৭ দিনে ওজন বৃদ্ধির ১০ টি সবথেকে কর্যকারী পদক্ষেপ

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল প্রত্যেকটি মানুষেরই একটি স্বপ্ন থাকে স্বাস্থ্যের উন্নতি করা। কেউই চায় না যে তার স্বাস্থ্য খারাপ থাকুক বা সে চিকন থাকুক। সবাই মোটা হওয়ার চেষ্টা করে, এখানে মোটা বলতে বোঝানো হয়েছে মানসম্মত স্বাস্থ্য। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণে নিজের শরীরের ওজন বৃদ্ধির মূলত আজকের পোস্ট। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনাকে খাবার তালিকার দিকে নজর দিতে হবে। 

নিয়মিত খাবার গ্রহণ ও ঘুমের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। খারাপ গ্রহণের সঠিক নিয়ম ও সময় সম্পর্কে ধারণা পাবের আজকের এই পোস্ট। মোটা হওয়ার বা সঠিক নিয়মে ওজন বৃদ্ধি যার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই তাই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।  

সূচিপত্র :ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন ৭ দিনে তার নিয়ম 

ওজন বৃদ্ধির জন্য ক্যালোরিযুক্ত খাবার

মানুষের দেহে মোটা হবার জন্য ক্যালারি যুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই, উচ্চ ক্যালারি যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে ঘি,মাখন,পনির, কোমল পানিয়, গরু-খাসির মাংস, আলুভাজি এর পাশাপাশি চকলেট জাতীয় খাবার, খেজুর, দই, ডিম, কলা ইত্যাদি শারিরীক ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। 

প্রতিদিন নিয়মিত ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ক্যালারি যুক্ত খাবার গ্রহণ করেন তাহলে মাত্র সাত দিনে দেহে পরিবর্তন আসবে।

প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ 

মানব দেহে প্রচুর প্রোটিন ঘটতি থাকলে ওজন কখনোই বৃদ্ধি পাবে না। তাই আমাদের নিয়মিত প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে হবে। এতে করে মোটা হওয়ার সম্ভবনা আরও বেড়ে যাবে।সকল প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে কিছু আছে চর্বিযুক্ত খাবার যেমন, মটরশুঁটি, গরুর মাংস ইত্যাদি।  

  • মাছ,মাংস ১ পিসের পরিবর্তে ২ বা ৩ পিস খেতে হবে। 
  • ডাল ভাতের সঙ্গে ছেড়ে স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। ডালের সঙ্গে সবজি মিশিয়ে স্যুপ করে নাস্তা হিসাবে খেতে পারেন 
  • শিমের বিচি,কুমড়ার বিচি,সূর্যমুখীর বিচি খেতে পারেন 
  •  প্রতিদিন ২টি করে ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন

ওজন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা

প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুম সম্পূর্ণ শারীরের পুনরুদ্ধরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় হিসাবে ঘুম দারুণ ভাবে কাজ করে। দিনেই নিয়মিত ঘুমানো উচিত। এর জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় দিতে হবে। 

স্বাস্থ্য সম্মতভাবে ওজন বাড়াতে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ম, পর্যাপ্ত বিশ্রামই আপনার স্বাস্থ্যের পরিবর্তন এনে দিতে পারে। 

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা 

প্রথমেই স্বাস্থ্যকে পরিপন্থী রাখতে হবে। মোটা হওয়ার জন্য আপনার মোটা হওয়ার সহজ উপায় হল আপনার ওজন বাড়ানো। কিন্তু এটি করার আগে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে,আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা।

আপনি একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে দেখতে পারেন। যাতে আপনার শারিরীক অবস্থা নির্ধারণ করা যায় এবং কোন সমস্যার ফলে এমন হচ্ছে তা নির্ধারণ করা যাবে।

ওজন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর ডায়েট 

ডায়েটে পুষ্টিকর খাদ্য থাকা উচিত।  প্রতিটি খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,ভিটামিন, মিনারেলস এবং ফাইবার জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। 

