কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা অনলাইনে অবেদন এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট ২০২৪

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে আপনি যদি  বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা, বহুসংস্কৃতির সমাজ এবং উন্নত জীবনযাত্রার মান কানাডাকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। 

কানাডার পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি পারমিট প্রাপ্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টে আমরা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, যার মাধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতার মানদণ্ড, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সূচিপত্র 

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন 

আপনারা যারা কানাডা যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন ফরম আপনি অনলাইন থেকে অথবা সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদন ফরম সংগ্রহ করার পর আপনাকে তা পূরণ করতে হবে। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না কানাডার ভিসা কিভাবে আবেদন করতে হয়। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে - 

  • প্রথমেই আপনাকে কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক 
  • প্রবেশ করার পর menu অপশন থেকে immigration and citizenship  এই অপমনে ক্লিক করতে হবে। 
  • এরপর সেখানে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।  sign in or create an account to apply online একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য এই অপশনটিতে ক্লিক করলেই রেজিষ্ট্রেশন হবে। 
  • রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে সেখানে আপনার ইমেইলে একটি কোড আসবে সেই কোড দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। 
  • ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে find an application form এই অপশনটিতে ক্লিক করে আপনি আপনার পছন্দ মত ভিসার জন্য আবেদন ফরম সিলেক্ট করতে পারবেন। 
  • এরপর আপনার পাসপোর্ট এবং অন্য কাগজপত্র দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করুন। 

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট 

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। কানাডিয়ান সরকার বলেছেন যে আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে আপনি কানাডায় থাকার সময় নিজের এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের সমর্থন করতে পারবেন কিনা। উক্ত বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য আপনাকে ভিসা আবেদনের সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। 

আপনি যদি কানাডা পড়াশোনার জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ২৫ লাখ টাকা দেখাতে হবে। কারণ আপনি সেখানে থাকার জন্য বাসা ভাড়া, খাওয়া, মেডিকেল খরচ, যাতায়াতের খরচ হিসাব করে আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। এসকল খরচগুলো যদি আপনি বহন করার মত অর্থ দেখাতে না পারেন তাহলে স্টুডেন্ট ভিসার রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ 

আর আপনি যদি স্কলারশিপ স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ পাচ থেকে ছয় লাখ টাকার মত ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। সুতরাং কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য যদি স্টুডেন্ট ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে আর্থিক অবস্থা ভালো দেখাতে হবে। আশা করি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪

ভিসা ফি ও অন্যান্য খরচ : কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি প্রায় CAD 150 (প্রায় ৯৮০০ টাকা) । এছাড়া বায়োমেট্রিক ফি CAD 85 যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৫৬০ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। এই ফি ছাড়াও মেডিক্যাল পরিক্ষা, যা প্রায় ৩৯২০ থেকে ৬৫৩০ বাংলাদেশি টাকা খরচ হয় সেটিও আলাদা। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি : কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে টিউশন ফি প্রধান খরচের একটি। এই ফি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ ভেদে প্রতি বছর CAD 10000 থেকে CAD 30000 ( প্রায় ৬৫৩০০০ থেকে ১৯৫৯০০০ বাংলাদেশি টাকা) পর্যন্ত হতে পারে। 

বাসস্থান ও জীবনযাত্রার খরচ : কানাডায় বসবাসের খরচ অনেকাংশে স্থান এবং জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। গড়ে, মাসিক বাসস্থান ও খাদ্যের জন্য CAD 800-1200 প্রায় ৫২২৪০ থেকে ৭৮৩৬০ বাংলাদেশি টাকা খরচ হতে পারে। 

এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন : এজেন্সির মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করলে পুরো প্যাকেজ হিসেবে খরচ প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা হতে পারে। 

স্কলারশিপের প্রভাব : যদি শিক্ষার্থী স্কলারশিপ পান, তাহলে খরচ অনেকটা কমে যায়, কারণ স্কলারশিপ সাধারণত টিউশন ফি এবং কখনো কখনো বাসস্থান ও জীবনযাত্রার খরচ কভার করে। 

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্তি এবং তার খরচের বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। এজেন্সির মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণের সময় খরচ বাড়তে পারে, তাই বিশ্বস্ত এজেন্সি বাছাই করা উচিত। স্কলারশিপের সাহায্যে খরচ কমানো সম্ভব, তাই সম্ভাব্য স্কলারশিপ অপশনগুলি খুজে বের করা উচিত। 

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় 

কানাডা ভিসা নিয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এজন্য আপনাকে সম্পূর্ণ সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদের দেশ থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে আপনি কানাডা যেতে পারবেন। স্টাডি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার দরকার ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট IELTS স্কোর ন্যূনতম ৬.৫, জাতীয় পরিচয় পত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মেডিকেল রিপোর্ট। এছাড়া স্টাডি ভিসার জন্য কানাডিয়ান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে অফার লেটার ও টুরিস্ট ভিসার জন্য অন্যান্য দেশের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সনদ।

