ফুসফুসে পানি জমলে যে ১৫ টি খাবার খেতে হবে

আমাদের মধ্যে অনেকে ফুসফুসে পানি জমলে কী করণীয় তা সম্পর্কে জানেন না বা ফুসফুসে পানি জমার লক্ষণ এবং কারণ সম্পর্কে জানেন না। আপনার আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে ফুসফুসের পানির জমলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

ফুসফুসের -পানি -জমলে

বর্তমান সময়ে ফুসফুসে পানি জমার রোগে অনেকে অক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া সহজ না কিন্তু নিয়ম মেনে চললে এই রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। ফুসফুসের পানি জমলে যেসব খাবার খেতে হবে তা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

সূচিপত্র 

ফুসফুসে পানি জমলে কি খেতে হবে 

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ফুসফুস ভালো থাকে। সাধারণত যেগুলো খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকে এবং ফুসফুসের প্রদাহ কমায় তা আলোচনা করা হবে -

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার : প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন নি জাতীয় খাবার খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি খেলে ফুসফুসের সংক্রামণ দূর করে। এছাড়া ঠান্ডা লাগা এবং নিউমোনিয়া হওয়া ভিটামিন সি দূর করে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবারগুলো হলো - কমলা, পেয়ারা, বিট, আমলকি, বাতাবি লেবু ইত্যাদি। 

ক্যারোটিন জাতীয় খাবার : ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ লিউটেিন ও জিজানথিনের সংমিশ্রণ। পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বিটা আছে। প্রতিদিন এগুলো শাক সবজি খেলে উক্ত উপাদানের জন্য ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করে। এছাড়াও -
  • কাল বিন খাওয়া 
  • জলপাই খাওয়া 
  • ব্লবেরি খাওয়া 
  • মসুর ডাল 
  • আখরোট খাওয়া 
  • সালমান খাওয়া 
  • বাদামি আল খাওয়া 
  • বাঁধাকপি খাওয়া 
যদি ফুসফুস পানি জমা হয় তাহলে আপনাকে প্রথমে খাবারের দিকটা ঠিক করতে হবে। নিয়মিত বা সঠিক খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে। ফুসফুসে পানি জমা হলে যেসব চিকিৎসা হয়েছে তা জানতে আমাদের অনুসরণ করুন। 

ফুসফুস সুস্থ রাখে যেসব খাবার 

দেহের শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া চালু রাখতে সাহায্য করে ফুসফুস। অথবা করোনার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই ফুসফুস। ফুসফুসকে সুস্থ ও কার্যকর রাখতে কিছু খাবার বিশেষ সাহায্য করে। পরামর্শ দিয়েছেন ডায়েট প্লানেট বাংলাদেশের পুষ্টবিদরা। 

টমেটো : টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন নামের অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট। যা দেহকোষকে সতেজ এবং বাতাসে থাকা ধুলাবালির প্রভাব থেকে শ্বাসযন্ত্রকে সুরক্ষা করে। 

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার : ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা রোধে ভিটামিন ডি বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি অভাব শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এর মূল উৎস সূর্য। এছাড়া দুধ, ডিম, দই, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন ডি রয়েছে। 

বাদাম : আখরোট, পেস্তা, কাজু, চিনাবাদাম, সূর্যমুখি, মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন ই, খনিজ লবণ এবং ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এসব খাবার ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ এবং প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। 

হলুদ : হলুদের অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট কারকিউমিন ফুসফুসকে দূষিত পদার্থের প্রভাব থেকে সুরক্ষা করে। সর্দি - কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হলে কাঁচা হলুদের রস করে মাখন বা ঘির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ হয়। 

তুলসীপাতা : তুলসীপাতা অ্যান্টি - অক্সিডেন ফুসফুস সুরক্ষায় খুবই কার্যকর। বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসী। তাই শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর করতে তুলসীপাতার রস কিংবা এই পাতা পানিতে ফুটিয়ে পান করলে ফুসফুস ভালো থাকে। 

কালিজিরা : ফুসফুসের সুরক্ষায় কালিজিরা ভালো কাজ করে। এর অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট শ্বাসনালির প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১/২ চা চামচ কালোজিরা গুড়া এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে। 

রুটি : ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যায় যথেষ্ট শক্তি ক্ষয় হয়, যা পূরণে এ জাতীয় খাবার সহায়তা করে। এছাড়া এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ জিংক রয়েছে, যা ফুসফুসের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত মাছ: বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখুন। 

