৩৬৫ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি ২০২৪
আপনি কি তাহাজ্জুদ নামাজের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে৩৬৫দিনের তাহাজ্জুদের সময় সূচি নিয়ে আলোচনা করব। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত, তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক সময় সূচি এবং তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কিভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে আল্লাহ আমাদের মনের আশা আকাঙ্খা পূরণ করবেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় কি সে সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি সঠিকভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চান তাহলে নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করুন।
সূচিপত্র
ভূমিকা
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের৷ নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ অর্থাৎ রাতের অন্ধকারে আদায় করার নফল নামাজটি আমাদের প্রেত্যেক মুসলিম ভাইবোনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মহান আল্লাহতালা বলেন এটি আমাদের জন্য অতিরিক্ত কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। ফজিলত ও মর্যাদার দিক থেকে তাহাজ্জুদ নামাজের স্থান ফরজ নামাজের পরে। আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম গভীর রাতে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন।
এজন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উচিত। মহানবী (সা) এক হাদিসে বলেছেন 'ফরজ নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ ' এই রাতে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজে প্রথম আসমানে এসে হাজির হন আমাদের প্রত্যেকের দোয়া কবুল করার জন্য এবং আশা - আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য। এই সময় মহান আল্লাহতালা নিজে তার বান্দাদেরকে ক্ষমা করার জন্য ডাকেন। প্রিয় পাঠক তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ১-২ লাইন বলে শেষ করা সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন : দাঁতের রুট ক্যানেল করার খরচ এবং ৭টি অজানা তথ্য
আপনি যদি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। চলুন তার আগে আমরা জেনে আসি তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক সময় সূচি সম্পর্কে। কারণ সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে সময়সূচি সম্পর্কে আমারা যদি ভূল সময়ে নামাজ আদায় করি তাহলে কিন্তু আমাদের দোয়া আসা আকাঙ্খাগুলো পূরণ হবে না। তাই নিচে দেখুন ৩৬৫ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক সময়সূচি।
৩৬৫ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সময়সূচি
আপনারা ৩৬৫ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন উপরে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে তবে এবার আমরা জানবো সময়সূচি নিয়ে। ফরজ নামাজের পরে সর্বশ্রষ্ঠ নামাজ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। এই সময় মহান আল্লাহ তাদের বান্দাদেরকে নিজে আহ্বান করেন ক্ষমা করার জন্য তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।
বিশেষ করে যখন রমজান মাস চলে ওই সময়টি চেষ্টা করবেন প্রতি রাতে তাহাজ্জদ নামাজ আদায় করার মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া কবুল করার জন্য এবং আমাদের মনের সকল আশা পূরণ করার জন্য গভীর রাতে পৃথিবীর আসমানে এসে হাজির হন এবং আমাদেরকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আহ্বান করেন। তাই আমাদের অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে এটি আমাদের জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য। তবে সঠিকভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজের ৩৬৫ দিনের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে হবে।
"কিন্তু রাত ২টার পর মহান আল্লাহ তাআলা নিজের পৃথিবীর প্রথম আসমানে এসে হাজার হন এই জন্য এই সময়টি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় এই সময় মহান আল্লাহ তালা নিজে তাদের বান্দাদেরকে আহ্বান করেন তাদেরকে ক্ষমা করার জন্য তাদের মনের আশা আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য এবং তাদের উপর বরকত বর্ষণ করার জন্য। এইজন্য এখন থেকে রাত দুইটার পর থেকে ফজরের আজানের আগ সময় পর্যন্ত আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন। "
