একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি এবং হেল্প লাইন নাম্বার ২০২৫
একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আমারা কম বেশি অনেকেই শুনেছি। বাংলাদেশ সরকার সামাজিক এবং অর্থ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থান যোগানোর ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।
একটি বাড়ি একটি খামার হলো বাংলাদেশে সরকারের নেওয়া একটি সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প। উক্ত প্রকল্প থেকে কিভাবে লোনের আওতায় একজন ব্যক্তি ব্যবসায়ী টাকা বিনিয়োগ করতে পারে সে বিষয়গুলো আজকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সূচিপত্র
ভূমিকা
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প হলো বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সমবায় সমিতির একটি দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক পরিকল্পনা। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করে গড়ে তোলা। তাই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থ ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ সরকার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় বিভিন্নভাবে লোন পদ্ধতি চালু করে রেখেছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে একনেক কতৃক অনুমোদিত হয়েছিল।
প্রকল্পটির আরো একটি মূল উদ্দেশ্য ছিল সেটি হল ২০২০সালের মধ্যে দেশে দরিদ্রতার হার ১০% এর নিচে কমিয়ে আনা। বিশেষ করে সমন্বিত গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য মাথায় রেখে প্রত্যেকটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কার্যাবলীর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার সফল প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে উক্ত প্রকল্পটি। প্রাথমিক অবস্থায় তাদের প্রচার প্রচারণার জন্য বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিয়েছিল মাননীয় সরকার। বিশেষ করে একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি সম্পর্কে সকলকে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করাই ছিল সরকারের মূল লক্ষ্য। প্রকল্পটি ৬৪ জেলার ৪৯০ উপজেলার ৪৫০৩ ইউনিয়নের ৪০৯৫০ টি গ্রামে বাস্তবিত হয়েছে।
একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতিগুলো অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যেহেতু গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে উন্নত করার নিয়ে মাঠে নেমেছে উক্ত প্রতিষ্ঠান। তাই গ্রামের সহ - সরল লোকজন যেন খুব সহজেই এ সকল লোন গ্রহণ করে তাহের জীবনধারার মান পরিবর্তন করতে পারে সকল ব্যবস্থান করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছে যারা মূলধনের অভাবে তাদের ব্যবসার পরিধি বিস্তার করতে পারছেন না। আবার অনেকে আছেন যারা ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু অর্থের অভাবে সেটি আর হয়ে উঠছে না।
যে সকল ব্যক্তি আর কোন রকম চিন্তাভাবনা না করে প্রকল্প থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলাতে একটি বাড়ি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করা হয়েছে তাই খুব সহজেই আপনার উপজেলা থেকে লোনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট পরিসরে কেউ যদি ক্ষুদ্র আকারে ব্যবসা শুরু করতে চায় সেক্ষেত্রে লোনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট পরিসরে কেউকে কোনরকম ঘুষ প্রদান বা জামানতের প্রয়োজন পড়বে না। উপজেলাতে একটি করে কর্মকর্তা রয়েছেন যারা একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতির সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানাবেন।
তবে কেউ যদি লোন নিতে ইচ্ছুক হয় সেক্ষেত্রে উক্ত শাখায় উপস্থিত হওয়ার পর লোন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে সে আপনারকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করবে। আপনাদের একটি বিষয়ে জানাচ্ছি যে একটি বাড়ি একটি খাবার প্রকল্পের আওতায় এসব লোন কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র সরকারি উপজেলা পরিষদের মাধ্যমেই কেবলমাত্র গ্রহণ করা সম্ভব। অন্য কোথাও এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে প্রতারিত হবেন না।
প্রকল্পটির কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত এবং যোগ্যতা রয়েছে। সকল কিছু পর্যালোচলা করার মাধ্যমেই কর্তৃপক্ষ আপনাকে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বীকৃতি জানাবে। আসুন তাহলে এবার জেনে নিই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি শর্তাবলী বিদ্যমান-
- ঋণগ্রহীতা অবশ্যই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারী প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা লোন পাবেন।