পানি : ফুসফুসের টিস্যুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং পরিষ্কার করে। 

রসুন : রসুনে রয়েছে এলিসিন নামক আন্টি - অক্সিজেন। যা শ্বাসযন্ত্রের প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে এবং শ্বাসযন্তকে সংক্রামণ থেকে বাঁচায়। 

উপরে উল্লেখ্য খাবার তালিকা অনুসরণ করে আপনার ফুসফুসে পানি জমার সমস্যা কিছু হলেও কম হবে। ফুসফুস পানি জমা হলো আগে খাবার তালিকা সঠিক ভাবে তৈরি করতে হবে। 

ফুসফুস পানি জমার কারণ 

প্রায় শোনা যায় ফুসফুসে পানি জমেছে। ফুসফুসের পাতলা আবরণী যে আবরণ দ্বারা ফুসফুসকে ধরে রাখে সে আবরণীতে পানি জমে। এ রোগ কে প্লুরাল ইনফিউশন বলে। বিভিন্নভাবে ফুসফুসে পানি জমতে পারে। ফুসফুসে পানি জমার রোগ অত্যন্ত মারাত্মক। 

সাধারণত যক্ষা নিউমোনিয়া ও ক্যান্সার এর সমস্যার কারণে ফুসফুসে পানি জমতে পারে। এছাড়াও যক্ষা অথবা হরমোন জনিত সমস্যা, হৃতরোগের সমস্যা, কিডনির বিকল হলে ও পুষ্টির অভাবে ফুসফুসে পানি জমতে পারে। যেভাবে পানি জমুক চিকিৎসার মাধ্যমে এর সমাধান করা উচিত। 

ফুসফুসে পানি জমার ঘরোয়া চিকিৎসা 

ফুসফুসে পানি জমালে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। আসুন ফুসফুসে পানি জমার ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন - 

স্টিম থেরাপি : এই প্রক্রিয়ায় গরম পানির ভাপ নেওয়া হয়। সাধারণত গরম পানির ভাপ নেওয়ায় গরম পানির বাষ্প নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে গ্রহণ করার প্রক্রিয়াটা হলো স্টিম থেরাপি। ১৬ জন পুরুষের মধ্যে স্টিম থেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে সবারই ফুসফুসের মান বৃদ্ধি হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি হলো একটি পাত্রে গরম পানি নিতে হবে। 

মাথায় একটু তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তবে লক্ষ রাখতে হবে মুখমণ্ডলে যেন পানির তাপ বেশি না লাগে। তবে পাত্র থেকে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি দূরে মুখমণ্ডল রাখুন। অতঃপর নিঃশ্বাসের মাধ্যমে পাত্র থেকে বাষ্প গ্রহণ করতে হবে। বাষ্প গ্রহণের সময় চক্ষু বন্ধ করতে হবে। এ অবস্থায় দুই থেকে পাঁচ মিনিট বাষ্প নিতে হবে। তবে ১০- ১৫ মিনিট এর বেশি এটা করা যাবে না। এ প্রক্রিয়া করার মাধ্যমে ফুসফুসের জিল্লি থেকে পানি কমা শুরু হবে। 

নিয়ন্ত্রিত কাশি : নিয়ন্ত্রিত কাশি পদ্ধতির মাধ্যমে ফুসফুস থেকে শ্লেষ্মা বের হয়ে বাতাসের সাথে মিশে যাবে।ফুসফুসের মধ্যে শ্লেষ্মা আটকে গেলে প্রাকৃতিক উপায়ে বাহির করার পদ্ধতি হলো কাশি। এ পদ্ধতিতে দুই হাত ভাজ করে পেটের উপর রাখতে হবে। অতঃপর ধীরে ধীরে নাক দিয়ে নিশ্বাস নিতে হবে। এরপরে পেটে হাত দিয়ে ভাজ করর দেওয়া অবস্থায় একটু সামনের দিকে ঝুকে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে। নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় ৩-৪ বার কাশি দিতে হবে। পুনরায় নাক দিয়ে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস নিতে হবে। 

বিছানায় শুয়ার পদ্ধতি : এ প্রক্রিয়ায় চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে এবং কোমরের নিচে বালিশ দিতে হবে। এ অবস্থায় ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন মুখ দিয়ে প্রশ্বাস ছাড়ুন। লক্ষ রাখতে হবে নিঃশ্বাসের চেয়ে প্রশ্বাসের সময় যেন দ্বিগুণ লাগে। এটি তিন থেকে পাঁচ মিনিট করতে হবে। 