মূলত এই কয়েকটি কাগজপত্র হলেই আপনি কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কানাডা যাওয়ার জন্য কানাডা হাই কমিশনে যোগাযোগ করতে পারেন। ঠিকানা : জাতিসংঘ সড়ক, বারিধারা, ঢাকা ১২১২, বাংলাদেশ। 

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা 

প্রতিটি বিষয়েরই কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে তেমনি কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে সর্বপ্রথমে আপনাকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেতে হবে। অফার লেটার পাওয়ার জন্য যেকোনো পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম আবেদন করতে হবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনের নিয়ম অনুযায়ী সকল তথ্য অনুসরণ করে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। 

মূলত স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়ে থাকে যাকে বাঙালিরা স্টুডেন্ট ভিসা বলে অভিহিত করে থাকেন। স্টাডি পারমিট সাধারণত প্রতিষ্ঠানের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সের মেয়াদের ওপর নির্ভর করে থাকে। 

এখানে আপনার কোর্সের মেয়াদ যদি পাঁচ বছর হয় সেক্ষেত্রে আপনি পাঁচ বছরের জন্য ভিসা পাবেন। অফার দিতে যদি আপনার স্টাডি প্রোগ্রাম ছয় মাস বা তার চেয়ে কম হয় সেক্ষেত্রে কোন ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে পাঁচ বছর এর যে কোন কোর্সের ক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ এক্সট্রা ৯০ দিন বেশি থাকে। 

কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

এখন আমরা আলোচনা করব কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতাগুলো সম্পর্কে। নিচে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা দেওয়া হলো- 
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে IELTS স্কোর এর মাধ্যমে দক্ষতা যাচাই করতে হবে। 
  • একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে। 
  • জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র সনদের প্রয়োজন হবে।
  •  SSC বা HSC পরীক্ষার সার্টিফিকেটে প্রয়োজন হবে।
  • সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা পত্র এর প্রয়োজন হবে। 
  • যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পত্র দরকার হবে।
  • কানাডায় পড়াশোনা থাকা - খাওয়া বাবদ যে খরচ হবে তা আছে কিনা যাচাই করণের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে। 
  • কোন প্রকার মামলা বা দেশদ্রোহীতা মূলক কাজের সাথে জড়িত থাকা যাবে না। 
  • মানসিক ও শরীরিক সুস্থতা প্রমানের জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে। 
আপনার যদি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া যাবে এছাড়া কানাডায় যাওয়ার জন্য বা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো IELTS স্কোর আপনার যদি ৫.০ নিচে স্কোর থাকে সেক্ষেত্রে আপনি স্টুডেন্ট ভিসাতে কানাডাতে যেতে পারবেন। 

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে 

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কানাডিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের প্রয়োজন হয় কিছু ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি বেশি সময় নিতে পারে এজন্য সঠিক সময় বলা একটু কষ্টকর। কানাডিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা যদি পেয়ে যান সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর রিকোয়ারমেন্ট লিস্ট জমা দিতে হবে এবং ফি প্রদান করতে হবে। 

স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি লেখাপড়া করার জন্য কানাডা যেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই কোন স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আবেদন করতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে অফার লেটার পেতে হবে। অফার লেটার পেলে বা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি আপনাকে তার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে তাহলে আপনার ভিসার কাজ চূড়ান্তভাবে শেষ হবে৷ 

যেহেতু পাসপোর্ট ভিসা করার প্রসেস একটু দীর্ঘমেয়াদি এই জন্য বাংলাদেশে এই কাজের জন্য প্রায় চার থেকে আট সপ্তাহ প্রয়োজন পড়ে। 

 
কানাডা ভিসা পাওয়া উপায় 

কানাডায় যাওয়ার জন্য ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বর্তমান সময় অনলাইন এর ব্যবহার করা হচ্ছে। অনলাইনে অবেদন করা হয়ে গেলে হাইকমিশন এ গিয়ে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি দিতে হবে। সাধারণত কানাডার যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসের ক্ষেত্রে কানাডিয়ান ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিয়ম অনুযায়ী সেই ফর্ম পূরণ করতে হবে। 

উন্নত জীবনযাত্রা চাকরি পড়াশোনা জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডায় গিয়ে থাকে মানুষ। পছন্দের দিক দিয়ে চাকরি বা পড়াশোনার জন্য যাওয়া প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এ দেশ। বিশ্বের সুন্দরতম দেশের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে এই দেশ। 

কানাডাতে প্রায় বর্তমান সময়ে ৩ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ বসবাস করে থাকে। বর্তমান সময়ে কানাডায় থাকা অধিবাসীদের মাথাপিছু আয় ৫২৮০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৪২৩,৯৬৪ ৮২ টাকা মানে ৪২ লক্ষ ৩ হাজার ৯৬৪ পয়েন্ট ৮১ কানাডিয়ান ডলার। 

লেখকের মন্তব্য 

ইউরোপ কান্ট্রিগুলোতে গড়ালেখা করা কিংবা যাওয়ার আমাদের সকলের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা একটি অন্যতম সহজ উপায়। যা আপনি আইএলটিএস করার মাধ্যমে পূরন করতে পারবেন। 

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করা সম্পর্কে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে বালো লাগবে। আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url