- আবেদনকারী প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা লোন পাবেন।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
- লোন প্রাপ্তির তিন মাস পর হতে কিস্তি নিয়মিতভাবে প্রদান করতে হবে।
- কিস্তি পরিশোধ করার সিস্টেম হল প্রতি সপ্তাহে অথবা মাসিক।
- ঋণ নেওয়ার পর ১৮ মাসের মধ্যে অবশ্যই সকল কিস্তি পরিশোধ করতে বাধ্য থাকিবে।
উপরে বর্ণিত সকল শর্ত এবং যোগ্যতা সংবলিত হওয়ার মধ্যেমেই কেবলমাত্র কতৃপক্ষ লোন প্রদান স্বীকৃতি জানাবে। এগুলোর মধ্যে যদি কোনরকম সমস্যা লক্ষ্য করা হয় তাহলে উক্ত ব্যক্তি আর লোন পাবে না। একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি এর আওতায় আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্বে লোন পরিশোধ করার ক্ষেত্রে গাফিলতি বা খারাপ রিপোর্ট থাকে সেক্ষেত্রে প্রকল্পটি কোনভাবেই আবেদনকারীর আবেদন গ্রহণ বলে বিবেচনা করবে না।
একটি বাড়ি একটি খামার হেল্প লাইন
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পূর্ববর্তী হেল্পলাইন বা জরুরি সেবা হিসেবে ৩৩৩ ডায়াল করলে সকল বিষয় রকম তথ্য পাওয়া যায়। অনেক সময় হেডলাইনগুলো অনেক ব্যস্ত থাকার ফলে ডায়াল করার ফলেও আর কোনরকম তথ্য পাওয়া যায় না। তাই আপনি চাইলে সরাসরি বিভাগীয় অফিসের নাম্বারে কল করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য বা লোন সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তবে বর্তমানে এই প্রকল্পের সবগুলো কার্যক্রম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়েছে।
তাই আপনি লোনের জন্য আপনার নিকটস্থ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিসে গিয়েও যোগাযোগ করতে পারেন। নিচে প্রত্যেকটি বিভাগের অফিসের নাম্বার পর্যাক্রমে তুলে ধরা হলো।
বরিশাল
DCO এর মোবাইল নাম্বার 01958601418
BRDB এর মোবাইল নাম্বার 01938879245
চট্টগ্রাম
DCO এর মোবাইল নাম্বার 01958601454
BRDB এর মোবাইল নাম্বার 0193887918
ময়মনসিংহ
DCO এর মোবাইল নাম্বার 01958601414
BRDB এর মোবাইল নাম্বার 01938879289
রাজশাহী
DCO এর মোবাইল নাম্বার 01958601434
BRDB এর মোবাইল নাম্বার 01938879133
রংপুর
DCO এর মোবাইল নাম্বার 01958601442
BRDB এর মোবাইল নাম্বার 01938879062
সিলেট
DCO মোবাইল নাম্বার 019588601450
BRDB এর মোবাইল নাম্বার 01938879429
খুলনা
DCO এর মোবাইল নাম্বার 01958601424
BRDB এর মোবাইল নাম্বার 01938879212
প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন এবং সকল কার্যক্রম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হলেও উপরে বর্ণিত সকল কর্মকর্তা বর্তমানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আওতাধীন রয়েছে। তাই কেউ যদি একটি বাড়ি একটি খামার পদ্ধতিতে লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে অবশ্যই উক্ত কর্মকর্তাবৃন্দ আপনাকে সঠিক তথ্য দিবেন। পাশাপাশি আপনাকে এই বিষয়ে সম্পর্কে অবগত করবেন যে বর্তমানে প্রকল্পটির নাম একটি বাড়ি একটি খামার থেকে আমর বাড়ি আমার খামারে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
একটি বাড়ি একটি খামার লোনের আবেদন
আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হতে পেরেছেন যে একটি বাড়ি একটি খামার লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো আমলে রাখতে হবে। কিছু সহজ শর্তগুলো রয়েছে পাশাপাশি কিছু যোগ্যতার বলে যেকোনো ব্যক্তি লোন গ্রহণ করতে পারবে। সর্বপ্রথমে লোন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিটি ঠিক করবে আসলে কোন ধরনের ব্যবসা বা খামারের জন্য ঋণ চাচ্ছেন। এরপর নিকটস্থ উপজেলা পরিষদে গিয়ে যেখানে প্রকল্পের শাখর অফিস রয়েছে। এছাড়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকএ গিয়েও এ ব্যাপারে কথা বলতে পারবে।
আপনি যদি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অফিসে যান সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি লোন পদ্ধতি এবং কিভাবে লোন পাওয়া যাবে সে সকল ডকুমেন্টস এর ব্যাপারে কথাসবলতে পারেন। নিয়োগকৃত কমকর্তা অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর সঙ্গে লোন প্রাপ্তির আবেদন করার পরামর্শ প্রদান করবেন। একটি বাড়ি একটি খামার আবেদন করার জন্য আপনাকে আবেদন ফরমে আপনরা নাম, ঠিকান এবং বিস্তারিত সঠিকভাবে লিখতে হবে। উক্ত ফরমে ঋণগ্রহীতার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, আয়ের উৎস ইত্যাদি লিখতে হবে।
বর্তমান অনলাইনেও আবেদন ফরম পূরণ করা যায়। পূরণকৃত তথ্যগুলো একটি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কতৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকবেন তবে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে যে একটি বাড়ি একটি খামার ঋণ আবেদন ফরম এর প্রত্যেকটি বিষয় সঠিকভাবে লিখতে। যদি কোন রকম ভুল হয় বা পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ মনে করে আপনি ঋণের জন্য যোগ্য নয় সেক্ষেত্রে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
