে পুনরায় ব্যাংকে ফরমটি জমা দিন। সব তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করলে এবং সঠিকভাবে ফরম পূরণ করলে আশা করা যায় ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার লোন আবেদনটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে৷ 

তবে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আপনি বিভিন্ন খাতে লোন নিতে পারবেন। লোন গ্রাহণের পূর্বে অবশ্যই এই খাতগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সঠিকভাবে requirement পূরণ করে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করার পর ব্যাংক থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এবং ডকুমেন্টস যাচাই করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ব্যাংক থেকে আপনাকে লোনের টাকা সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দিবে।

গ্রামীণ ব্যাংক লোন সুবিধা 

আমরা পূর্বেই গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করার উদ্দেশ্যে কাজ করে আসছে। যার ফলস্বরূপ ডাক্তার মোহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয় হয়েছেন। চলুন জেনে নেই গ্রামীণ ব্যাংক লোনের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে -
  • খুব সহজে পদ্ধতিতে দ্রুত লোন গ্রহণ করতে পারবেন। 
  • লোনের প্রকারভেদ হিসেবে মুনাফার হার কম বেশি হয়৷ 
  • অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সুদের হার অনেক কম। 
  • নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টে প্রতি মাসে কিস্তিতে লোনের টাকা পরিশোধ সুবিধা। 
  • আপনি যদি শিক্ষার্থি অবস্থায় লোন গ্রহণ করতে পারবেন এবং পরবর্তী সময়ে লোন পরিশোধ করতে পারবেন। 
  • প্রাথমিক অবস্থায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা লোন গ্রহণ করতে পারবেন। 
  • অল্প কিছু দরকারি কাগজপত্র জমা দিয়ে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। 
উপরে আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নিচের অংশে আমরা গ্রামীণ ব্যাংক বাড়ি নির্মাণ লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

গ্রামীণ ব্যাংক বাড়ি নির্মাণ লোন

গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেল। এই অংশে আমরা গ্রামীণ ব্যাংক বাড়ি নির্মাণ লোন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। মানুষের সামাজিক চাহিদাগুলো হচ্ছে খাদ্য, বস্তু, বাসস্থান, শক্ষা, চিকিৎসা তাই গ্রামীণ ব্যাংক মানুষের চাহিদাগুলোর কথা চিন্তা করে বাসস্থান এর জন্য হাউজিং লোন প্রদান করে থাকে। এই হাউজিং লোন প্রোগ্রামে ব্যাংক হাউজিং লোনের আওতায় টিনশেড বাড়ি নির্মাণের জন্য ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ করে থাকে। ঋণের মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং সেটি সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। 

গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন

গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেল। এই অংশে আমরা গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা  লোন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। তাই গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি আরো একটি দরকারি এবং প্রয়োজনীয় ঋণের ব্যবস্থা করেছে। আর সেটি হল গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণ। 
  • মেডিকেলের ছাত্র অথবা ছাত্রী
  • ইন্জিনিয়ারিং ছাত্র অথবা ছাত্রী
  • পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এর শিক্ষার্থী
  • MA/MS/MBA এর শিক্ষার্থী 
এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ১৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণের ব্যবস্থা করেছে। তবে গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণ পাওয়া জন্য শিক্ষার্থির পরিবারের কাওকে অবশ্যই এক বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়মিত সমস্যা হতে হবে। 

গ্রামীণ ব্যাংক ডিপিএস নিয়ম

অনেকেই এখন টাকা সঞ্চয় করে রাখার জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের ডিপিএস করে। প্রতি মাসে কিছু কিছু টাকা প্রদান করে আপনি একবারে মেয়াদ শেষ হলে সবগুলো টাকায় উত্তোলন করতে পারবেন। টাকা এত বছর রাখার জন্য আপনাকে মেয়াদ শেষে কিছু লাভাংশ প্রদান করবে।

ডিপিএস মূলত ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী পাঁচ হাজার অথবা ১০ হাজার টাকা প্রদান করতে পারবেন। তিন বছর থেকে ১০ বছর অথবা ১৫ বছর পর্যন্ত ডিপিএস এর মেয়াদ করা যায়। যত বেশি মেয়াদ থাকবে তত লাভাংশ বেশি টাকা পাবেন। সর্বনিম্ন ৬% থেকে শুরু করে ১০% পর্যন্ত ডিপিএস লাভাংশ পাওয়া যায়। 

লেখকের মন্তব্য 

আপনারা যারা গ্রামীণ ব্যাংকে থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন। অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংক জনগণকে বেশি সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। সবচেয়ে সুদের হার কম পাওয়া যায়। আজকের এই পোস্টে থেকে আপনারা গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পরেছেন। আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url