ব্যায়াম করার মাধ্যমে : নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে ত্বক জনিত সমস্যা ও হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে হাড়ের জোড়া, পেশির স্বাস্থ্য ও শ্বাস - প্রশ্বাস উন্নত করে। 

নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে ব্লাড সার্কুলার ভালো হয় ও পেশিতে অক্সিজেনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে কার্বন ডিই অক্সাইড শরীর থেকে বাহির করার প্রক্রিয়া ভালো থাকে এবং অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা ভালো থাকে। ফুসফুসে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিগণ নিয়ম মেনে ব্যায়াম করতে পারেন। যার মাধ্যমে ফুসফুসের মান উন্নত হয়। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে পানি বের করা সম্ভব হয়। 

গ্রিনটি খাওয়া : গবেষণায় দেখা গেছে চেরি ফল খেলে ফুসফুসের প্রদাহ কমে। এছাড়াও অনেক খাদ্য আছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে ফুসফুসের প্রদাহ কমে এবং আস্তে আস্তে পানির পরিমাণ কমে যায়। 

উপরে উল্লেখ্য পদ্ধতি ফুসফুসের পানি জমালে ঘরোয়া চিকিৎসা করা সম্ভব। প্রাথমিক ভাবে আগে বাড়িতে চিকিৎসা করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ফুসফুসে পানি জমেছে কিনা তা বুঝা যায় কিন্তু লক্ষণের মাধ্যমে। ফুসফুস পানি জমার লক্ষণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। 

ফুসফুসের -পানি -জমলে

ফুসফুসে পানি জমার লক্ষণ : 

আজকের বিষয় ফুসফুসের পানি জমালে ঘরোয়া চিকিৎসা। সাধারণত আমারা অনেক রকম ব্যস্ততায় থাকি। হঠাৎ করে বুক ব্যথা, কাশি অথবা মাথা ব্যথা হলে আমরা তত লক্ষ্য করি না। হয়তো একটু ব্যথার ওষুধ খেয়ে নিলাম এটাই শেষ। অথবা এগুলো লক্ষণের ফুসফুসে পানি জমা হতে পারে এটা চিন্তা করিও না। আসুন জেনে নেওয়া যাক ফুসফুসে পানি জমা হওয়ার লক্ষণগুলো - 

পর্যাপ্ত শ্বাসকষ্ট : ফুসফুসের কোন সমস্যা হলে অত্যাধিক শ্বাসকষ্ট হয়। সাধারণত ফুসফুসে পানি জমলেও শ্বাসকষ্ট অনেক বেশি হয়। 

বুকে ব্যাথা হওয়া : 

নিঃশ্বাস অথবা কাশির সময় বুকে ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কাশির সঙ্গে বুকে ব্যথা হলে ফুসফুসে পানি আসার লক্ষণ। 

  • ফুসফুসে বেশি পানি জমলে হৃত স্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। 
  • ফুসফুসের পানি জমলে রোগীর চিত হয়ে থাকতে ভালোবাসে। উপর অথবা পার্শকাত হয়ে শুলে কষ্ট হয়। 
  • ফুসফুসে পানি জমলে বুকে ব্যাথা হতে পারে। ব্যাথার স্থানে চাপ দিয়ে ধরলে রোগীর স্বাস্তি বোধ করে। 
  • কাশির সঙ্গে শ্লেষ্মা যুক্ত কফ বাহির হয়। 
  • ওজন কমে যায়। 
  • জ্বর আসতে পারে। 
  • বুক ভারি হয়ে গেছে এমন মনে হয়। 
  • শরীর ঝাকালে গড় গড় শব্দ হয়। 
  • রোগী অত্যধিক ঘেমে যায়। 
  • অত্যাধিক অস্হিরতা দেখা যায়। 
  • চামড়া ফেকাশে হয়ে যায়। 
  • পা ফুলে যায়। 
ফুসফুসে পানি জমলে হয়েছে কিনা তা আমরা উপর লক্ষণের ভিত্তিতে ধরতে পারব। যদি উপরের লক্ষণের সাথে মিলে যায় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

