গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া ১০ টি উপকারিতা জেনে নিন

আপনি কি গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোজাখুজি করছেন। তাহলে আপনি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। 


আমরা কম বেশি সবাই বিটরুটের সাথে পরিচিত। বিটরুটের অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আমরা এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া উপকারী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। 

সূচিপত্র 

ভূমিকা

বিটরুট দেখতে লোভনীয় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। যা অনেকেই পছন্দ করে থাকেন। এ সবজিটি সব ধরনের মানুষ খেতে পারেন এমনকি গর্ভাবস্থায় এটি অনেক উপকারী। এই গাছের মূল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে তবে বেশি দেখা যায় মেজেন্ডা বা বেগুনি রংয়ের। এর রঙের কারণে মানুষের খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ জন্মে। 

বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। গর্ভাবস্থায় এই সবজিটি আরো অনেক বেশি উপকারী। এর পুষ্টিগুণ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটি নিয়মিত খাবেন। কারণ এতে রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা যা শরীরকে সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা

বিটরুট হল একটি মূল জাতীয় সবজি। আমাদের দেশে বর্তমানে বিটরুট দিন দিন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বিটরুট গর্ভাবস্থায় খাবার জন্য এই সবজির চাহিদাও ব্যাপক। তাছাড়া বিটরুট খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় আপনার ক্রমবর্ধমান গর্ভের ভ্রুনকে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা ও প্রদান করে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গর্ভ অবস্থায় বিটরুট খাওয়া আপনার শরীরের জন্য কতখানি উপকারী হতে পারে -

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : গর্ভাবস্থায় একটি প্রচলিত সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের শরীরে ফোলা ফোলা ভাব হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি খেতে পারেন বিটরুট। কেননা বিটরুটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার যা আপনার হজম ক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় আপনার নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে এই বিটরুট। 

ওজন কমাতে সাহায্য করে : গর্ভাবস্থায় আপনার ওজন কমানো এবং সঠিক ওজন ধরে রাখার জন্য আপনার ডায়েটের খাদ্য তালিকায় কাঁচা বিটরুট রান্না করা অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন। 

আইরনের ঘাটতি দূর করে : বিটরুট আয়রন থাকার কারণে এটি আপনার শরীরের ক্লান্তি এবং দুর্বলতার ঝুঁকি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আবার যারা নিরামিষ ভোজী রয়েছেন তাদের জন্য আয়রনের একটি দুর্দান্ত উৎস হতে পারে এই বিটরুট। 

প্রি-ইক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকি কমায় : বিটরুট গর্ভাকালীন সময়ে আপনার রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। যার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে প্রি-ই ক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। 

অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে : বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে এটি গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় বিটরুট খেলে আপনি অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। 

অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিতে : বিটরুটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই গর্ভাবস্থায় আপনি যদি নিয়মিত বিটরুট খান তাহলে এই এন্টি অক্সিডেন্টগুলো আপনার অনাক্রম্যতার উন্নতি ঘটায় এবং এর ফলে আপনি গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে খুব সহজেই রক্ষা পেতে পারে। 

শরীরের প্রদান রোধ করে : বিটরুটের মধ্যে রয়েছে বিটেন নামক একপ্রকার প্রদান বিরোধী এজেন্ট। ফলে গর্ভাবস্থায় আপনি যদি বিটরুট খান তাহলে এই বিটেন নামক এজেন্ট আপনার জয়েন্ট বা সন্ধিগুলিতে প্রদান, ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। 

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ : বিটরুট কম গ্লাইসেমিক যুক্ত খাদ্য হওয়ার কারণে এটি গ্লুকোজে রুপান্তরিত হতে এবং রক্তের মধ্যে শোষিত হতে অনেক বেশি সময় নেয়। যার ফলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে বিটরুট খেলে। 

স্বাস্থ্যকর যকৃত উন্নীতকরণে : বিটরুটে রয়েছে বিটা সায়ানিন যা আপনার যকৃত এবং রক্তকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি আপনার দেহ থেকে ফ্যাটি এসিড এবং বিষাক্ত পর্দাথগুলিকে অপসারণ করে আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে পারে। 

ভিটামিন সি সরবরাহ : বিটরুটে বিদ্যমান ভিটামিন সি আপনার আয়রন শোষণে সহায়তা করে এবং একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা ও প্রসবের পথ তৈরি করতেও সাহায্য করে। 

গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। আর এই পুষ্টিহীনতা দূর করতে আপনি নিয়মিত গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া যেতে পারেন। এতেই আপনার শরীরের পুষ্টিহীনতা দূর হবে। দুর্বলতার ঝুঁকি কমে যাবে এবং শারীরের পুষ্টিহীনতা দূর হবে। 

গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে বিটরুটের রস 

একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে বিটরুটের রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ রুটে ভিটামিন সি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা গর্ভের শিশুর পুষ্টি যোগায় এবং সুস্থ কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। এছাড়া বিটরুটের রস হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে উন্নতি করে যা ভ্রূনকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। 

গর্ভাবস্থায় আপনি যদি প্রতিদিন বিটরুটের রস পান করেন সে ক্ষেত্রে আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যেতে পারে। আবার আপনি যদি গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকেন, সেক্ষেত্রে বিটরুটের রস পান করে উপকার পেতে পারেন। কারণ আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। 

বিটরুটের রস থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে আপনি গর্ভাবস্থায় প্রথম মাস থেকে বিটরুটের রস পান করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার প্রতিদিনের খাবারের সাথেও বিটরুটের রস যোগ করতে পারেন এবং ভালো ফলাফল পেতে সকালে খালি পেটে বিটরুটের রস পান করতে পারেন। 

বিটরুটের রসের পুষ্টিগুণ

বিটরুটের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ এবং পুষ্টি উপাদান। ফলে গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকরা বিটরুট খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাহলে চলুন প্রতি ১০০ মিলিমিটার বিটরুটের রসের পুষ্টি উপাদান কত তা জেনে নিন - 

  • শক্তি - ৩৮ কিলোক্যালরি
  • কার্বোহাইড্রেট - ৮.৭৫ গ্রাম
  • চিনি - ৮.৭৫ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম - ১৭ মিলিগ্রাম 
  • প্রোটিন - ০.৪২ মিলিগ্রাম 
  • আইরন - ০.৭৫ মিলিগ্রাম 
  • ফসফরাস - ১৭ মিলিগ্রাম 
  • পটাশিয়াম - ২৪২ মিলিগ্রাম 
  • সোডিয়াম - ৫৪ মিলিগ্রাম 
  • ম্যাগনেসিয়াম - ১৭ মিলিগ্রাম 
  • ভিটামিন সি - ২.৫ মিলিগ্রাম 
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া উপকারী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন। নিচে বিটরুটের দাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 

বিটরুটের দাম কত 

বিটরুটের দাম আমাদের অনেকেরই অজানা। কারণ আমাদের দেশে এখনো সচরাচর সব জায়গাই বিটরুট পাওয়া যায় না। যার ফলে স্থানভেদে এর দামও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে যারা বিটরুট চাষ করছেন আপনি যদি তাদের থেকে বিটরুট নিতে পারেন তাহলে অনেকটাই কম দামে পাবেন। যারা বিটরুট চাষ করে তাদের থেকে বিটরুট ক্রয় করলে আপনি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দামে পেয়ে যাবেন। 

আবার বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মও বিটরুট বিক্রি করে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি দারাজ থেকে বিটরুট ক্রয় করেন তাহলে আপনি প্রতি কেজি দাম পড়বে ৩৮০ টাকা করে। এছাড়া আপনি ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরেও বিটরুট কিনতে পারবেন। আশা করছি আপনি এখন বিটরুটের দাম সম্পর্কে মুটামুটি একটি ধারণা পেয়ে গেছেন। 

বিটরুট পাউডারের দাম কত 

কাঁচা বিটরুট থেকে বিটরুট পাউডারের দাম তুলনামূলক ভাবে খানিকটা বেশি হয়। কেননা বিটরুট পাউডার তৈরির জন্য অনেকগুলো বিটরুট একসাথে রোদে শুকে পাউডার তৈরি করা হয়। যারা কাঁচা বিটরুট খেতে পারেন না তারা খুব সহজেই বিটরুট পাউডার খেতে পারেন। এবার চলুন পাউডারের দাম কত সেটি আপনাকে জানিয়ে দিই। 

সাধারণত ২৫০ গ্রাম বিটরুট পাউডার আপনি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় পেয়ে যাবেন। তবে কেউ কেউ আবার ১০০ গ্রাম বিটরুট পাউডারের দাম ৩০০ টাকা নিয়ে থাকে। বিটরুট পাউডারের দাম যেমনই হোক না কেন বর্তমান বাজারে বিটরুট পাউডারের চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।

বিটরুট খাওয়া অপকারীতা

বিটরুটের অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকা সত্বেও গর্ভাবস্থায় খাবার ক্ষেত্রে এর কিছু পাশ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। তাহলে গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার পাশ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো কি চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক 