আশা করি, আমাদের উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ নামাজের৩৬৫ দিনের সময়সূচি সম্পর্কে। তাহাজ্জুদ নামাজের নির্দিষ্ট কোন সময়সূচি নেই তবে কুরআন ও হাদিসের আলোকে জানা যায় যেহেতু মহান আল্লাহ তালা মধ্যরাতে পৃথিবীর আসমানে আসেন সেক্ষেত্রে এই সময়টি আপনাদের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় তাই চেষ্টা করবেন রাত ২ টার পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ শুরু করার। এবার চলুন আমারা জেনে আসি তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় কখন।
তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময়
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় কখন? আপনাদের মধ্যে অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় সম্পর্কে জানেন না। ফরজ, জোহর, আসর, মাগরিব, এশার নামাজ আদায়ের জন্য যেমন আজান দেওয়া হয়। আযান এর মাধ্যমে আল্লাহতালা তাদের বান্দাদেরকে নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান করেন। তেমনি কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। তাহাজ্জুদ নামাজ শুরুর নির্দিষ্ট কোন সময় না থাকলেও তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় রয়েছে।
আরো পড়ুন : সিজারের পর মাত্র ১.৫ মাসে সেরে ওঠার জন্য করণীয়
তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় হল ফজরের আজান। অর্থাৎ ফজরের আযান দেওয়ার সাথে সাথে তাহাজ্জুদ নামাজ বন্ধ করতে হবে। ভোরের অথবা ফজরের আযানের পর তাহাজ্জুদ নামাজ আর আদায় করা যাবে না। ফজরের আজানের পর ফজরের নামাজ আদায় করতে হবে। কুরআন ও হাদিসের আলোকে জানা যায় যে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার শ্রেষ্ঠ সময় হলো রাত ২টার পর থেকে। এই সময় আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে এসে হাজির হন এবং তাদের বান্দাদেরকে নামাজ আদায় করার জন্য আহ্বান করেন।
এই সময়টি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। আপনি চাইলে রাত দুইটার পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন আবার তিনটার পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন। অনেকে রাত বারোটার পর তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন তবে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নয় তবে ভুলও নয়। আপনি চাইলে রাত ১২ টার পরেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ভোরের আজানের আগে তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করেন। আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় কখন। তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় হল ফজরের আযান অর্থাৎ ফজরের আযান দেওয়ার সাথে সাথে আপনাকে তাহাজ্জুদ নামাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ফজরের নামাজ আদায় করতে হবে। রাত ২ টার পর থেকে ফজরের আজান এর আগ পর্যন্ত এই সময়টি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় সম্পর্কে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি তাহাজ্জুদ নামাজের সুন্নত নাকি নফল।
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
আমরা যারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ি, আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল অথবা ফরজ? তাহাজ্জুদ নামাজ হলো আল্লাহ তায়ালা নৈকট্য অর্জনের উপায়। আপনি৷ চাইলে তাহাজ্জুদ নামাজের উসিলাতে আল্লাহ তালার নকট্য অর্জন করতে পারবেন এবং আল্লাহ তায়ালা প্রিয় বান্দা হতে পারবেন। তবে এর আগে আমাদেরকে জানতে হবে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল। আমাদের অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকে যে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল।
আরো পড়ুন : বাংলা বারো মাসের ক্যারেন্ডার ১৪৩১ এবং সরকারি ছুটি ২০২৪
তাহাজ্জুদ নামাজ মানে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করা। আপনি এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে আপনার সমস্ত গুনাহের ক্ষমা নিতে পারবেন এবং আপনার মনের সমস্ত আশা -আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য। তাই এই সময়টি আপনার মনে যত চাওয়া আছে আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ হলো নফল নামাজ। এটি দুই রাকাত থেকে শুরু করে দশ রাকাত পর্যন্ত আপনি নামাজ পড়তে পারবেন। এটি যেহেতু আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল সেক্ষেত্রে আপনার যত ইচ্ছা আপনি তত নামাজ আদায় করতে পারবেন। আপনি চাইলে রাত ২ টার পর থেকে শুরু করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে ৪ রাকাত, ৮ রাতাক পর্যন্ত নামাজ আদায় করতে পারবেন। এটি আল্লাহ তায়ালা নৈকট্য লাভের উপায়।