আমরা ইতিমধ্যে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি সেটা হল একটি বাড়ি একটি খামার পূর্বে যে প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল সেটি বর্তমানে বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয় ব্যাংক এর আওতাধীন হয়ে গেছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে নাম দেওয়া হয়েছে আমার বাড়ি আমার খামার। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক -২০১৪ এর আইন অনুযায়ী প্রকল্পের কর্মচারীবৃন্দ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়েছেন। পাশাপাশি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আমার বাড়ি আমার খামার এর প্রকল্প আওতায় যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে সেগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৩৮৬ উপজেলা সমন্বয়কারীর মধ্যে ৩৬২ জনকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে অফিসার পদে এবং ৭৪৩ জন ফিল্ড সুপারভাইজার পদে, ৭২৭ জনকে ব্যাংক জুনিয়র অফিসার, ৩৭৯ জন কম্পিউটার অপারেটসহ আরো বিভিন্ন পদে নতুন করে নিয়োগ এবং স্থানান্তর করা হয়েছিল। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এ চাকরি স্থায়ীকরণ বেতন বৃদ্ধিসহ আরো অনেক কিছু কর্মকান্ড বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। যেহেতু আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা হওয়ার মাধ্যমে।
নাম পরিবর্তন এর পাশাপাশি সকল কার্যক্রমগুলো এখন থেকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে পরিচালিত করা হবে।তাই কেউ যদি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে উপজেলা পরিষদন অফিস অথবা পল্লী ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে আমার বাড়ি আমার খামার লোন পদ্ধতি এর অনুরূপভাবে আমারা লোনের জন্য আবেদন করতে পারি।
একটি বাড়ি একটি খামার সরকারি না বেসরকারি
কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়ন যেন আরো বেগবান হয় এবং সে গতিধারা যেন বজায় থাকে সেটাও এই প্রকল্পের আওতায় ছিলো। কৃষির এক অপার সম্ভবনা আমাদের এই বাংলাদেশ। কিন্তু সুষ্ঠ পরিকল্পনা কার্যকরি বাস্তবায়ন এবং সার্বিক সমন্বয়হীতায় এখানো কাঙ্ক্ষিত সীমানা রেখা স্পর্শ করতে পারনি। সেই লক্ষ্যেই সরকার এই পরিকল্পনার আর প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো।
একটি বাড়ি একটি খামার লোন নেয়ার শর্ত
আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পটি ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়ন হয়।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারী প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা লোন পাবেন।
- লোন আবেদনকারীকে অবশ্যই ভোটান আইডি কার্ড/পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
- লোন নেয়ার তিন মাস পর হতে কিস্তি প্রদান করতে হয়ে থাকে।
- প্রতি সপ্তাহে বা মাসে কিস্তি প্রদান করতে হবে।
- লোন নেয়ার ১৮ মাসের মধ্যে সব কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে আপনি যদি লোন নেন তাহলে আপনাকে কিছু না কিছু সুদ প্রদান করতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প তার ব্যতিক্রম নয়। এই প্রকল্পের লোনের পরিমাণ শতকরা ৮%।
সেই সময়ের মধ্যে আপনি খুব সহজে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। আপনি চাইলে প্রতি সপ্তাহে বা মাসে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারবেন এবং লোন নেয়ার প্রথম তিন মাস আপনাকে কোন কিস্তি প্রদান করতে হবে না। এই সময়ের মধ্যে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই প্রকল্পের লোনের জন্য আপনাকে কোন প্রকার ঘুণ বা জামানোত দিতে হবে না। নিদিষ্ট নিয়ম মেনে উপজেলা লোন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে আপনি লোনের আবেদন করতে পারবেন।এই প্রকল্পের সুদের পরিমাণ শতকরা ৮%।
স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়তে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যাবসার কোন বিকল্প নাই। বেকারত্ব দূরীকরণের সব থেকে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এই একটি বাড়ি একটি খামার লোন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি আরো অনেকের কাজের সুযোগ হতে পারে এই প্রকল্প। দরকার শুধু সঠিক প্রশিক্ষণ আর কর্মদক্ষতার। তাই সরকারকে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা তৈরির ক্ষেতেও নজর দিতে হবে। তবেই আমাদের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত এবং দরিদ্রমুক্ত।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url