বাজারে সহজলভ্য খাবার থেকে এড়িয়ে চলুন। শাকসবজি , ফলমূল, প্রোটিন যুক্ত খাবার খান। প্রসেস্ড খাবারের পরিবর্তে স্বস্থ্যকর খাবার খান।। টক দই দুধ দিয়ে বানানো, তাই এতে দুধের পুষ্টিগুণ থাকে। শুধু তাই না, টক দইতে অনেক উপকারী জীবাণু থাকে।টক দই খাওয়ার মাধ্যমে পেটের ভেতরের উপকারী অণুজীবগুলোর মত নতুন আরও অনেকগুলো উপকারী জীবাণু দেহে যোগ করতে পারেন। এগুলো পরে অস্বাস্থ্যকর জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেবে।

তবে মিষ্টি দই এড়িয়ে চলা ভালো। মিষ্টি দইতেও উপকারী জীবাণু আছে কিন্তু এতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে চিনি যোগ করা হয়। অনেক চিনি, অস্বাস্থ্যকর তেল বা চর্বি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। এগুলো বেশি খেলে শারিরের মাংসপেশি না বেড়ে চর্বি বেড়ে যেতে পারে। এভাবে ওজন বাড়লেও তা স্বাস্থ্যকর হবে না, বরং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

ওজন বৃদ্ধির জন্য ডিম ও খেজুর

ডিমকে প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন বলা হয়। এর কারণ এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। ডিমে জিংক নামের মিনারেল থাকে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ডিমে আরও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। তাই ওজন বৃদ্ধির জন্য ডিম বেশি বেশি খাওয়া উচিত। 

খেজুর একটি অসাধারণ পুষ্টিগুণের ফল। এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া এতে আয়রন যোগাসন করতে পারেন। যোগাসনের উপকারিতা এক বাক্যে বলে শেষ করা যাবে না। 

নোট: ব্যায়ম করার পর শরীরে ব্যথা হতে পারে এর জন্য কোনো প্রকার ব্যাথা নাশক ওষুধ খাবেন না। কয়েকদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।

জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর উপকারীতা 

জোভিয়া গোল্ড সিরাপে রয়েছে এমন ধরনের উপাদান যা একটা মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই কার্যকারি।এতে রয়েছে  এমন দুটি হরমোন যা শরীরকে মোটা করে তা হলো প্রজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টর। যার মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যবৃদ্ধি এবং উচ্চতা বৃদ্ধি হয়ে থাকে। 

আর আপনার শরীরে যদি এই উপাদান দুটি না থাকে তাহলে আপনি শত চেষ্টার পরেও মোটা হতে পারবেন না। আপনার যদি হজমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি যে খাবার ই খান না কেনো আপনার  শরিরের জন্য কাজে আসবে না। জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর মাধ্যমে এই সমস্যা ও দূর হয়। রুচি বাড়ায় সাথে খুদাও বাড়ায়। 

ঘুমের সমস্যা থাকলে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার মাধ্যমে দূর হবে। সব ওষুধ খাওয়ার নিয়ম আছে তাই নিয়ম মেনে সিরাপটি খেতে হবে। 

পাশ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ওষুধ 

মোটা হওয়ার জন্য বা ওজন বৃদ্ধির জন্য  এমন ওষুধ খেতে হবে যা আপনার জন্য ভবিষ্যতে যেন ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়য়। অনেক ওষুধ আছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে শরীর অনেক ফুলে যায়। তাই ওষুধ খাওয়ার আগে তার পাশ্ব প্রতিক্রিয়া আছে নাকি তা জানতে হবে। মোটা হওয়ার জন্য ওষুধ - 

  • সিনকারা সিরাপ
  • পিউটন সিরাপ
  • আমলকি প্লাস 
  • রুপি প্লাস
  • cavic c vitamin 
  • Cavic c plus 

এ ওষুধগুলো খেয়ে আপনি কোন পাশ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা বা ওজন বৃদ্ধি করতে  পারবেন। কিন্তু ওষুধ খেয়ে মোটা হওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো।   

আমাদের মন্তব্য 

আশা আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনার ওজন বৃদ্ধির করতে সাহায্য করবে। দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমি আপনাদের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url