আশা করি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ নামাজের সুন্নত নাকি নফল। আপনার বোঝার সুবিধার্থে আমি আবারো বলছি তাহাজ্জুদ নামাজ যেহেতু এটি সম্পূর্ণ আমাদের ইচ্ছার উপরে সেক্ষেত্রে এটি অবশ্যই নফল নামাজ দুই রাকাত থেকে শুরু করে চার রাকাত ও দশ রাকাত পর্যন্ত আদায় করতে পারবেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা জেনে আসি তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত
উপরে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজের ৩৬৫ দিনের সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদিও তাহাজ্জুদ নামাজের নির্দিষ্ট কোন সময়সূচি নেই তবে আল্লাহ তায়ালা মধ্যরাতে পৃথিবীর প্রথম আসমানে এসে হাজির হন এবং তাদের বান্দাদের আহ্বান করতে থাকেন ক্ষমা প্রার্থনার জন্য এবং তাদের মনের আশা আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য। ইসলাম ও হাদিস থেকে জানা যায় যে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার শ্রেষ্ঠ সময় রাত ২টা। রাত ২ টার পর মহান আল্লাহ তায়ালার নিজে তার বান্দাদেরকে আহ্বান করেন।
আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন মধ্যরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন এই জন্য আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাই বোনদের কর্তব্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা এটি একপ্রকার আমাদের অতিরিক্ত কর্তবে্যর মধ্যে পড়ে। এবার আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত। ইসলাম ও হাদিসের মাধ্যমে জানা যায় যে রাত ২ টার পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ শুরু করতে হয়। অর্থাৎ রাত ২ টার পর শুরু করে আপনি ফজরের আযান দেওয়ার সময় পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি চাইলে রাত দুইটার পর থেকে অথবা তিনটার পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন আর তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত থেকে শুরু করে দশ রাকাত পর্যন্ত নফল নামাজ আদায় করা হয়। এটি সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছার উপরে আপনি চাইলে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে পারবেন আবার আপনি চাইলে আট রাকাত আদায় করতে পারবেন। আর অবশ্যই ফজরের আযান দেওয়ার আগে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় শেষ করতে হবে।
ফজরের আযান দেওয়ার পরে ফজরের নামাজ আদায় করতে হবে। অর্থাৎ রাত ২ টার পর থেকে শুরু করে ফজরের আজানের আগ সময় পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। এই সময়টি আমাদের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় অনেকে রাত ১২ টার পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে। এই সময় কি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য ভুলও নয় আবার শ্রেষ্ঠ নয়। আপনি চাইলে রাত ১২ টাই তাহাজ্জদ নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ হবে আপনি যদি মধ্যরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন।
আশা করি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত। তাহাজ্জুদ নামাজের সময় রাত ২ টা থেকে ফজরের আজান পর্যন্ত। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন আপনি যদি এই সময়ে নামাজ পড়েন এবং আল্লাহ তালার কাছে নিজের মনের আশা আকাঙ্খাগুলো প্রকাশ করেন তাহলে আল্লাহ তায়লা অবশ্যই মনের আশা পূরণ করবেন। এবার চলুন আমরা জেনে আসি তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে।
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত
উপরে আমরা এতক্ষণ জানলাম তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত তবে এবার আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন। তাহাজ্জুদ নামাজ হাজারও ফজিলতে ভরপুর। তাই আমাদেরকে জানতে হবে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত সম্পর্কে অনেকে তাহাজ্জুদের নিয়ত সম্পর্কে জানেন।
তাই আজকে আমারা আপনাদের সাথে তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানাব।এই বাংলা নিয়ত মুখস্ত করা খুবই সহজ আপনি সহজেই তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। আমরা অনেকেই আরবী নিয়ম মুখস্থ করতে পারি না এজন্য এই বাংলা নিয়তি আপনাদের কাজে আসবে। বাংলা নিয়ত সহজে আপনি মুখস্ত করতে পারবেন এবং এর সাহায্য নামাজ আদায় করতে পারবেন। তাই চলুন তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জেনে আসি।