  • বিটের মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন নামক একপ্রকার উপাদান। যার ফলে আপনার বমি বমি ভাব, গা গুলানো, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য সমস্যাগুলি হতে পারে। 
  • অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়ার ফলে বিটুরিয়া নামক এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যা আপনার প্রস্রাব এবং মলের বর্ণ লাল বর্ণে রূপান্তরিত করে ফেলতে পারে। 
  • বিটরুটে রয়েছে অক্সালেট। এই অক্সালেট আপনার কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথরের কারণ হয়ে উঠতে পারে। 
  • আপনি যদি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় বিটরুটের রস সেবন করেন তাহলে সাময়িকভাবে আপনার গলার ভোকাল কর্ডে বা ষড়যন্ত্রে প্যারালাইসিস হতে পারে। 
  • বিটরুটে বিদ্যমান নাইট্রেট উপাদান যা আপনার গর্ভকালীন সময়ে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া উপকারী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। নিচে বিটরুট খাওয়া নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

বিটরুট খাওয়া নিয়ম 

আমাদের মধ্যে এখানো অনেকে কিন্তু জানেন না বিটরুট কিভাবে খেতে হয়। আবার অনেকেই তো বিটরুট খেতে চান না যে, এতে কোন উপকার হবে কিনা।  আশা করি আপনি বিটরুট নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন ১০০% নিশ্চিত। তাই চলুন এখন বিটরুট খাওয়ার নিয়ম অর্থাৎ সঠিক নিয়মটি জেনে নিই। 

বিটরুট আপনি গুড়া করে পাউডার বানিয়ে খেতে পারেন নিয়মিত। বিটরুট আপনি বিলিন্ডারে মেশিনে জুস বানিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া বিটরুট আপনি কাচা ও খেতে পারেন। এছাড়া বিটরুটের পাতা ভাজি করে খেতে পারেন। বিটরুট যেহেতু একটি মূল বা বিট গাছের কান্ড শাখা তাই আপনি এটি পাটাতে পিষে খেতে পারেন। 

তাহলে আশা করি নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরে গেছেন বিটরুট খাওয়ার নিয়ম নাই আপনি সকালে বিকাল দুপুর যেকোন সময় বিটরুট খেতে পারেন। 

বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা 

বিটরুট যেহেতু একটি গাছের মূল তাই এটি রোদে শুকিয়ে পাউডার বানানো যায়। বিটরুটে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে তাই এটি একজন মানুষের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে থাকে। 

  • এজমা এবং হৃদরোগের রোগীদের জন্য বিটরুট পাউডার খুবই উপকারী। 
  • পেশি সংকোচন এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে বিটরুট পাউডার খুবই উপকারী। 
  • লোহিত রক্ত কণিকা এবং কোষ বৃদ্ধির জন্য বিটরুট পাউডার খুবই উপকারী। 
  • হাড়ের গঠন ও হাড় শক্ত করতে বিটরুট পাউডার খুবই উপকারী। 
  • বিটরুট শিশুদের আয়রনের ঘাটতি মিটাই। 
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বিটরুট পাউডার খুবই উপকারী। 
  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। 

গর্ভবতী মহিলাদের বিটরুট খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ 

অনেকে প্রশ্ন করেন গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া নিরাপদ কিনা। গর্ভবতী মহিলাদের বিটরুট খাওয়া ফলে কোন পাশ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। কারণ বিটরুট পুষ্টির একটি ভালো উৎস। বিটরুট পরিমাণমত খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের এবং গর্ভের বাচ্চার জন্য খুবই ভালো। 

যেহেতু বিটরুট দেখতে গোলাপি রঙের সেহেতু এটি খাওয়ার পর প্রস্রাবের রং গোলাপি হতে পারে, এতে ভয়ের কিছু নেই। সেজন্য পরিমাণ মতো বিটরুট খেতে পারেন গর্ভবতী মহিলারা। কারণ বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা তাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। 

তবে বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যাদের রক্তে শর্করা বেশি রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিটরুট খাবেন। কারণ এটিতে শর্করা বেশি থাকার ফলে ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

লেখকের মন্তব্য 

প্রতিটি খাবারের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারীতাও রয়েছে। বিটরুটের ক্ষেত্রে তেমনি, সেজন্য আপনার শরীরের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী এটি খাবেন। পরিমাণের অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এতে করে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং মন ভালো থাকবে। উপরে আমরা গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া উপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাকে সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 


 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url