ফুসফুসে পানি জমার কারণ 

আজকের বিষয় ফুসফুসের পানি জমলে হলো খাবার তালিকা। বিভিন্ন কারণে ফুসফুসে পানি জমতে পারে। তবে ফুসফুসে পানি জমা অত্যন্ত মারাত্মক সমস্যা। ফুসফুসে পানি জমা হওয়ার কারণ নিচে দেওয়া হলো-
 
নিউমোনিয়ার কারণে : সাধারণত নিউমোনিয়া এমন একটি রোগ যে রোগের শ্বাস - প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। শ্বাস - প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া অবস্থায় কিছু পানি ফুসফুসে আটকে যেতে পারে। আস্তে আস্তে পানি বৃদ্ধি হয়ে পুঁজি রূপান্তরিত হয়ে ফুসফুসে পানি জমতে পারে। অতি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। 
ক্যান্সার এর কারণে : সাধারণত যদি ক্যান্সারের কারণে ফুসফুসে পানি জমা হয় তাহলে তিন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে। ফুসফুস ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও গলিত টনসিলের ক্যান্সার। যে ক্যান্সার হোক না কেন তা খুব মারাত্মক। 
টিউমারের কারণে হতে পারে : সাধারণত টিউমারের কারণে ফুসফুসে পানি জমা হতে পারে। যদি টিউমারের কারণে ফুসফুসে পানি জমা হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সেটা অপসারণ করতে হবে। তা নাহলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 
অন্যান্য কারণ : বিভিন্ন কারণে ফুসফুসে পানি জমতে পারে। যেমন - লিভারের সমস্যার কারণে বুকে পানি ঢুকতে পারে। হৃতপিন্ডের সমস্যার কারণে বুকে পানি জমতে পারে। যকৃতের সমস্যার কারণে ফুসফুসে পানি জমতে পারে। যেভাবেই পানি জমা হক নাকেন তা অপসারণের জন্য খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরার্মশ নিতে হবে। 

ফুসফুসের পানি জমা হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। ফুসফুসে পানি জমা হলে কি কি খেতে হবে তা জানা দরকার। ফুসফুসে পানি জমা হলে যেসব খাবার খেতে হবে তা নিচে দেওয়া হয়েছে। 

ফুসফুসের -পানি -জমলে

ফুসফুসে পানি জমলে চিকিৎসা 

চিকিৎসক রোগীকে দেখ, রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ দেখে প্রয়োজনীয় পরিক্ষা করর পরবর্তী করণীয় সমূহ নিধারণ করে।ওষুধ সেবন করা, চিকিৎসা পদ্ধতি নিধারণ করে থাকে। সাধারণত চিকিৎসকরা বুকের পানি বের করে তার রং দেখেই ধারণা করে সম্ভব্য রোগ। তবে সম্ভব্য ধারণা এড়িয়ে রোগ নির্ণয়পূর্বক চিকিৎসাই উত্তম। এছাড়া রির্পোটের মাধ্যমে ক্যান্সার, যক্ষা, নিউমোনিয়াসহ আরও অনেক রোগ নির্ণয় করা যায়। রোগ চিহ্নিত হলে সঠিক চিকিৎসা করা যায়। যদি অতিরিক্ত পানি জমে গেলে রোগীকে স্বস্তি দেয়ার জন্য পানি বের করে নেয়া হয়। 

বারবার পানি জমলে অনেক সময় বিশেষ পদ্ধতি যেমন - প্লুরোডসিস,টিউব থোরাকোস্টোমি করা হয়। পানির কারণে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি হলে অনেক সময় অস্ত্রোপচার করতে হয়। পানি জমার কারণ নির্ণয় ও সমাধান না করলে নানা জটিলতা হতে পারে। যক্ষা হলে রোগীকে ৬ মাস যক্ষার ওষুধ সেবন করতে হবে। নিউমোনিয়ার ক্ষেতে পানি জমলে সেটিকে প্যারানিউমোনিক ইফিউশন বলা হয়। তখন তাকে ৭-১০ দিন অনেক সময় তারও বেশি দিন সি/এস রিপোর্ট অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ৫-৭ দিন। ক্ষেত্রবিশেষে ১০ দিন তবে কোনো অবস্থায়ই ৩ দিনের কম নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। 

শেষে বলা যায়, ফুসফুসে পানি জমলে বা এরকম এরকম অনুভব করলে মোটেও অবহেলা নয়। জরুরি চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। অন্যথায় হয়তো মৃত্যুর কারণ হতে পারে। 

আমাদের মন্তব্য 

ফুসফুসে পানি জমলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা ফুসফুস পানি জমা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমাদের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমারা আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url