"আমি মহান আল্লাহর এয়াস্তে, কেবলামুখী হয়ে, দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ, আদায় করছি"
আপনি যদি এই নিয়তটি করে নামাজ আদায় করেন তাহলে আশা করি আপনার নামাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে। এই নিয়তটি খুবই সহজে এক মিনিটের মধ্যে আপনি সম্পন্ন করতে পারবেন এবং আপনি আপনার নামাজ আদায় করতে পারবেন। নামাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্য জানতে হবে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন আমরা জেনে আসি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে।
তাহাজ্জুদ নামাজ ফজিলত সম্পর্কে
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ১-২ লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় তাহাজ্জুদ নামাজের হাজরে ফজিলত ফরজ নামাজের পরে স্থান তাহাজ্জুদ নামাজের। তাহাজ্জুদ নামাজের খুবই ফজিলত রয়েছে। আপনাকে সহজ ভাষায় বলি, আপনি যদি আপনার সমস্ত মনের চাওয়া - পাওয়াকে পূরণ করতে চান, স্বপ্ন পূরণ করতে চান তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া শুরু করুন। তাহাজ্জুদ নামাজে যাওয়া প্রতিটি দোয়া মহান আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। এই সময় মহান আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে আহ্বান করেন দোয়া কবুল করার জন্য।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক উপরে আমরা আলোচনা করলাম তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া শ্রেষ্ঠ সময় হল মধ্যরাত। মধ্যরাত মহান আল্লাহ তায়ালা ুউপর আসমান থেকে পৃথিবীর প্রথম আসমানে এসে হাজির হন এবং তাদের বান্দাদেরকে আহ্বান করতে থাকেন যে তোমারা কি চাও। এই সময় আপনার মনের যা যা ইচ্ছা চাওয়া পাওয়া আছে সেই সমস্ত কিছু আপনি আল্লাহর কাছে পৌঁছাতে যায়। এতে আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের সমস্ত আশা আকাঙ্খা পূরণ করবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় সম্পর্কে মহানবী (সা:) যা বলেছেন
প্রতিদিন রাতে শেষ স্মৃতি অংশে মহান আল্লাহ তায়ালা নিজে পৃথিবীর আসমানে এসে হাজির হন এবং বলেন এই সময় যে আমাকে ডাবকে আমি তাদের প্রত্যেকের ডাকের সাড়া দিব এবং তাদের মনের আশা আকাঙ্খা পূরণ করব। এইজন্য আমাদের প্রত্যেকের ডাকের সাড়া পাওয়া জন্য মুসলিম ভাই বোনদের উচিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা। তাহাজ্জুদ নামাজের উসিলাতে পিছে সমস্ত গুণাহ খাতার মাঝে নিতে পারবেন এবং নিজের সমস্ত আশা আকাঙ্খা চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন।
ইসলামে এমন কোন বিধি বিধান অথবা নিয়ম নীতিমালা নেই যা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা আমাদের জন্য কষ্টকর হতে পারে যেহেতু আমারা প্রতিদিন সকালে ফজরের নামাজ আদায় করি এজন্য আপনি চাইলে ফজরের আযানের আগে একটু ঘুম থেকে উঠতে পারেন এবং এই সময় মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জনের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন। তারপর আপনার সমস্ত মনের চাওয়া পাওয়া শেষ করে ফজরের আজান এর সময় ফজরের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক এই সময় আপনি আল্লাহর কাছে যা চাইবেন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তাই দিবে। তাহাজ্জুদ নামাজ মহান আল্লাহ তায়ালা নিকট প্রিয়। বান্দারদের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে আবস্থান করেন। এইজন্যে এখন থেকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। বিশেষ করে রমজান মাস রমজান মাসে বেশি বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হবে কারণ রমজান মাসের ফজিলত অনেক। রমজান মাসটি বরকতের মাস হাজারো ফজিলতের মাস।
আমাদের মন্তব্য
আমরা আজকের এই পোস্টে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত কি, তাহাজ্জুদ নামাজের সুন্নত নাকি নফল তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি এবং তাহাজ্জুদ নামাজের ৩৬৫ দিনের সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কম সময়ে আলোচনা সম্ভব না। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও বরকতে ভরপুর। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা হয় আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য।
তাহলে এখন থেকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন। আজকের এই পোস্ট আমারা তাহাজ্জুদ নামাজের ৩৬৫ দিনের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমারা আপনাদের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url